ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
২৮ অক্টোবরের সহিংসতা জাতিসংঘের বিবৃতির প্রতিবাদ ৮১ বিশিষ্ট নাগরিকের

২৮ অক্টোবরের সহিংসতা জাতিসংঘের বিবৃতির প্রতিবাদ ৮১ বিশিষ্ট নাগরিকের

  • আপডেট সময় : ০১:১১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সহিংস ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন কার্যালয় যে বিবৃতি দিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের ৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা সেদিনের ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জাতিসংঘের ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল প্রটেস্টস’ শীর্ষক বিবৃতি পুনরায় পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জমান, ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সারওয়ার আলী, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য ড. কামরুল হাসান খান, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, নাট্যকার রামেন্দু মজুমদারসহ ৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা হাইকমিশনারের বিবৃতি থেকে জানতে পেরেছি যে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির পর থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংস ঘটনাগুলো উদ্বেগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের মনে হয়েছে জাতিসংঘের বিবৃতিতে উল্লেখিত কিছু পর্যবেক্ষণ সঠিক নয়, তাই এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের বিবৃতির ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল প্রটেস্টস’ শিরোনামটিতে সেদিনের প্রকৃত ঘটনার সত্যতা প্রতিফলিত করে না। বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আমরা ২৮ অক্টোবর এবং তারপরে আসলে কী ঘটেছিল তা এখানে উল্লেখ করতে পারি। নির্মম অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যা, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা এবং বিবেকহীন ভাঙচুরসহ সব নজিরবিহীন সহিংসতাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে, প্রদত্ত বিবৃতি অপরাধীদেরকে তাদের জঘন্য হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে স্পষ্টভাবে উৎসাহিত করতে পারে। প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতির বাসভবনে হামলাকারী সকল দুর্বৃত্তকে বিএনপি কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বক্তব্যে প্রকৃত পরিস্থিতির প্রতিফলন নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, হাইকমিশনারের কার্যালয় ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়, এর মধ্যে বিশেষ করে ছয়জন বিরোধী দলের সদস্য সহিংসতায় নিহত হয়েছেন বলে যা উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও বিভ্রান্তিকর।
পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজে কিছু হামলাকারীকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা গেছে। মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় অনুমান করেছে যে মুখোশধারী হামলাকারীরা শাসক দলের লোক। এটি ভুল এবং বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে সব দল একমত

২৮ অক্টোবরের সহিংসতা জাতিসংঘের বিবৃতির প্রতিবাদ ৮১ বিশিষ্ট নাগরিকের

২৮ অক্টোবরের সহিংসতা জাতিসংঘের বিবৃতির প্রতিবাদ ৮১ বিশিষ্ট নাগরিকের

আপডেট সময় : ০১:১১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সহিংস ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন কার্যালয় যে বিবৃতি দিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের ৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা সেদিনের ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জাতিসংঘের ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল প্রটেস্টস’ শীর্ষক বিবৃতি পুনরায় পর্যালোচনার দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জমান, ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সারওয়ার আলী, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য ড. কামরুল হাসান খান, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, নাট্যকার রামেন্দু মজুমদারসহ ৮১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা হাইকমিশনারের বিবৃতি থেকে জানতে পেরেছি যে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির পর থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংস ঘটনাগুলো উদ্বেগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের মনে হয়েছে জাতিসংঘের বিবৃতিতে উল্লেখিত কিছু পর্যবেক্ষণ সঠিক নয়, তাই এটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয়ের বিবৃতির ‘বাংলাদেশ পলিটিক্যাল প্রটেস্টস’ শিরোনামটিতে সেদিনের প্রকৃত ঘটনার সত্যতা প্রতিফলিত করে না। বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আমরা ২৮ অক্টোবর এবং তারপরে আসলে কী ঘটেছিল তা এখানে উল্লেখ করতে পারি। নির্মম অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যা, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা এবং বিবেকহীন ভাঙচুরসহ সব নজিরবিহীন সহিংসতাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে, প্রদত্ত বিবৃতি অপরাধীদেরকে তাদের জঘন্য হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে স্পষ্টভাবে উৎসাহিত করতে পারে। প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতির বাসভবনে হামলাকারী সকল দুর্বৃত্তকে বিএনপি কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বক্তব্যে প্রকৃত পরিস্থিতির প্রতিফলন নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, হাইকমিশনারের কার্যালয় ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়, এর মধ্যে বিশেষ করে ছয়জন বিরোধী দলের সদস্য সহিংসতায় নিহত হয়েছেন বলে যা উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও বিভ্রান্তিকর।
পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজে কিছু হামলাকারীকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা গেছে। মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় অনুমান করেছে যে মুখোশধারী হামলাকারীরা শাসক দলের লোক। এটি ভুল এবং বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।