লাইফস্টাইল ডেস্ক: এভারেস্ট থেকে অ্যান্টার্কটিকাÑ কোথায় না ছুটে গেছেন আমাদের তরুণরা। ৪২ হাজার ফুট ওপর থেকে শূন্যে ঝাঁপ দিয়েছেন কেউ; কেউ হেঁটেই বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছেন, কেউ আবার সাইকেল নিয়েই পৌঁছে গেছেন হিমালয়ে। ২০২৪ সালে ভ্রমণ ও অ্যাডভেঞ্চারে বাংলাদেশিরা উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশের পতাকা হাতে উড়ন্ত বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুলেছেন আশিক চৌধুরী। ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রিফল উইথ আ ব্যানার/ফ্ল্যাগ’ শাখায় রেকর্ডটির আগের মালিক ছিলেন ভারতের জিতিন বিজয়ানা। এই রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার জন্য গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে ৪১ হাজার ৭৯৫ ফুট উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান থেকে লাফ দেন এই বাংলাদেশি স্কাইডাইভার।
এভারেস্টে আরোহণের দুই দিন পর পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও (৮ হাজার ৫১৬ মিটার) জয় করেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে একই অভিযানে একসঙ্গে দুটি আট হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত জয়ের নজির গড়েন বাবর আলী।
হেঁটে হেঁটে সবার কাছে ‘হাঁটাবাবা’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন সাইফুল ইসলাম। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে ভারতের উদ্দেশে হাঁটা শুরু করে বিশ্বভ্রমণের ষষ্ঠতম দেশ থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন এখন। এ পর্যন্ত সাইফুল পাড়ি দিয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, নেপাল ও থাইল্যান্ড।
হিমালয়ের বিভিন্ন পর্বতারোহণে নারী পর্বতারোহীদের অংশগ্রহণও ছিল উল্লেখ করার মতো। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা বিখ্যাত উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘সুলতানাস ড্রিম আনবাউন্ড’ বা ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত’ সেøাগানে ২১ ডিসেম্বর হিমালয়ে প্রথমবারের মতো কোনো শীতকালীন অভিযানে যান বাংলাদেশি পাঁচ নারী।
এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী নিশাত মজুমদারের নেতৃত্বে দলের অন্য সদস্যরা হলেন ইয়াসমিন লিসা, এপি তালুকদার, অর্পিতা দেবনাথ ও তহুরা সুলতানা। তাদের অভিযানের লক্ষ্য বাংলাদেশের নারীদের দৃঢ়তা, কল্পনাশক্তি ও সাহসিকতা উদ্যাপন। ২৫ দিনের অভিযানে পর্বতারোহীরা নেপালের নয়া কাঙ্গা পিক (৫ হাজার ৮৪৪ মিটার), ব্যাডেন পাওয়েল পিক (৫ হাজার ৭১০ মিটার) ও ইয়ালা পিক (৫ হাজার ৫০০ মিটার) নামের তিনটি পর্বতের শিখরে আরোহণের চেষ্টা করবেন।