ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৪ উষ্ণতম বছর: গবেষণা

  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ২০২৪ সাল প্রায় নিশ্চিতভাবে রেকর্ডকৃত উষ্ণতম বছর হতে চলেছে। নভেম্বরে গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা পূর্ব-শিল্পযুগ স্তরের তুলনায় ১.৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। চলতি বছরের গড় তাপমাত্রা ১.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের রেকর্ড ১.৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বরে গড় বৈশ্বিক পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ১.৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হওয়ার আগের সময়ের তাপমাত্রার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিথ্রিএস-এর ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বারজেস বলেন, ‘আমরা এখন প্রায় নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ২০২৪ হবে রেকর্ডকৃত উষ্ণতম বছর এবং প্রথমবারের মতো গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করবে। এটি প্যারিস চুক্তি লঙ্ঘনের ইঙ্গিত দেয় না, তবে এটি স্পষ্ট করে যে জলবায়ু বিষয়ক জরুরি পদক্ষেপ নেয়া আরও জরুরি।’ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য ১৯৬টি দেশের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ। তবে এটি এক দশক বা তার বেশি সময়ের গড় হিসাব করা হয়, একক বছরে নয়। তবুও, দীর্ঘমেয়াদে এই সীমা বজায় রাখা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ২০২৪ সালে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। সিথ্রিএস-এর তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। জলবায়ু সংকটের কারণে চরম আবহাওয়ার তীব্রতা বেড়েছে। ২০২৪ সালে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় তীব্র দাবানল দেখা দিয়েছে, যা পশ্চিম আমেরিকা, কানাডা, অ্যামাজন বন এবং বিশেষভাবে পান্টানাল জলাভূমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সুইস রি-এর গবেষণা অনুযায়ী, চরম আবহাওয়ার অর্থনৈতিক ক্ষতি ২০২৪ সালে ৬ শতাংশ বেড়ে ৩২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত ১০ বছরের গড়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। তবে ক্ষতির কমপক্ষে অর্ধেকই বীমা দিয়ে পূর্ণ হয়নি। সুইস রি গবেষণায় আরও উল্লেখ করেছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে, ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ, যেমন বাঁধ বা জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পুননির্মাণের চেয়ে ১০ গুণ বেশি কার্যকর।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

২০২৪ উষ্ণতম বছর: গবেষণা

আপডেট সময় : ০৭:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক : ২০২৪ সাল প্রায় নিশ্চিতভাবে রেকর্ডকৃত উষ্ণতম বছর হতে চলেছে। নভেম্বরে গড় বৈশ্বিক তাপমাত্রা পূর্ব-শিল্পযুগ স্তরের তুলনায় ১.৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। চলতি বছরের গড় তাপমাত্রা ১.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের রেকর্ড ১.৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বরে গড় বৈশ্বিক পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল ১.৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হওয়ার আগের সময়ের তাপমাত্রার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিথ্রিএস-এর ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বারজেস বলেন, ‘আমরা এখন প্রায় নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে ২০২৪ হবে রেকর্ডকৃত উষ্ণতম বছর এবং প্রথমবারের মতো গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করবে। এটি প্যারিস চুক্তি লঙ্ঘনের ইঙ্গিত দেয় না, তবে এটি স্পষ্ট করে যে জলবায়ু বিষয়ক জরুরি পদক্ষেপ নেয়া আরও জরুরি।’ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য ১৯৬টি দেশের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ। তবে এটি এক দশক বা তার বেশি সময়ের গড় হিসাব করা হয়, একক বছরে নয়। তবুও, দীর্ঘমেয়াদে এই সীমা বজায় রাখা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে উঠছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ২০২৪ সালে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে। সিথ্রিএস-এর তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। জলবায়ু সংকটের কারণে চরম আবহাওয়ার তীব্রতা বেড়েছে। ২০২৪ সালে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় তীব্র দাবানল দেখা দিয়েছে, যা পশ্চিম আমেরিকা, কানাডা, অ্যামাজন বন এবং বিশেষভাবে পান্টানাল জলাভূমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সুইস রি-এর গবেষণা অনুযায়ী, চরম আবহাওয়ার অর্থনৈতিক ক্ষতি ২০২৪ সালে ৬ শতাংশ বেড়ে ৩২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত ১০ বছরের গড়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। তবে ক্ষতির কমপক্ষে অর্ধেকই বীমা দিয়ে পূর্ণ হয়নি। সুইস রি গবেষণায় আরও উল্লেখ করেছে, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে, ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। অভিযোজনমূলক পদক্ষেপ, যেমন বাঁধ বা জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পুননির্মাণের চেয়ে ১০ গুণ বেশি কার্যকর।’