ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিমবাহ গলার গতি যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি

  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে


প্রত্যাশা ডেস্ক : দুনিয়ার প্রায় সব হিমবাহ গলে যাচ্ছে- আর তা হচ্ছে অন্য যেকোনও সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে। এই তথ্য উঠে আসা নতুন এক জরিপ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘আশঙ্কাজনক চিত্র’ সামনে এসেছে। বুধবার সাইন্স জার্নাল ন্যাচারালে এই জরিপ প্রকাশ হয়েছে। দুনিয়ার প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার হিমবাহের বরফ গলে যাওয়ার চিত্র উঠে এসেছে এতে। এসব হিমবাহ সাগরের উচ্চতা বাড়ার অন্যতম বড় কারণ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার টেরা স্যাটেলাইটের তোলা ২০০০-২০১৯ সাল পর্যন্ত তোলা হাই রেজ্যুলেশন ছবি বিশ্লেষণ করে আন্তির্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি গ্রুপ জরিপটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এসব হিমবাহ থেকে প্রতিবছর ২৬৭ গিগাটন বরফ গলে যাচ্ছে। তবে এই হিসাবের বাইরে রয়েছে গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকের জমে থাকা বিপুল বরফও। এক গিগাটন বরফ দিয়ে নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক ভর্তি করলে তা ৩৪১ মিটার উঁচু হবে। গবেষকরা দেখেছেন হিমবাহ গলার গতিও দ্রুত হয়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর হিমবাহ গলার পরিমাণ ২২৭ গিগাটন। তবে ২০১৫ সালের পর গড়ে প্রতিবছর গলেছে ২৯৮ গিগাটন। এই বিপুল পরিমাণ হিমবাহ গলা পানি সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধিতেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। এতে প্রতিবছর ০.৭৪ মিলিমিটার উচ্চতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তরের চেয়ে দ্রুত গতিতে পড়ছে হিমবাহের ওপর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ায় বরফের স্তরের ভূমিকার চেয়ে হিমবাহের ভূমিকা বেশি। যুক্তরাজ্যের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ররার্ট ম্যাকন্যাব বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে বরফ গলার পরিমাণ নিয়ে বোঝাপড়ার ঘাটতি পূরণ হবে। আগের জরিপগুলোতে দেখা গেছে দুনিয়ার দশ শতাংশ ভর ধরে রাখছে হিসবাহগুলো। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ এবং বরফের স্তরগুলো গলে যাচ্ছে। আর এতে বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। আর তাতে দুনিয়ার উপকূলবর্তী শহরের জনগোষ্ঠী হুমকির মুখে পড়ছে

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হিমবাহ গলার গতি যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি

আপডেট সময় : ০১:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১


প্রত্যাশা ডেস্ক : দুনিয়ার প্রায় সব হিমবাহ গলে যাচ্ছে- আর তা হচ্ছে অন্য যেকোনও সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে। এই তথ্য উঠে আসা নতুন এক জরিপ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘আশঙ্কাজনক চিত্র’ সামনে এসেছে। বুধবার সাইন্স জার্নাল ন্যাচারালে এই জরিপ প্রকাশ হয়েছে। দুনিয়ার প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার হিমবাহের বরফ গলে যাওয়ার চিত্র উঠে এসেছে এতে। এসব হিমবাহ সাগরের উচ্চতা বাড়ার অন্যতম বড় কারণ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার টেরা স্যাটেলাইটের তোলা ২০০০-২০১৯ সাল পর্যন্ত তোলা হাই রেজ্যুলেশন ছবি বিশ্লেষণ করে আন্তির্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি গ্রুপ জরিপটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এসব হিমবাহ থেকে প্রতিবছর ২৬৭ গিগাটন বরফ গলে যাচ্ছে। তবে এই হিসাবের বাইরে রয়েছে গ্রিনল্যান্ড এবং অ্যান্টার্কটিকের জমে থাকা বিপুল বরফও। এক গিগাটন বরফ দিয়ে নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক ভর্তি করলে তা ৩৪১ মিটার উঁচু হবে। গবেষকরা দেখেছেন হিমবাহ গলার গতিও দ্রুত হয়েছে। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর হিমবাহ গলার পরিমাণ ২২৭ গিগাটন। তবে ২০১৫ সালের পর গড়ে প্রতিবছর গলেছে ২৯৮ গিগাটন। এই বিপুল পরিমাণ হিমবাহ গলা পানি সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধিতেও বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। এতে প্রতিবছর ০.৭৪ মিলিমিটার উচ্চতা বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তরের চেয়ে দ্রুত গতিতে পড়ছে হিমবাহের ওপর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সমুদ্রের উচ্চতা বাড়ায় বরফের স্তরের ভূমিকার চেয়ে হিমবাহের ভূমিকা বেশি। যুক্তরাজ্যের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ররার্ট ম্যাকন্যাব বলেন, এই জরিপের মাধ্যমে বরফ গলার পরিমাণ নিয়ে বোঝাপড়ার ঘাটতি পূরণ হবে। আগের জরিপগুলোতে দেখা গেছে দুনিয়ার দশ শতাংশ ভর ধরে রাখছে হিসবাহগুলো। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ এবং বরফের স্তরগুলো গলে যাচ্ছে। আর এতে বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। আর তাতে দুনিয়ার উপকূলবর্তী শহরের জনগোষ্ঠী হুমকির মুখে পড়ছে