ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরতালে খোলা ব্যাংক-বিমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

  • আপডেট সময় : ০২:১০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে রাজধানীর সব ধরনের অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও মার্কেট খুলেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, নবাবপুর ও বংশালে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিদিনের মতোই সকালে মিরপুর-১০ শাহ আলী মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেট খুলেছে। খুলেছে বেগম রোকেয়া সরণি এলাকার সব ধরনের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা অফিস। খুলেছে ভবন নির্মাণ সামগ্রী রড, সিমেন্ট, টাইলসের দোকানও। এসময় কথা হয় মিরপুরের কাজীপাড়ায় টাইলস কিনতে আসা ষাটোর্ধ্ব আবুল কাশেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত রোববার (১৯ নভেম্বর) দোকানদারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল, বলেছিল দোকান খোলা থাকবে। তাই এসেছি। মালামাল গাড়িতে তুলেছি, বাসায় ফিরবো। সকাল থেকেই বাংলামোটরে বিদেশ গমনেচ্ছু মানুষের লম্বা লাইন দেখা গেছে। তারা মেডিকেল চেকাপ করার জন্য অপেক্ষা করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে।
কাতার গমনেচ্ছু আশিকুল ইসলাম বলেন, কাতার যাবো, মেডিকেল করাবো। যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন। মানিকগঞ্জ থেকে এসেছি। আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে। তবে যাত্রী গাড়ি দুইই কম। পল্টনের আশপাশে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসগুলোতে আগের মতোই লোকসমাগম দেখা গেছে। ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিলে সব ধরনের অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, ব্যাংক যথারীতি খুলেছে। গ্রাহক সেবাপ্রার্থীও যথারীতি আসছে। বেলা বেড়ার সঙ্গে গ্রাহক সেবাপ্রার্থীর হারও বেড়েছে। হরতালে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে যথারীতি। জমে উঠেছে ফুটপাতের জামা-কাপড়, তৈজসপত্র, বই, ফল, চা, পান, বিড়ির দোকান। ফার্মগেটের কুনিপাড়া ফুটপাতে রুটির দোকানে প্রতিদিনের মতো উপচে পড়া ভিড়। দোকানের কর্মচারী ফারুক আহমেদ জোকস করে বলেন, হরতালের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়েছে। হরতাল আর আমাদের কাজ, খাওয়া-দাওয়া একসঙ্গে চলবে। দরকার মতো গাড়িও চালানো যাবে। হরতালে খোলা বিজয়নগর, নয়াপল্টন এলাকার সব মার্কেট ও দোকান। মোটরগাড়ির দুয়েকটি শোরুম আংশিক বন্ধ দেখা গেছে। বিজয়নগরে মোটরগাড়ি পার্টসের সব দোকান সকাল থেকেই খোলা আছে। কিন্তু ক্রেতা কম। বিএম এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার বাকিবুল হাসান চৌধুরী সুমন বলেন, দোকান খোলা রাখতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ক্রেতা কম। কমের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ এলাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস। রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে। এ কারণে মানুষ গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না। এজন্য বিক্রিও কম হচ্ছে। নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে আশপাশের সব মার্কেট খোলা। দুয়েকটি দোকানের সাটারের অংশবিশেষ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাজী ভবন শপিং কমপ্লেক্সের পাইকারি কাপড় দোকান মালিহা প্যালেসের ম্যানেজার নূর ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। পুরো বছর ধরে শীত ও রোজার মাসের দুটি মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। এ শীতের মাসে হরতাল-অবরোধে দোকান বন্ধ রাখলে ব্যবসাতে লোকসান গুনতে হবে। এজন্য ব্যবসা বাঁচাতে হরতাল-অবরোধ যাই হোক, দোকান খোলা রাখতে হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

হরতালে খোলা ব্যাংক-বিমা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় : ০২:১০:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে রাজধানীর সব ধরনের অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও মার্কেট খুলেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, নবাবপুর ও বংশালে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিদিনের মতোই সকালে মিরপুর-১০ শাহ আলী মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেট খুলেছে। খুলেছে বেগম রোকেয়া সরণি এলাকার সব ধরনের দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা অফিস। খুলেছে ভবন নির্মাণ সামগ্রী রড, সিমেন্ট, টাইলসের দোকানও। এসময় কথা হয় মিরপুরের কাজীপাড়ায় টাইলস কিনতে আসা ষাটোর্ধ্ব আবুল কাশেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত রোববার (১৯ নভেম্বর) দোকানদারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল, বলেছিল দোকান খোলা থাকবে। তাই এসেছি। মালামাল গাড়িতে তুলেছি, বাসায় ফিরবো। সকাল থেকেই বাংলামোটরে বিদেশ গমনেচ্ছু মানুষের লম্বা লাইন দেখা গেছে। তারা মেডিকেল চেকাপ করার জন্য অপেক্ষা করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে।
কাতার গমনেচ্ছু আশিকুল ইসলাম বলেন, কাতার যাবো, মেডিকেল করাবো। যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন। মানিকগঞ্জ থেকে এসেছি। আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। গাড়িও পাওয়া যাচ্ছে। তবে যাত্রী গাড়ি দুইই কম। পল্টনের আশপাশে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসগুলোতে আগের মতোই লোকসমাগম দেখা গেছে। ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিলে সব ধরনের অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান, ব্যাংক যথারীতি খুলেছে। গ্রাহক সেবাপ্রার্থীও যথারীতি আসছে। বেলা বেড়ার সঙ্গে গ্রাহক সেবাপ্রার্থীর হারও বেড়েছে। হরতালে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে যথারীতি। জমে উঠেছে ফুটপাতের জামা-কাপড়, তৈজসপত্র, বই, ফল, চা, পান, বিড়ির দোকান। ফার্মগেটের কুনিপাড়া ফুটপাতে রুটির দোকানে প্রতিদিনের মতো উপচে পড়া ভিড়। দোকানের কর্মচারী ফারুক আহমেদ জোকস করে বলেন, হরতালের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়েছে। হরতাল আর আমাদের কাজ, খাওয়া-দাওয়া একসঙ্গে চলবে। দরকার মতো গাড়িও চালানো যাবে। হরতালে খোলা বিজয়নগর, নয়াপল্টন এলাকার সব মার্কেট ও দোকান। মোটরগাড়ির দুয়েকটি শোরুম আংশিক বন্ধ দেখা গেছে। বিজয়নগরে মোটরগাড়ি পার্টসের সব দোকান সকাল থেকেই খোলা আছে। কিন্তু ক্রেতা কম। বিএম এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার বাকিবুল হাসান চৌধুরী সুমন বলেন, দোকান খোলা রাখতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ক্রেতা কম। কমের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এ এলাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর অফিস। রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে। এ কারণে মানুষ গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না। এজন্য বিক্রিও কম হচ্ছে। নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে আশপাশের সব মার্কেট খোলা। দুয়েকটি দোকানের সাটারের অংশবিশেষ বন্ধ রাখা হয়েছে। গাজী ভবন শপিং কমপ্লেক্সের পাইকারি কাপড় দোকান মালিহা প্যালেসের ম্যানেজার নূর ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধের মধ্যে দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে। পুরো বছর ধরে শীত ও রোজার মাসের দুটি মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। এ শীতের মাসে হরতাল-অবরোধে দোকান বন্ধ রাখলে ব্যবসাতে লোকসান গুনতে হবে। এজন্য ব্যবসা বাঁচাতে হরতাল-অবরোধ যাই হোক, দোকান খোলা রাখতে হবে।