ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালীর কাছে ১১০০ কোটি টাকা ধার চেয়েছে ইবি

  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক (ইবি) বাংলাদেশ তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছে। এমন পরিস্থিতে ব্যাংকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কাছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ধার চেয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংকটি ধার দেয়ার জন্য সম্মতিও দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি পেলে তারল্য সুবিধা দেবে সোনালী ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি চেয়ে গত সোমবার ইসলামী ব্যাংক চিঠিও দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) আওতায় আরও পাঁচ হাজার কোটি টাকার তারল্য সুবিধা চেয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দেয় ইবি। ইবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। জানা যায়, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির মালিকানা নেয়ার পর থেকে নামে-বেনামে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গ্রুপ। ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে টাকা বের করে নেয়ায় তীব্র তারল্য সংকটে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআরআর ও এসএলআর রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকটির বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চলতি হিসাবেও ঘাটতি তৈরি হয়েছিল।
ঋণাত্মক হলেও লেনদেন অব্যাহত রাখার সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক পলাতক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। টাকা ছাপিয়ে দেয়া সেই বিশেষ সুবিধা এখন বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তাই ব্যাংকটি এখন আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ধার চাচ্ছে ব্যাংকটি। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা তারল্য সুবিধা চায়। ধার দেয়ার বিষয়ে সম্মতিও দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ প্রথম প্রজšে§র শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। সারাদেশে ব্যাংকটির বর্তমানে ৩৯৫ ব্রাঞ্চ, ২৫২ সাব-বাঞ্চ এবং ৭৮৭টি এজেন্ট আউটলেট রয়েছে। সম্প্রতি উচ্চমূল্যস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং দেশের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ব্যাংক খাত থেকে আমানত তোলার চাহিদা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতে ব্যাংকের ওপর তারল্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিন মাসের জন্য আন্তঃব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পেতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে ইবির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, শুধু ইসলামী ব্যাংক নয়। তারল্য সুবিধার জন্য অনেক ব্যাংকই আবেদন করেছে। তবে আন্তঃব্যাংক পদ্ধতিতে গ্যারান্টি চেয়ে কেবল ইবি চিঠি দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো কীভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে আন্তঃব্যাংক মার্কেট থেকে ধার নেবে, এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, যে ব্যাংক ধার নেবে, তার কাউন্টার পার্টি ব্যাংক থেকে আগে মৌখিক সম্মতি নিতে হবে। এরপর ধার নেয়া ব্যাংকের বোর্ডে বিষয়টি তুলে অনুমোদন করাতে হবে। বোর্ডের অনুমোদন মেমোসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে কত টাকা নেবে, তা কীভাবে পরিশোধ করবে, সুদহার কত হবে, তার একটি পরিকল্পনা দিতে হবে। তিন মাসে ধার শোধ করতে না পারলে ব্যাংকটি আরও ৯ মাস সময় পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়ার ক্ষেত্রে একটি কমিশনও পাবে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সোনালী ব্যাংক ১৪ দিনের জন্য ইবিকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ‘কল অ্যান্ড শর্ট নোটিশ ডিপোজিট’ নামে পরিচিত তারল্য সহায়তার আওতায় এই অর্থ দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন পায় এবং পরের দিনই এই অর্থ ইবিকে দেয়া হয়। এই অর্থের মধ্যে সোনালী ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ঋণসীমার বাইরে গিয়ে ৬২১ কোটি টাকা সরবরাহ করেছে এবং তারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও জানিয়েছিল।
ওই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, তারল্য সহায়তার মেয়াদ শেষ হলেও ইসলামী ব্যাংক এখনো পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, ইবি আগে যে এক হাজার কোটি টাকা নিয়েছিল, সেটির সুদ দিচ্ছে, আর কিছু প্রিন্সিপাল পরিশোধ করছে। এতে ওই ঋণটা কমিয়ে আনা হচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের কাছে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে, সেটা কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে দেয়া হবেÑএ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। তবে সেটা ভিন্ন ইস্যু। ইসলামী ব্যাংক আমাদের চিঠি দিয়েছে, তবে এ বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সোনালীর কাছে ১১০০ কোটি টাকা ধার চেয়েছে ইবি

আপডেট সময় : ১০:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক (ইবি) বাংলাদেশ তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছে। এমন পরিস্থিতে ব্যাংকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কাছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ধার চেয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংকটি ধার দেয়ার জন্য সম্মতিও দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি পেলে তারল্য সুবিধা দেবে সোনালী ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি চেয়ে গত সোমবার ইসলামী ব্যাংক চিঠিও দিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) আওতায় আরও পাঁচ হাজার কোটি টাকার তারল্য সুবিধা চেয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠি দেয় ইবি। ইবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। জানা যায়, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। ব্যাংকটির মালিকানা নেয়ার পর থেকে নামে-বেনামে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এই ব্যবসায়ী গ্রুপ। ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে টাকা বের করে নেয়ায় তীব্র তারল্য সংকটে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআরআর ও এসএলআর রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকটির বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চলতি হিসাবেও ঘাটতি তৈরি হয়েছিল।
ঋণাত্মক হলেও লেনদেন অব্যাহত রাখার সুযোগ দিয়েছিলেন সাবেক পলাতক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। টাকা ছাপিয়ে দেয়া সেই বিশেষ সুবিধা এখন বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তাই ব্যাংকটি এখন আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ধার চাচ্ছে ব্যাংকটি। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা তারল্য সুবিধা চায়। ধার দেয়ার বিষয়ে সম্মতিও দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ প্রথম প্রজšে§র শরিয়াভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। সারাদেশে ব্যাংকটির বর্তমানে ৩৯৫ ব্রাঞ্চ, ২৫২ সাব-বাঞ্চ এবং ৭৮৭টি এজেন্ট আউটলেট রয়েছে। সম্প্রতি উচ্চমূল্যস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং দেশের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ব্যাংক খাত থেকে আমানত তোলার চাহিদা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতে ব্যাংকের ওপর তারল্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিন মাসের জন্য আন্তঃব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পেতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে ইবির চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, শুধু ইসলামী ব্যাংক নয়। তারল্য সুবিধার জন্য অনেক ব্যাংকই আবেদন করেছে। তবে আন্তঃব্যাংক পদ্ধতিতে গ্যারান্টি চেয়ে কেবল ইবি চিঠি দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো কীভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি নিয়ে আন্তঃব্যাংক মার্কেট থেকে ধার নেবে, এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, যে ব্যাংক ধার নেবে, তার কাউন্টার পার্টি ব্যাংক থেকে আগে মৌখিক সম্মতি নিতে হবে। এরপর ধার নেয়া ব্যাংকের বোর্ডে বিষয়টি তুলে অনুমোদন করাতে হবে। বোর্ডের অনুমোদন মেমোসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে কত টাকা নেবে, তা কীভাবে পরিশোধ করবে, সুদহার কত হবে, তার একটি পরিকল্পনা দিতে হবে। তিন মাসে ধার শোধ করতে না পারলে ব্যাংকটি আরও ৯ মাস সময় পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দেয়ার ক্ষেত্রে একটি কমিশনও পাবে।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সোনালী ব্যাংক ১৪ দিনের জন্য ইবিকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। ‘কল অ্যান্ড শর্ট নোটিশ ডিপোজিট’ নামে পরিচিত তারল্য সহায়তার আওতায় এই অর্থ দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন পায় এবং পরের দিনই এই অর্থ ইবিকে দেয়া হয়। এই অর্থের মধ্যে সোনালী ব্যাংক অভ্যন্তরীণ ঋণসীমার বাইরে গিয়ে ৬২১ কোটি টাকা সরবরাহ করেছে এবং তারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও জানিয়েছিল।
ওই প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, তারল্য সহায়তার মেয়াদ শেষ হলেও ইসলামী ব্যাংক এখনো পুরো টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, ইবি আগে যে এক হাজার কোটি টাকা নিয়েছিল, সেটির সুদ দিচ্ছে, আর কিছু প্রিন্সিপাল পরিশোধ করছে। এতে ওই ঋণটা কমিয়ে আনা হচ্ছে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের কাছে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে, সেটা কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে দেয়া হবেÑএ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আর বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টি দেবে। তবে সেটা ভিন্ন ইস্যু। ইসলামী ব্যাংক আমাদের চিঠি দিয়েছে, তবে এ বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।