ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

সেই কিশোর ফাইয়াজের জামিন মেলেনি

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যার ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ১৭ বছরের কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপী তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এদিন ফাইয়াজের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। তার আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, জন্ম নিবন্ধন অনুসারে, হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জন্ম ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে সে। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইল হাসপাতালের বিপরীত পাশে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৬ নম্বর আসামি এ শিক্ষার্থী। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে লাশ গুম ও এই কাজে সহায়তাসহ তার মোটরসাইকেল চুরির মামলায় আসামি হিসেবে গতকাল ২৭ জুলাই ঢাকার নিম্ন আদালতে হাজির করা হয় ফাইয়াজকে। এরপর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা অন্য আসামিদের সাথে ফাইয়াজকেও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত প্রত্যেক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত ২৮ জুলাই তাকে শিশু হিসেবে ঘোষণা করেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ বাতিল করে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) পরিবারসহ মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের বিপরীত পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই রাত্রী আনুমানিক ৯টায় গণভবনে সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে বাসা থেকে বের হন। রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তর পাশে আসা মাত্রই পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে উল্লিখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা অনেকে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। এজাহারে আরও বলা হয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাস্তায় পড়ে গেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নাক-কান, মুখ, গলা ও হাত, বুক, পেট, পিঠ, ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও গোড়ালির নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সাথে বুলিয়ে রাখে। মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে আসামিরা পৈশাচিক আনন্দে মেতে ওঠে। মরদেহ গুম করার লক্ষ্যে উলঙ্গ করে তাতে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে।

ওই ঘটনায় রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান এই মামলাটি দায়ের করেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেই কিশোর ফাইয়াজের জামিন মেলেনি

আপডেট সময় : ০২:৩৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যার ঘটনায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ১৭ বছরের কিশোর হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপী তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এদিন ফাইয়াজের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। তার আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, জন্ম নিবন্ধন অনুসারে, হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জন্ম ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে সে। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইল হাসপাতালের বিপরীত পাশে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৬ নম্বর আসামি এ শিক্ষার্থী। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে লাশ গুম ও এই কাজে সহায়তাসহ তার মোটরসাইকেল চুরির মামলায় আসামি হিসেবে গতকাল ২৭ জুলাই ঢাকার নিম্ন আদালতে হাজির করা হয় ফাইয়াজকে। এরপর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা অন্য আসামিদের সাথে ফাইয়াজকেও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত প্রত্যেক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত ২৮ জুলাই তাকে শিশু হিসেবে ঘোষণা করেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ বাতিল করে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) পরিবারসহ মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের বিপরীত পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই রাত্রী আনুমানিক ৯টায় গণভবনে সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে বাসা থেকে বের হন। রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তর পাশে আসা মাত্রই পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে উল্লিখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা অনেকে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে আটক করে। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। এজাহারে আরও বলা হয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাস্তায় পড়ে গেলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নাক-কান, মুখ, গলা ও হাত, বুক, পেট, পিঠ, ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও গোড়ালির নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সাথে বুলিয়ে রাখে। মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে আসামিরা পৈশাচিক আনন্দে মেতে ওঠে। মরদেহ গুম করার লক্ষ্যে উলঙ্গ করে তাতে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে।

ওই ঘটনায় রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান এই মামলাটি দায়ের করেন।