নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি দাম বাড়ার সর্বোচ্চসীমা স্পর্শ করেছে আট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের পাঁচ মিনিটের মাথায় বাড়ে ৩৩ পয়েন্ট। তবে লেনদেনের সময় ১০ মিনিট পার হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫ পয়েন্ট ঋণাত্মক হয়ে যায়। অবশ্য এরপর বড় মূলধনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৭৫ কোটি ৬৪ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ২৫৪ কোটি ৩২ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টির। আর ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেঘনা পেট, এরামিট সিমেন্ট, বিডি থাই ফুড, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, জিল বাংলা সুগার মিল, ইমাম বাটন, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস এবং সমরিতা হাসপাতালের শেয়ার দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। দিনের সর্বোচ্চ দামে লেনদেন হলেও এক পর্যায়ে এই আট কোম্পানির শেয়ারের বিক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
জনপ্রিয় সংবাদ