ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপার ওভারে রংপুর রাইডার্সের হার

  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: অফ স্পিনার ফেলিক্স অর্গ্যানকে যখন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে ফেললেন খুশদিল শাহ, রংপুর রাইডার্সের জয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার। ২৫ বলে প্রয়োজন কেবল ১৭ রানের, উইকেট বাকি ৬টি। অবিশ্বাস্যভাবে, সেই ম্যাচ জিততে পারল না বাংলাদেশের দলটি। শেষ ওভারের শেষ বলে প্রতিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের ভুলে সুযোগ নিয়ে কোনোরকমে ‘টাই’ করতে পারল তারা। পরে সুপার ওভারে হেরেই গেল এক বল বাকি থাকতে। বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে বৈশ্বিক টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে যাওয়া রংপুর রাইডার্সের শুরুটা ভালো হলো না। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্নায়ুর চাপ ও স্কিলের পরীক্ষায় জিতে গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে পথচলা শুরু করল ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার হকস। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে হ্যাম্পশায়ার ২০ ওভারে তোলে ১৩২ রান। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শান মাসুদ করেন ৪১ বলে ৫৬ রান। রংপুরের ইংলিশ পেসার জ্যাক চ্যাপেল নেন ২৩ রানে ৫ উইকেট। রান তাড়া রংপুরের বেশ কজন ভালো শুরু পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। তবু জয়ের পথেই ছিল তারা। সব গড়বড় হয়ে যায় শেষে গিয়ে। শেষ চার ওভারে একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি রংপুর। উইকেট হারায় একের পর এক। ড্রেসিং রুমে অস্থির পায়চারি করতে করতে দলের হাল দেখে এক পর্যায়ে স্তব্ধ হয়ে যান কোচ মিকি আর্থার। শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন পড়ে সাত রানের। দুর্দান্ত বোলিং করে হ্যাম্পশায়ারকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান গত বিপিএলে ফরচুন বরিশালে খেলা পেসার জেমস ফুলার। শেষ বলে রংপুরের দরকার ছিল তিন রান। ফুলারের স্লোয়ার লেংথ বলটিতে টাইমিং করতে পারেননি রিশাদ হোসেন। বল যায় মিড উইকেটে ফিল্ডারের কাছে, কেবল এক রানই হওয়ার কথা। কিন্তু ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করা জো ওয়েদারলি চাপের মধ্যে বল ঠিকমতো ধরতে পারেনি। তাতে দুই রান নিতে পারেন রিশাদ ও সাইফ উদ্দিন। ম্যাচ হয় ‘টাই।’ সুপার ওভারে হ্যাম্পশায়ার বল তুলে দেয় বাঁহাতি পেসার ক্রিস উডকে। তৃতীয়বলে ছক্কা মারেন খুশদিল। তবে ওভারের বাকি বলগুলোয় বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান স্টিভেন টেইলর। রংপুর করতে পারে ১২ রান।
মূল ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করা জ্যাক চ্যাপেলকেই সুপার ওভারে দায়িত্ব দেয় রংপুর। তবে হ্যাম্পশায়ারের বোলিংয়ের নায়ক জেমস ফুলার ব্যাট হাতেও সুপার ওভারে প্রথম বলে চোখধাঁধানো এক ফ্লিক শটে ছক্কা মেরে দেন। পরের বলেই অবশ্য আরেকটি বড় শটের চেষ্টায় আউট হন ফুলার। তবে পঞ্চম বলে আরেকটি ছক্কায় হ্যাম্পশায়ারকে জিতিয়ে দেন লিয়াম ডসন। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ২০১৬ বিপিএলে খেলেছিলেন রংপুরের হয়। এবার তার ছক্কাতেই হেরে গেল রংপুর। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয় নামা হ্যাম্পশায়ার শুরুটা ভালো করতে পারেনি। শেখ মেহেদি হাসান ও সাইফ উদ্দিনের বোলিংয়ে প্রথম তিন ওভারে ১৯ রান নিতে পারে তারা। চতুর্থ ওভারে টম প্রেস্ট ও জো ওয়েদারলিকে ফেরান চ্যাপেল। তৃতীয় উইকেটে অ্যালি ওর ও শান মাসুদ গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ওরকে ২৮ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিশাদ। এরপর মাসুদ ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। ১৬ ওভারে ৯৮ রান ছিল হ্যাম্পশায়ারের। পরে চ্যাপেলকে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন মাসুদ, ছক্কা মারেন রিশাদকে। প্রথম তিন ওভারে ১১ রান দেওয়া রিশাদ নিজের শেষ ওভারে দেন ১২ রান।
শেষ দুই ওভারে আবার হ্যাম্পশায়ারক চেপে ধরে রংপুর। কোনো বাউন্ডারি আসেনি এই সময়ে। শেষ ৯ বলের মধ্যে উইকেট পড়ে ৫টি! ইনিংসের শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ পান চ্যাপেল। ৪১ বলে ৫৬ করে আউট হন মাসুদ। রান তাড়ায় রংপুরকে আগ্রাসী শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও স্টিভেন টেইলর। ৪.২ ওভারেই ৪৫ রান তোলার পর টেইলর আউট হন ১২ বলে ২০ রান করে। পরের ওভারে সৌম্যর ছক্কায় পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় দল। তবে ওই ওভারেই টানা দুটি উইকেট নেন লিয়াম ডসন। সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন সৌম্য (২০ বলে ২৭), প্রথম বলেই সুইপ করার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ আফিফ হোসেন। রংপুর তবু তেমন চাপে পড়েনি। নুরুল হাসান সোহান ও খুশদিল এগিয়ে নেন দলকে। সোহান আউট হন ২৩ বলে ২৪ করে। ওয়েইন ম্যাডসেনকে নিয়ে এরপর দলকে জয়ের পথে রাখেন খুশদিল। ১৬ ওভারের পর থেকে তাদের পথ হারানোর শুরু। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে আসে চার রান। এর মধ্যে জীবনও পান খুশদিল। শেষ বলে তিনি রান আউট হয়ে যান বাজেভাবে (২০ বলে ২৫)। পরের ওভারে আরও দৃষ্টিকটূভাব রান আউট হন ম্যাডসেন (২৬ বলে ১৫)। চাপে পড়া রংপুরকে উদ্ধার করতে পারেননি এরপর শেখ মেহেদি হাসান ও হারমিত সিংও। শেষ বলে তবু প্রতিপক্ষের ভুলে সুপার ওভার খেলার সুযোগ তারা পেয়েছিল। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উজ্জীবিত হ্যাম্পশায়ারই মাঠ ছাড়ল হাসিমুখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
হ্যাম্পশায়ার হকস: ২০ ওভারে ১৩২ (প্রেস্ট ১২, ওর ২৮, ওয়েদারলি ০, শান মাসুদ ৫৬, অ্যালবার্ট ১১, অর্গ্যান ৩, ফুলার ১২, ডসন ১, উড ১*, ব্রিগস ১, বেকার ০; শেখ মেহেদি ৪-০-৩৩-০, সাইফ উদ্দিন ৪-০-২২-১, চ্যাপেল ৪-০-২৩-৫, টেইলর ১-০-৭-০, রিশাদ ৪-০-২৩-১, সৌম্য ১-০-১০-০, হারমিত ২-০-১৩-২)।
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৩২/৮ (টেইলর ২০, সৌম্য ২৭, ম্যাডসেন ১৫, আফিফ ০, সোহান ২৪, খুশদিল ২৫, শেখ মেহেদি ৩, হারমিত ৪, সাইফ উদ্দিন ২*, রিশাদ ৩*; উড ৪-০-২০-১, বেকার ২-০-৩০-০, অর্গান ৩-০-২১-০, ব্রিগস ৪-০-১৮-১, ডসন ৪-০-২৩-২, ফুলার ৩-০-১৭-২)।
ফল: সুপার ওভারে হ্যাম্পশায়ার হকস জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: শান মাসুদ।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

সুপার ওভারে রংপুর রাইডার্সের হার

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: অফ স্পিনার ফেলিক্স অর্গ্যানকে যখন ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে ফেললেন খুশদিল শাহ, রংপুর রাইডার্সের জয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার। ২৫ বলে প্রয়োজন কেবল ১৭ রানের, উইকেট বাকি ৬টি। অবিশ্বাস্যভাবে, সেই ম্যাচ জিততে পারল না বাংলাদেশের দলটি। শেষ ওভারের শেষ বলে প্রতিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের ভুলে সুযোগ নিয়ে কোনোরকমে ‘টাই’ করতে পারল তারা। পরে সুপার ওভারে হেরেই গেল এক বল বাকি থাকতে। বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে বৈশ্বিক টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে যাওয়া রংপুর রাইডার্সের শুরুটা ভালো হলো না। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্নায়ুর চাপ ও স্কিলের পরীক্ষায় জিতে গায়ানায় গ্লোবাল সুপার লিগে পথচলা শুরু করল ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার হকস। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে হ্যাম্পশায়ার ২০ ওভারে তোলে ১৩২ রান। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শান মাসুদ করেন ৪১ বলে ৫৬ রান। রংপুরের ইংলিশ পেসার জ্যাক চ্যাপেল নেন ২৩ রানে ৫ উইকেট। রান তাড়া রংপুরের বেশ কজন ভালো শুরু পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। তবু জয়ের পথেই ছিল তারা। সব গড়বড় হয়ে যায় শেষে গিয়ে। শেষ চার ওভারে একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি রংপুর। উইকেট হারায় একের পর এক। ড্রেসিং রুমে অস্থির পায়চারি করতে করতে দলের হাল দেখে এক পর্যায়ে স্তব্ধ হয়ে যান কোচ মিকি আর্থার। শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন পড়ে সাত রানের। দুর্দান্ত বোলিং করে হ্যাম্পশায়ারকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান গত বিপিএলে ফরচুন বরিশালে খেলা পেসার জেমস ফুলার। শেষ বলে রংপুরের দরকার ছিল তিন রান। ফুলারের স্লোয়ার লেংথ বলটিতে টাইমিং করতে পারেননি রিশাদ হোসেন। বল যায় মিড উইকেটে ফিল্ডারের কাছে, কেবল এক রানই হওয়ার কথা। কিন্তু ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করা জো ওয়েদারলি চাপের মধ্যে বল ঠিকমতো ধরতে পারেনি। তাতে দুই রান নিতে পারেন রিশাদ ও সাইফ উদ্দিন। ম্যাচ হয় ‘টাই।’ সুপার ওভারে হ্যাম্পশায়ার বল তুলে দেয় বাঁহাতি পেসার ক্রিস উডকে। তৃতীয়বলে ছক্কা মারেন খুশদিল। তবে ওভারের বাকি বলগুলোয় বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান স্টিভেন টেইলর। রংপুর করতে পারে ১২ রান।
মূল ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করা জ্যাক চ্যাপেলকেই সুপার ওভারে দায়িত্ব দেয় রংপুর। তবে হ্যাম্পশায়ারের বোলিংয়ের নায়ক জেমস ফুলার ব্যাট হাতেও সুপার ওভারে প্রথম বলে চোখধাঁধানো এক ফ্লিক শটে ছক্কা মেরে দেন। পরের বলেই অবশ্য আরেকটি বড় শটের চেষ্টায় আউট হন ফুলার। তবে পঞ্চম বলে আরেকটি ছক্কায় হ্যাম্পশায়ারকে জিতিয়ে দেন লিয়াম ডসন। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ২০১৬ বিপিএলে খেলেছিলেন রংপুরের হয়। এবার তার ছক্কাতেই হেরে গেল রংপুর। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয় নামা হ্যাম্পশায়ার শুরুটা ভালো করতে পারেনি। শেখ মেহেদি হাসান ও সাইফ উদ্দিনের বোলিংয়ে প্রথম তিন ওভারে ১৯ রান নিতে পারে তারা। চতুর্থ ওভারে টম প্রেস্ট ও জো ওয়েদারলিকে ফেরান চ্যাপেল। তৃতীয় উইকেটে অ্যালি ওর ও শান মাসুদ গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ওরকে ২৮ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রিশাদ। এরপর মাসুদ ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেননি। ১৬ ওভারে ৯৮ রান ছিল হ্যাম্পশায়ারের। পরে চ্যাপেলকে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন মাসুদ, ছক্কা মারেন রিশাদকে। প্রথম তিন ওভারে ১১ রান দেওয়া রিশাদ নিজের শেষ ওভারে দেন ১২ রান।
শেষ দুই ওভারে আবার হ্যাম্পশায়ারক চেপে ধরে রংপুর। কোনো বাউন্ডারি আসেনি এই সময়ে। শেষ ৯ বলের মধ্যে উইকেট পড়ে ৫টি! ইনিংসের শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ পান চ্যাপেল। ৪১ বলে ৫৬ করে আউট হন মাসুদ। রান তাড়ায় রংপুরকে আগ্রাসী শুরু এনে দেন সৌম্য সরকার ও স্টিভেন টেইলর। ৪.২ ওভারেই ৪৫ রান তোলার পর টেইলর আউট হন ১২ বলে ২০ রান করে। পরের ওভারে সৌম্যর ছক্কায় পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় দল। তবে ওই ওভারেই টানা দুটি উইকেট নেন লিয়াম ডসন। সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন সৌম্য (২০ বলে ২৭), প্রথম বলেই সুইপ করার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ আফিফ হোসেন। রংপুর তবু তেমন চাপে পড়েনি। নুরুল হাসান সোহান ও খুশদিল এগিয়ে নেন দলকে। সোহান আউট হন ২৩ বলে ২৪ করে। ওয়েইন ম্যাডসেনকে নিয়ে এরপর দলকে জয়ের পথে রাখেন খুশদিল। ১৬ ওভারের পর থেকে তাদের পথ হারানোর শুরু। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে আসে চার রান। এর মধ্যে জীবনও পান খুশদিল। শেষ বলে তিনি রান আউট হয়ে যান বাজেভাবে (২০ বলে ২৫)। পরের ওভারে আরও দৃষ্টিকটূভাব রান আউট হন ম্যাডসেন (২৬ বলে ১৫)। চাপে পড়া রংপুরকে উদ্ধার করতে পারেননি এরপর শেখ মেহেদি হাসান ও হারমিত সিংও। শেষ বলে তবু প্রতিপক্ষের ভুলে সুপার ওভার খেলার সুযোগ তারা পেয়েছিল। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উজ্জীবিত হ্যাম্পশায়ারই মাঠ ছাড়ল হাসিমুখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
হ্যাম্পশায়ার হকস: ২০ ওভারে ১৩২ (প্রেস্ট ১২, ওর ২৮, ওয়েদারলি ০, শান মাসুদ ৫৬, অ্যালবার্ট ১১, অর্গ্যান ৩, ফুলার ১২, ডসন ১, উড ১*, ব্রিগস ১, বেকার ০; শেখ মেহেদি ৪-০-৩৩-০, সাইফ উদ্দিন ৪-০-২২-১, চ্যাপেল ৪-০-২৩-৫, টেইলর ১-০-৭-০, রিশাদ ৪-০-২৩-১, সৌম্য ১-০-১০-০, হারমিত ২-০-১৩-২)।
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৩২/৮ (টেইলর ২০, সৌম্য ২৭, ম্যাডসেন ১৫, আফিফ ০, সোহান ২৪, খুশদিল ২৫, শেখ মেহেদি ৩, হারমিত ৪, সাইফ উদ্দিন ২*, রিশাদ ৩*; উড ৪-০-২০-১, বেকার ২-০-৩০-০, অর্গান ৩-০-২১-০, ব্রিগস ৪-০-১৮-১, ডসন ৪-০-২৩-২, ফুলার ৩-০-১৭-২)।
ফল: সুপার ওভারে হ্যাম্পশায়ার হকস জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: শান মাসুদ।