ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিটির জয়রথ থামিয়ে ইউরোপা লিগে ব্রাইটন

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: চেনা আঙিনায় আক্রমণের পসরা মেলে উজ্জীবিত ফুটবল খেলল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন। এগিয়ে গিয়েও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। মূল্যবান এক পয়েন্ট পেয়ে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলা নিশ্চিত করল ব্রাইটন। ব্রাইটনের মাঠে বুধবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ফিল ফোডেন সিটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন হুলিও এনসিসো। আগেই শিরোপা জেতা সিটি লিগে টানা ১২ জয়ের পর পয়েন্ট হারাল। আক্রমণে ব্রাইটনের দাপটের প্রমাণ মেলে পরিসংখ্যানেও। ৩৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য মোট ২০টি শট নেয় তারা, যার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে সিটির ১৩ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের (২১) পর এই প্রথম কোনো দল সিটির বিপক্ষে লিগ ম্যাচে গোলে ২০টি শট নিতে পারল। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ শাণানো ব্রাইটন ২০তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত। ড্যানি ওয়েলবেকের ফ্রি কিক ক্রসবারে লাগে। এর পাঁচ মিনিট পর এগিয়ে যায় সিটি। মাঝমাঠ থেকে রিয়াদ মাহরেজের পাস ধরে এগিয়ে যান আর্লিং হলান্ড। গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় নরওয়ের ফরোয়ার্ড অন্য পাশে বল দেন ফোডেনকে। এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের শটে বল ব্রাইটনের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। খানিক পর কাওরো মিতোমা সিটি জালে বল পাঠালে উৎসবে মাতে ব্রাইটন, তবে বল মিতোমার হাতে লাগায় গোল মেলেনি। ৩৮তম মিনিটে দুর্দান্ত গোলে সমতা ফেরান এনসিসো। ২৫ গজ দূর থেকে তার ডান পায়ের জোরাল শটে বল দূরের পোস্টের ওপরের কোণা দিয়ে জাল খুঁজে নেয়। বিরতির আগে আবার সিটির জালে বল পাঠায় স্বাগতিকরা, তবে অফসাইডে ছিলেন ওয়েলবেক। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুটা ভালো করে ব্রাইটন। ৬৫তম মিনিটে মিতোমার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক স্টেফান ওর্টেগা। ৭২তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পার্ভিস এস্তুপিনানের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে বেঁচে যায় সিটি। ৭৮ম মিনিটে হেডে জালে বল পাঠিয়ে উদযাপনে মাতেন হলান্ড। তবে ভিএআরে মনিটরে রিপ্লে দেখে গোল দেননি রেফারি। হলান্ড হেড নেওয়ার আগে ব্রাইটনের লেভি কলউইলের জার্সি টেনে ধরেছিলেন। শেষ দিকে ব্রাইটন আরেকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তবে লক্ষ্য ঠিকই পূরণ হয়ে যায় তাদের। ৩৭ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ব্রাইটন। শেষ রাউন্ডে যাই ঘটুক না কেন, তাদের অবস্থানের পরিবর্তন হবে না। ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে সাতে অ্যাস্টন ভিলা। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন সিটির পয়েন্ট ৮৯।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সিটির জয়রথ থামিয়ে ইউরোপা লিগে ব্রাইটন

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক: চেনা আঙিনায় আক্রমণের পসরা মেলে উজ্জীবিত ফুটবল খেলল ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন। এগিয়ে গিয়েও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না ম্যানচেস্টার সিটি। মূল্যবান এক পয়েন্ট পেয়ে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগে খেলা নিশ্চিত করল ব্রাইটন। ব্রাইটনের মাঠে বুধবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। ফিল ফোডেন সিটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন হুলিও এনসিসো। আগেই শিরোপা জেতা সিটি লিগে টানা ১২ জয়ের পর পয়েন্ট হারাল। আক্রমণে ব্রাইটনের দাপটের প্রমাণ মেলে পরিসংখ্যানেও। ৩৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য মোট ২০টি শট নেয় তারা, যার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে সিটির ১৩ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের (২১) পর এই প্রথম কোনো দল সিটির বিপক্ষে লিগ ম্যাচে গোলে ২০টি শট নিতে পারল। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ শাণানো ব্রাইটন ২০তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত। ড্যানি ওয়েলবেকের ফ্রি কিক ক্রসবারে লাগে। এর পাঁচ মিনিট পর এগিয়ে যায় সিটি। মাঝমাঠ থেকে রিয়াদ মাহরেজের পাস ধরে এগিয়ে যান আর্লিং হলান্ড। গোলরক্ষক এগিয়ে আসায় নরওয়ের ফরোয়ার্ড অন্য পাশে বল দেন ফোডেনকে। এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের শটে বল ব্রাইটনের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। খানিক পর কাওরো মিতোমা সিটি জালে বল পাঠালে উৎসবে মাতে ব্রাইটন, তবে বল মিতোমার হাতে লাগায় গোল মেলেনি। ৩৮তম মিনিটে দুর্দান্ত গোলে সমতা ফেরান এনসিসো। ২৫ গজ দূর থেকে তার ডান পায়ের জোরাল শটে বল দূরের পোস্টের ওপরের কোণা দিয়ে জাল খুঁজে নেয়। বিরতির আগে আবার সিটির জালে বল পাঠায় স্বাগতিকরা, তবে অফসাইডে ছিলেন ওয়েলবেক। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুটা ভালো করে ব্রাইটন। ৬৫তম মিনিটে মিতোমার প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক স্টেফান ওর্টেগা। ৭২তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পার্ভিস এস্তুপিনানের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে বেঁচে যায় সিটি। ৭৮ম মিনিটে হেডে জালে বল পাঠিয়ে উদযাপনে মাতেন হলান্ড। তবে ভিএআরে মনিটরে রিপ্লে দেখে গোল দেননি রেফারি। হলান্ড হেড নেওয়ার আগে ব্রাইটনের লেভি কলউইলের জার্সি টেনে ধরেছিলেন। শেষ দিকে ব্রাইটন আরেকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তবে লক্ষ্য ঠিকই পূরণ হয়ে যায় তাদের। ৩৭ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ব্রাইটন। শেষ রাউন্ডে যাই ঘটুক না কেন, তাদের অবস্থানের পরিবর্তন হবে না। ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে সাতে অ্যাস্টন ভিলা। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন সিটির পয়েন্ট ৮৯।