ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স-২০২৪ এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের ডিএসসিএসসি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্স সম্পন্নকারী অফিসারদের মাঝে গ্র্যাজুয়েশন (পিএসসি) সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধান বলেন, দেশি ও বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উন্নয়নে ডিএসসিএসসির ভূমিকা অনস্বীকার্য। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নকারী অফিসারদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি তাদের এই কোর্সে অর্জিত প্রজ্ঞা, সংকল্প ও পরিকল্পনাকে জাতির অগ্রগতিতে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। সেনাপ্রধান সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্টকে ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৪ এর সফল সমাপ্তির জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমান্ড্যান্ট, ডিএসসিএসসি মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী। তিনি কলেজের অগ্রগতি ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের পেশাগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী প্রধানের অব্যাহত সহায়তা ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর সদয় উপস্থিতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী অফিসাররা আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনায় একতা, বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধের ভিত্তিতে অবদান রাখবেন এবং তাদের অর্জিত জ্ঞানকে বিস্তৃত করবেন। এ বছর ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৪-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪১ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪০ জন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২৬ জন, বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন এবং চীন, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, কুয়েত, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ সুদান, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা ও জাম্বিয়া থেকে আগত ৫৭ জন অফিসারসহ ২৬৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে, এ বছর মোট ১৩ জন নারী অফিসার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যম পর্যায়ের নির্বাচিত অফিসারদের কমান্ডার ও স্টাফ হিসাবে ভবিষ্যতের গুরু দায়িত্ব পালনে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬ হাজার ৫০৩ জন অফিসার এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ৭৯ জন, ১৭ জন পুলিশ অফিসার এবং ৪৫টি বন্ধুপ্রতিম দেশের মোট ১ হাজার ৪০৭ জন বিদেশি সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার এই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ (চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত), বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপক, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের ডিফেন্স/ মিলিটারি/নেভাল/এয়ার অ্যাডভাইজার/অ্যাটাচিরা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজে গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ

আপডেট সময় : ০৮:৫১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স-২০২৪ এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের ডিএসসিএসসি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্স সম্পন্নকারী অফিসারদের মাঝে গ্র্যাজুয়েশন (পিএসসি) সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধান বলেন, দেশি ও বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের কৌশলগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উন্নয়নে ডিএসসিএসসির ভূমিকা অনস্বীকার্য। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নকারী অফিসারদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি তাদের এই কোর্সে অর্জিত প্রজ্ঞা, সংকল্প ও পরিকল্পনাকে জাতির অগ্রগতিতে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। সেনাপ্রধান সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্টকে ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৪ এর সফল সমাপ্তির জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমান্ড্যান্ট, ডিএসসিএসসি মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী। তিনি কলেজের অগ্রগতি ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের পেশাগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী প্রধানের অব্যাহত সহায়তা ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর সদয় উপস্থিতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী অফিসাররা আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনায় একতা, বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধের ভিত্তিতে অবদান রাখবেন এবং তাদের অর্জিত জ্ঞানকে বিস্তৃত করবেন। এ বছর ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৪-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৪১ জন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪০ জন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২৬ জন, বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন এবং চীন, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, কুয়েত, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ সুদান, শ্রীলংকা, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা ও জাম্বিয়া থেকে আগত ৫৭ জন অফিসারসহ ২৬৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে, এ বছর মোট ১৩ জন নারী অফিসার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যম পর্যায়ের নির্বাচিত অফিসারদের কমান্ডার ও স্টাফ হিসাবে ভবিষ্যতের গুরু দায়িত্ব পালনে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬ হাজার ৫০৩ জন অফিসার এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ৭৯ জন, ১৭ জন পুলিশ অফিসার এবং ৪৫টি বন্ধুপ্রতিম দেশের মোট ১ হাজার ৪০৭ জন বিদেশি সশস্ত্র বাহিনীর অফিসার এই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ (চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত), বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপক, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের ডিফেন্স/ মিলিটারি/নেভাল/এয়ার অ্যাডভাইজার/অ্যাটাচিরা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।