ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সামরিক বাজেট ২০০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা ইরানের

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইরান তার সামরিক বাজেট তিনগুণ করার পরিকল্পনা করেছে বলে দেশটির একজন সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে তেহরান। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি মঙ্গলবার বলেছেন, পরিকল্পিত প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি সংসদে অনুমোদনের জন্য পেশ করা সরকারের একটি প্রস্তাবের অংশ। আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে মোহাজেরানি বলেছেন, “দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটে ২০০ শতাংশের মতো উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।” প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিতর্ক হবে এবং এরপর ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আইনপ্রণেতারা এটি চূড়ান্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত সংবাদ সম্মেলনে এই মুখপাত্র সামরিক বাজেট ২০০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এই বাড়তি বাজেট কোন খাতে ব্যয় হবে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারেননি। মূলত সরকার স্বীকার না করলে তেহরানের বার্ষিক সামরিক ব্যয়ের সঠিক পরিসংখ্যান বের করা অত্যন্ত কঠিন। তবে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির সামরিক বাজেটের সর্বোচ্চ অংশ ইসলামি রেভ্যুলিউশনারী গার্ড (আইআরজিসি) পেয়ে থাকে। আর নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য শাখাগুলোর বরাদ্দ আইআরজিসির চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। এদিকে ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই বলেছেন, ইসরায়েলি হামলার জবাব দিতে সব ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে। তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গত শনিবার ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তেহরান বলেছে, হামলায় তাদের সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার তেহরান ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে সমরাস্ত্র কারখানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূণ স্থাপনায় তিন দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার পর নতুন করে উভয় দেশের হামলা-পাল্টা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা ইরানি কর্মকর্তারাই নির্ধারণ করবেন। প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। আর তারই জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাবে- গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন ধারণাই করা হচ্ছিল। মূলত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে শনিবার ভোরে ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে এবার হামলা করেছে ইসরায়েল। এসব হামলা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলার দাবি করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। একই সাথে কিছু জায়গায় ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের
এদিকে ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। রোববার রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু, সেই বৈঠকে মন্ত্রিসভার সব সদস্য ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩। ইসরায়েলের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গুঞ্জন চলছে যে গত ১৯ অক্টোবর তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বাসভবনে যে ড্রোন হামলা হয়েছিল, তার জবাব দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক মন্ত্রী বলেছেন ওই হামলার সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু সেক্ষেত্রে কী কারনে ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে— সে সম্পর্কেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষক মনে করেন, শনিবারের হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি ইসরায়েলে পাল্টা হামলা ঘোষণা দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়াতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। গত ২৬ অক্টোবর শনিবার ইরানে সংক্ষিপ্ত ও সীমিত মাত্রার হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া সেই অভিযানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির করখানা ও মজুতে গোলা বর্ষণ করা হয়েছিল, ইরানের দুই জন সদস্য নিহতও হয়েছিলেন। রোববার এক বক্তব্যে খামেনি বলেন, “ইসরায়েলের হামলাকে আমরা অতিরঞ্জিত করছি না, আবার তুচ্ছও করছি না। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থে এই হামলার জবাব আমাদের দিতে হবে। কীভাবে তা দেওয়া হবে তা সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন।” একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই বলেন, “আমাদের কাছে যা যা আছে, তাই দিয়ে আমরা জায়নবাদীদের হামলার জবাব দেবো।” খামেনি এবং ইসমাইল বাঘেই’র মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। সূত্র : আরটি, আনাদোলু এজেন্সি

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

সামরিক বাজেট ২০০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা ইরানের

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

বিদেশের খবর ডেস্ক : ইরান তার সামরিক বাজেট তিনগুণ করার পরিকল্পনা করেছে বলে দেশটির একজন সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে তেহরান। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি মঙ্গলবার বলেছেন, পরিকল্পিত প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি সংসদে অনুমোদনের জন্য পেশ করা সরকারের একটি প্রস্তাবের অংশ। আরও বিশদ বিবরণ না দিয়ে মোহাজেরানি বলেছেন, “দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটে ২০০ শতাংশের মতো উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।” প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিতর্ক হবে এবং এরপর ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আইনপ্রণেতারা এটি চূড়ান্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত সংবাদ সম্মেলনে এই মুখপাত্র সামরিক বাজেট ২০০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এই বাড়তি বাজেট কোন খাতে ব্যয় হবে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারেননি। মূলত সরকার স্বীকার না করলে তেহরানের বার্ষিক সামরিক ব্যয়ের সঠিক পরিসংখ্যান বের করা অত্যন্ত কঠিন। তবে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির সামরিক বাজেটের সর্বোচ্চ অংশ ইসলামি রেভ্যুলিউশনারী গার্ড (আইআরজিসি) পেয়ে থাকে। আর নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য শাখাগুলোর বরাদ্দ আইআরজিসির চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। এদিকে ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই বলেছেন, ইসরায়েলি হামলার জবাব দিতে সব ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে। তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গত শনিবার ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তেহরান বলেছে, হামলায় তাদের সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার তেহরান ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে সমরাস্ত্র কারখানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূণ স্থাপনায় তিন দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলার পর নতুন করে উভয় দেশের হামলা-পাল্টা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা ইরানি কর্মকর্তারাই নির্ধারণ করবেন। প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। আর তারই জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাবে- গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন ধারণাই করা হচ্ছিল। মূলত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিক্রিয়া হিসেবে শনিবার ভোরে ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে এবার হামলা করেছে ইসরায়েল। এসব হামলা সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলার দাবি করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। একই সাথে কিছু জায়গায় ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের
এদিকে ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। রোববার রাতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু, সেই বৈঠকে মন্ত্রিসভার সব সদস্য ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে’ ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার প্রস্তাব সমর্থন করেছেন। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩। ইসরায়েলের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে গুঞ্জন চলছে যে গত ১৯ অক্টোবর তেল আবিবে নেতানিয়াহুর বাসভবনে যে ড্রোন হামলা হয়েছিল, তার জবাব দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক মন্ত্রী বলেছেন ওই হামলার সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু সেক্ষেত্রে কী কারনে ইরানে দ্বিতীয় দফা হামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে— সে সম্পর্কেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষক মনে করেন, শনিবারের হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সম্প্রতি ইসরায়েলে পাল্টা হামলা ঘোষণা দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়াতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। গত ২৬ অক্টোবর শনিবার ইরানে সংক্ষিপ্ত ও সীমিত মাত্রার হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া সেই অভিযানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির করখানা ও মজুতে গোলা বর্ষণ করা হয়েছিল, ইরানের দুই জন সদস্য নিহতও হয়েছিলেন। রোববার এক বক্তব্যে খামেনি বলেন, “ইসরায়েলের হামলাকে আমরা অতিরঞ্জিত করছি না, আবার তুচ্ছও করছি না। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থে এই হামলার জবাব আমাদের দিতে হবে। কীভাবে তা দেওয়া হবে তা সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন।” একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘেই বলেন, “আমাদের কাছে যা যা আছে, তাই দিয়ে আমরা জায়নবাদীদের হামলার জবাব দেবো।” খামেনি এবং ইসমাইল বাঘেই’র মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। সূত্র : আরটি, আনাদোলু এজেন্সি