ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাকিবের খেলতে না পারার পেছনে বোর্ড জড়িত নয়: ফারুক

  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়ে দলও ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাননি বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত গেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সাকিবের দেশে আসা নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও বুধবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, বিসিবির তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকলেও রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই দেশে আসতে পারেননি সাকিব।
বুধবার বোর্ড সভায় ঢোকার আগে গণমাধ্যমকে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘আপনি যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে ফিরতে পারেনি… একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান তাদের ব্যাপার)…। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।’
ফারুক দাবি করেছেন, সাকিবকে দেশের মাটিতে বিদায় দেওয়ার সব চেষ্টাই তিনি করেছেন। কিন্তু সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই মূলত সেই চেষ্টা বিফলে গেছে। সরাসরি এমন কিছু না বললেও তার কথাতে ছিল সেই ইঙ্গিত, ‘সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।’
পরের বক্তব্যে ফারুক স্পষ্ট করে বলেছেন, সাকিবের না আসাতে বোর্ডের কোন দায় নেই। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে। আমি মনে করেছি তার দেশ থেকে অবসর হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত আছে। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা, আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।’

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

সাকিবের খেলতে না পারার পেছনে বোর্ড জড়িত নয়: ফারুক

আপডেট সময় : ০৯:০২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

ক্রীড়া প্রতিবেদক : দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকে নিয়ে দলও ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাননি বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত গেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সাকিবের দেশে আসা নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখলেও বুধবার (৩০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, বিসিবির তরফ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকলেও রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই দেশে আসতে পারেননি সাকিব।
বুধবার বোর্ড সভায় ঢোকার আগে গণমাধ্যমকে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘আপনি যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে ফিরতে পারেনি… একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান তাদের ব্যাপার)…। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।’
ফারুক দাবি করেছেন, সাকিবকে দেশের মাটিতে বিদায় দেওয়ার সব চেষ্টাই তিনি করেছেন। কিন্তু সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই মূলত সেই চেষ্টা বিফলে গেছে। সরাসরি এমন কিছু না বললেও তার কথাতে ছিল সেই ইঙ্গিত, ‘সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।’
পরের বক্তব্যে ফারুক স্পষ্ট করে বলেছেন, সাকিবের না আসাতে বোর্ডের কোন দায় নেই। এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমি সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেছি যে একটা ছেলে ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছে, সে একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বাংলাদেশের জন্য অনেক করেছে। আমি মনে করেছি তার দেশ থেকে অবসর হলে ভালো হতো। কিন্তু সঙ্গে অন্য জিনিসগুলোও তো দেখতে হবে। ওই জিনিসগুলো মিলিয়ে শেষ মুহূর্তে সে আসতে পারেনি, এটার ব্যাপারে বোর্ডের কিছু করার ছিল না। এটা পুরোপুরি আইনগত ব্যাপার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতে জড়িত আছে। সুতরাং এটা সাকিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপার ছিল। বোর্ড এটার অংশ ছিল না। সে এলে বোর্ডের যতটুকু ক্ষমতা, আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সে আসেনি, এটা নিয়ে আর কথা বলে লাভ নেই।’