ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাইমের ৯৮ ছাপিয়ে সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার নায়ক হেনড্রিকস

  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: শেষ ৯ বলে স্ট্রাইকই পেলেন না সাইম আইয়ুব। তাই সেঞ্চুরির শেষ চেষ্টাই করতে পারলেন না তরুণ ওপেনার। তবে তার ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসের সৌজন্েয বড় সংগ্রহ গড়ল পাকিস্তান। রিজা হেনড্রিকসের প্রথম সেঞ্চুরি ও রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে তার রেকর্ড গড়া জুটিতে সেই রান পেরিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলেছে ৩ বল বাকি থাকতে। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার জোহানেসবার্গে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্েয মাঠে নামবে তারা। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাইম। বাবর আজম ও ইরফান খানের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি উপহার দেওয়া তরুণের ৫৭ বলের ইনিংস গড়া পাঁচ ছক্কা ও ১১ চারে। চলতি বছর দ্বিতীয়বার নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙলেন হেনড্রিকস। গত মে মাসে আগের সেরা ৮৩ ছাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ৮৭ রান। এবার পেলেন সেঞ্চুরির অনির্বচনীয় স্বাদ। ৬৩ বলে ১০ ছক্কা ও সাত চারে খেললেন ১১৭ রানের দারুণ ইনিংস। কুইন্টন ডি কককে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি (১৮টি) পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের কীর্তি গড়লেন তিনি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল একটু মন্থর। চতুর্থ ওভারে ১৬ রানে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর আজমের সঙ্গে ৪৫ বলে ৮৭ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন সাইম। ২০ বলে ৩১ রান করে বাবরের বিদায়ের পর উসমান খান ও তৈয়ব তাহিরকে দ্রুত ফিরিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেন ডায়ান গালিয়েম। শেষ দিকে সাইম ও ইরফান খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। তারা ৩২ বলে যোগ করে ৭৩ রান। জুটিতে দুই জনেই খেলেন ১৬ বল করে, সাইম করেন ৩৫, ইরফান ৩০।
শেষ চার বলে ১১ রান করে দলকে দুইশ রানে নিয়ে যান আব্বাস আফ্রিদি। মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার গালিয়েম। রান তাড়ায় ৪ ওভারের মধ্েয রায়ান রিকেলটন ও ম্যাথু ব্রিটস্কির উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ব্যাটসম্যানকেই বিদায় করেন জাহানদাদ খান। শুরুর সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডাসেনের বিস্ফোরক জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে যায় জয়ের পথে। ৮৩ বল স্থায়ী ১৫৭ রানের জুটিতে অগ্রণী ছিলেন হেনড্রিকস। সেঞ্চুরির পথে ৫১ বলে তিনি করেন ১০৩ রান, ২৩ বলে ফন ডার ডাসেন ৪৯। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রিচার্ড লেভি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন ১৩৩। দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে ফেরেন হেনড্রিকস। হাইনরিখ ক্লসেনকে নিয়ে বাকিটা সারেন ফন ডার ডাসেন। ৩৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৬৬ রান। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন অধিনায়ক ক্লসেন। আরও একবার খরুচে বোলিং করেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে গতিময় এই পেসার দেন ৫৭ রান। আবরার আহমেদ ছাড়া বাকি সবাই রান দেন ওভার প্রতি ৯ এর বেশি করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (রিজওয়ান ১১, সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, উসমান ৩, তৈয়ব ৬, ইরফান ৩০, আব্বাস ১১*; গ্যারিয়েম ৪-০-২১-২, মাফাকা ৩-০-৪১-০, ফেরেইরা ৩-০-৩৭-০, বার্টম্যান ৪-০-৫১-২, পিটার ২-০-২৮-০, লিন্ডা ৪-০-২৮-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, রিকেলটন ২, ব্রিটস্কি ১২, ফন ডার ডাসেন ৬৬*, ক্লসেন ৮*; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-৩৭-০, জাহানদাদ ৪-০-৪০-২, রউফ ৪-০-৫৭-০, আব্বাস আফ্রিদি ৩.৩-০-৪৬-১, আবরার ৪-০-২৯-০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

সাইমের ৯৮ ছাপিয়ে সেঞ্চুরিতে দ. আফ্রিকার নায়ক হেনড্রিকস

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: শেষ ৯ বলে স্ট্রাইকই পেলেন না সাইম আইয়ুব। তাই সেঞ্চুরির শেষ চেষ্টাই করতে পারলেন না তরুণ ওপেনার। তবে তার ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসের সৌজন্েয বড় সংগ্রহ গড়ল পাকিস্তান। রিজা হেনড্রিকসের প্রথম সেঞ্চুরি ও রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে তার রেকর্ড গড়া জুটিতে সেই রান পেরিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলেছে ৩ বল বাকি থাকতে। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার জোহানেসবার্গে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্েয মাঠে নামবে তারা। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাইম। বাবর আজম ও ইরফান খানের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি উপহার দেওয়া তরুণের ৫৭ বলের ইনিংস গড়া পাঁচ ছক্কা ও ১১ চারে। চলতি বছর দ্বিতীয়বার নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙলেন হেনড্রিকস। গত মে মাসে আগের সেরা ৮৩ ছাড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ৮৭ রান। এবার পেলেন সেঞ্চুরির অনির্বচনীয় স্বাদ। ৬৩ বলে ১০ ছক্কা ও সাত চারে খেললেন ১১৭ রানের দারুণ ইনিংস। কুইন্টন ডি কককে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি (১৮টি) পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসের কীর্তি গড়লেন তিনি। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল একটু মন্থর। চতুর্থ ওভারে ১৬ রানে ফেরেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর আজমের সঙ্গে ৪৫ বলে ৮৭ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন সাইম। ২০ বলে ৩১ রান করে বাবরের বিদায়ের পর উসমান খান ও তৈয়ব তাহিরকে দ্রুত ফিরিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দেন ডায়ান গালিয়েম। শেষ দিকে সাইম ও ইরফান খানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। তারা ৩২ বলে যোগ করে ৭৩ রান। জুটিতে দুই জনেই খেলেন ১৬ বল করে, সাইম করেন ৩৫, ইরফান ৩০।
শেষ চার বলে ১১ রান করে দলকে দুইশ রানে নিয়ে যান আব্বাস আফ্রিদি। মাত্র ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার গালিয়েম। রান তাড়ায় ৪ ওভারের মধ্েয রায়ান রিকেলটন ও ম্যাথু ব্রিটস্কির উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ব্যাটসম্যানকেই বিদায় করেন জাহানদাদ খান। শুরুর সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডাসেনের বিস্ফোরক জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে যায় জয়ের পথে। ৮৩ বল স্থায়ী ১৫৭ রানের জুটিতে অগ্রণী ছিলেন হেনড্রিকস। সেঞ্চুরির পথে ৫১ বলে তিনি করেন ১০৩ রান, ২৩ বলে ফন ডার ডাসেন ৪৯। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে এটাই দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা জুটি। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রিচার্ড লেভি ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন ১৩৩। দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে ফেরেন হেনড্রিকস। হাইনরিখ ক্লসেনকে নিয়ে বাকিটা সারেন ফন ডার ডাসেন। ৩৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে তিনি করেন ৬৬ রান। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন অধিনায়ক ক্লসেন। আরও একবার খরুচে বোলিং করেন হারিস রউফ। ৪ ওভারে গতিময় এই পেসার দেন ৫৭ রান। আবরার আহমেদ ছাড়া বাকি সবাই রান দেন ওভার প্রতি ৯ এর বেশি করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (রিজওয়ান ১১, সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, উসমান ৩, তৈয়ব ৬, ইরফান ৩০, আব্বাস ১১*; গ্যারিয়েম ৪-০-২১-২, মাফাকা ৩-০-৪১-০, ফেরেইরা ৩-০-৩৭-০, বার্টম্যান ৪-০-৫১-২, পিটার ২-০-২৮-০, লিন্ডা ৪-০-২৮-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, রিকেলটন ২, ব্রিটস্কি ১২, ফন ডার ডাসেন ৬৬*, ক্লসেন ৮*; শাহিন আফ্রিদি ৪-০-৩৭-০, জাহানদাদ ৪-০-৪০-২, রউফ ৪-০-৫৭-০, আব্বাস আফ্রিদি ৩.৩-০-৪৬-১, আবরার ৪-০-২৯-০)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী