ঢাকা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে শহরে জলাবদ্ধতা

  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুর জেলায় ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর ২৭ মে জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ২৫৭ মিলিমিটার। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শহর ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মহল্লা ও সড়কে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে শহরের নাজিরপাড়া, মিশন রোড আশ্রম এলাকা, প্রফেসর পাড়া, মমিনপাড়া, গুয়াখোলা, চিত্রলেখা মোড়, পালপাড়া, আলিমপাড়া, আদালতপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, গাজী সড়ক, মাদ্রাসা সড়কে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা। এসব এলাকার সড়কের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। মিশন রোড এলাকার অটোরিকশা চালক রেদওয়ান ইসলাম জানান, ভোর ৬টায় সড়কে নেমেছেন। বৃষ্টির কারণে লোকজন বাসাবাড়ি থেকে নামেনি। যাত্রীর অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহন সংখ্যা খুবই কম। শহরের নাজিরপাড়ার মামুনুর রশিদ জানান, বৃষ্টির পানিতে তাদের বাসার নিচতলায় হাঁটু পরিমাণ। গতকাল রাত থেকেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পালপাড়া এলাকার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বছর টানা বৃষ্টি হলেও গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। বাসায় হাঁটুসমান পানি উঠেছে।’ শহরের শপথ চত্বর এলাকায় মাঠা বিক্রি করেন বিকাশ। তিনি জানান, সকাল ৬টায় এসে মাঠা বিক্রির জন্য বসেছেন। বৃষ্টির কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও ক্রেতা আসেননি। মাঠা বিক্রিতেই তার সংসার চলে। যে কারণে বৃষ্টিতেও ঘরে বসে থাকতে পারেননি। এর আগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। থেমে থেমে সারারাত বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল কমে যায়। অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসাবাড়িতে চলে যান। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়েব জানান, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৫ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০ মিলিমিটার এবং সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা হিসেবে এটি এই বছর জেলায় সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এর আগে গত ২৭ মে জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে শহরে জলাবদ্ধতা

আপডেট সময় : ০৬:২৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদপুর সংবাদদাতা : চাঁদপুর জেলায় ২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর ২৭ মে জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ২৫৭ মিলিমিটার। গতকাল শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শহর ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মহল্লা ও সড়কে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে শহরের নাজিরপাড়া, মিশন রোড আশ্রম এলাকা, প্রফেসর পাড়া, মমিনপাড়া, গুয়াখোলা, চিত্রলেখা মোড়, পালপাড়া, আলিমপাড়া, আদালতপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, গাজী সড়ক, মাদ্রাসা সড়কে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা। এসব এলাকার সড়কের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। মিশন রোড এলাকার অটোরিকশা চালক রেদওয়ান ইসলাম জানান, ভোর ৬টায় সড়কে নেমেছেন। বৃষ্টির কারণে লোকজন বাসাবাড়ি থেকে নামেনি। যাত্রীর অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহন সংখ্যা খুবই কম। শহরের নাজিরপাড়ার মামুনুর রশিদ জানান, বৃষ্টির পানিতে তাদের বাসার নিচতলায় হাঁটু পরিমাণ। গতকাল রাত থেকেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পালপাড়া এলাকার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চলতি বছর টানা বৃষ্টি হলেও গতকাল রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। বাসায় হাঁটুসমান পানি উঠেছে।’ শহরের শপথ চত্বর এলাকায় মাঠা বিক্রি করেন বিকাশ। তিনি জানান, সকাল ৬টায় এসে মাঠা বিক্রির জন্য বসেছেন। বৃষ্টির কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনও ক্রেতা আসেননি। মাঠা বিক্রিতেই তার সংসার চলে। যে কারণে বৃষ্টিতেও ঘরে বসে থাকতে পারেননি। এর আগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। থেমে থেমে সারারাত বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল কমে যায়। অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসাবাড়িতে চলে যান। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়েব জানান, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে ৫ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০ মিলিমিটার এবং সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা হিসেবে এটি এই বছর জেলায় সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। এর আগে গত ২৭ মে জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।