ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সরকার পতনের একমাস ,আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’

  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর সরকার পতনের মাসপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘শহীদি মার্চ’ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর করবেন সমন্বয়করা।
গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদি মার্চ শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করি, যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে এখনই তাদের স্মরণ করার সময়। এজন্য আগামীকাল মাসপূর্তি উপলক্ষে সারাদেশে শহীদি মার্চ করা হবে। সব শহীদের পরিবারকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই। আমরা চাই, আগামীকালও সারাদেশে গণজোয়ার নামবে। বিকেল তিনটায় রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদি মার্চ শুরু হবে। তিনি বলেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই। এখনো আমাদের ভাইয়েরা ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছে। গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ, কীভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে তার ডকুমেন্টেশন করতে হবে। অনেকে আমাদের বিজয় মিছিল করতে বলছে। কিন্তু যতদিন না নতুন বাংলাদেশ হচ্ছে, মানুষ অধিকার পাচ্ছে, ততদিন বিজয় মিছিল করা সম্ভব নয়। সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সবাইকে সংগঠিত করার জন্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলবো, তারা কী চায় সেটা জানবো। আমরাও কিছু পরামর্শ দেবো। এরপর মানুষ যা চায় আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।
কাউকে আইন নিজের হাতে না তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যে বাংলাদেশ চায়, সেই বাংলাদেশকে সবাই স্বাগত জানাতে হবে। তাই আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কারও অপরাধ খুঁজে পেলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। যারাই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিগত ১৬ বছরে দলের সংবিধানকে দেশের সংবিধান হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ একটি ধর্মে পরিণত হয়েছিল। সবকিছুকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল। এখন এর থেকে বের হওয়ার জন্য সবাইকে এক হতে হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিভাজনের সুর দেখা যাচ্ছে। আর কখনো ফ্যাসিজম যেন ফিরতে না পারে সেজন্য সবাইকে এক হতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসার আগেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে, তারা ক্ষমতায় গেলে কী করতে পারে তা চিন্তার বিষয়। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে পারে এমন গণমাধ্যম আমরা চাই।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গুমের তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি কমিশনের

সরকার পতনের একমাস ,আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’

আপডেট সময় : ০২:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর সরকার পতনের মাসপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ‘শহীদি মার্চ’ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশের বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর করবেন সমন্বয়করা।
গতকাল বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদি মার্চ শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করি, যারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে এখনই তাদের স্মরণ করার সময়। এজন্য আগামীকাল মাসপূর্তি উপলক্ষে সারাদেশে শহীদি মার্চ করা হবে। সব শহীদের পরিবারকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই। আমরা চাই, আগামীকালও সারাদেশে গণজোয়ার নামবে। বিকেল তিনটায় রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদি মার্চ শুরু হবে। তিনি বলেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায় নাই। এখনো আমাদের ভাইয়েরা ক্ষত নিয়ে কাতরাচ্ছে। গণমাধ্যমের কাছে অনুরোধ, কীভাবে আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছে তার ডকুমেন্টেশন করতে হবে। অনেকে আমাদের বিজয় মিছিল করতে বলছে। কিন্তু যতদিন না নতুন বাংলাদেশ হচ্ছে, মানুষ অধিকার পাচ্ছে, ততদিন বিজয় মিছিল করা সম্ভব নয়। সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে সবাইকে সংগঠিত করার জন্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে সফর শুরু করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলবো, তারা কী চায় সেটা জানবো। আমরাও কিছু পরামর্শ দেবো। এরপর মানুষ যা চায় আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।
কাউকে আইন নিজের হাতে না তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যে বাংলাদেশ চায়, সেই বাংলাদেশকে সবাই স্বাগত জানাতে হবে। তাই আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা করুন। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কারও অপরাধ খুঁজে পেলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। যারাই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিগত ১৬ বছরে দলের সংবিধানকে দেশের সংবিধান হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ একটি ধর্মে পরিণত হয়েছিল। সবকিছুকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল। এখন এর থেকে বের হওয়ার জন্য সবাইকে এক হতে হবে। কিন্তু আমাদের মধ্যে বিভাজনের সুর দেখা যাচ্ছে। আর কখনো ফ্যাসিজম যেন ফিরতে না পারে সেজন্য সবাইকে এক হতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসার আগেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে, তারা ক্ষমতায় গেলে কী করতে পারে তা চিন্তার বিষয়। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই। ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে পারে এমন গণমাধ্যম আমরা চাই।