ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটা যাবে না ২০৩০ সাল পর্যন্ত

  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • ২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের কোনো গাছ কাটা যাবে না। কাটা যাবে হলো সোশাল ফরেস্ট যেগুলো, সেগুলো এর মধ্যে থাকবে না।”

যেসব গাছ কাটা যাবে তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “সোশাল ফরেস্ট হলো যেমন কারো ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশ দিয়ে যে বনায়ন বা ডিপফরেস্টের আগে একটা বাফার জোন থাকে। সেখানে স্থানীয় জনগণের সাথে জয়েন্ট বনায়ন হয়।

“শেরপুরে আমি দেখেছি এই বাফার জোনে আকাশিয়া গাছ বোনা হয়। কারণ এ গাছগুলো ১৫ বছর হলে কাটার উপযুক্ত হয়ে যায়। তাই ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এই গাছ কাটতে হয়। এতে যেসকল মানুষ এই গাছগুলো পরিচর্যা করে তারা ৭০ শতাংশ পায় মোট ভ্যালুয়েশনের আর ৩০ শতাংশ পায় বনবিভাগ।”

আনোয়ারুল বলেন, “রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কোন অবস্থাতেই ২০৩০ সালের আগে কাটা যাবে না। যদি কেউ কাটে তাহলে বন আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।”
বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত কেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা হলো একটা শিফট টাইম। প্রত্যেকটা টাইম ফ্রেম আছে। যেটা ৫ বছর বা ৭ বছর হয়ে থাকে। এবার ৫ বছর না করে ৮ বছরের জন্য চলে আসছে। যদিও বর্তমানে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তাই ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।”
বৈঠকে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার (২০২৩ -২০৫০) খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয় বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “চৌঠা নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ঘোষণা করার জন্য আমাদের লেজিসলেটিভ ডিভিশনকে একটা অনুরোধ করা হয়েছিল। এটা উপস্থাপন করার পরে এটা অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটা যাবে না ২০৩০ সাল পর্যন্ত

আপডেট সময় : ০৩:০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের কোনো গাছ কাটা যাবে না। কাটা যাবে হলো সোশাল ফরেস্ট যেগুলো, সেগুলো এর মধ্যে থাকবে না।”

যেসব গাছ কাটা যাবে তার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “সোশাল ফরেস্ট হলো যেমন কারো ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশ দিয়ে যে বনায়ন বা ডিপফরেস্টের আগে একটা বাফার জোন থাকে। সেখানে স্থানীয় জনগণের সাথে জয়েন্ট বনায়ন হয়।

“শেরপুরে আমি দেখেছি এই বাফার জোনে আকাশিয়া গাছ বোনা হয়। কারণ এ গাছগুলো ১৫ বছর হলে কাটার উপযুক্ত হয়ে যায়। তাই ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এই গাছ কাটতে হয়। এতে যেসকল মানুষ এই গাছগুলো পরিচর্যা করে তারা ৭০ শতাংশ পায় মোট ভ্যালুয়েশনের আর ৩০ শতাংশ পায় বনবিভাগ।”

আনোয়ারুল বলেন, “রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কোন অবস্থাতেই ২০৩০ সালের আগে কাটা যাবে না। যদি কেউ কাটে তাহলে বন আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।”
বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত কেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা হলো একটা শিফট টাইম। প্রত্যেকটা টাইম ফ্রেম আছে। যেটা ৫ বছর বা ৭ বছর হয়ে থাকে। এবার ৫ বছর না করে ৮ বছরের জন্য চলে আসছে। যদিও বর্তমানে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তাই ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে।”
বৈঠকে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার (২০২৩ -২০৫০) খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয় বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “চৌঠা নভেম্বরকে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ ঘোষণা করার জন্য আমাদের লেজিসলেটিভ ডিভিশনকে একটা অনুরোধ করা হয়েছিল। এটা উপস্থাপন করার পরে এটা অনুমোদন করে দেওয়া হয়েছে।”