কোটা সংস্কারের দাবিতে শেরপুরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় সদর থানায় ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর থানার ওসি এমদাদুল হক গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বুধবার বিকালের ঘটনায় রাতে আলাদা তিনটি মামলা করা হয়। ওই সব মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় অন্তত ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করেছে। মামলায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে মারধর ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ায় অভিযোগে আনা হয়। ওসি এমদাদুল হক জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ পাল্টা মিছিল বের করলে শহরের রঘুনাথ বাজার, নিউমার্কেট ও চকবাজার এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষ পরস্পরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আন্দোলনকারীদের। তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পাশাপাশি রাস্তায় থাকা প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩৭৮টি শর্টগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। ইটপাটকেলের আঘাতে গণমুক্তি পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদ হাসান খোকন ও ১০ জন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জনপ্রিয় সংবাদ