ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুর দক্ষতা শুরুর বয়স

  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

শিশুর সঠিক বিকাশে দক্ষতার ভূমিকা অনেক। দক্ষতার মাধ্যমে শিশুর সৃজনশীলতা, নতুন কিছু তৈরি করা, আনন্দের সাথে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি হয়। শিশুর ফাইন মোটর স্কিল যেমন চোখ ও আঙুলের সমন্বয় এবং চোখের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিশুর কল্পনা ও একাগ্রতার বিকাশ ঘটে। চমৎকার কিছু তৈরির মাধ্যমে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। শিশুর সামাজিক দক্ষতাও উন্নত করে।
বর্তমানে শিশুরা বাইরে গিয়ে খেলার পরিবেশ পায় না। বিশেষ করে শহরের শিশুরা একেবারেই ঘরবন্দি থাকে। তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত খেলার জায়গা বা খোলা মাঠ। এতে মোবাইল বা গ্যাজেট আসক্তি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শিশুদের মধ্যে। ডিভাইস আসক্তির ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মানসিক বিকাশ। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে গ্যাজেট থেকে দূরে রাখতে দক্ষতায়ের বিকল্প নেই।
চার বা সাড়ে চার বছর বয়স হলেই শিশুকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। যেমনÑ রঙিন কাগজ দিয়ে বা সাদা কাগজ দিয়ে অর্থবোধক কিছু তৈরি করা। সেটি হতে পারে কাগজের ফুল, নৌকা, পাখা বা পশু-পাখি। কাগজ কেটে যে কোনো কিছু আকৃতি তৈরি করা যেতে পারে। মাটি দিয়ে বল বা পুতুল তৈরি করাও শিশুদের জন্য চমৎকার আনন্দের কাজ হতে পারে।
অন্যদিকে শিশুকে ড্রয়িং করতে দিন। এতে তার কল্পনাশক্তি বাড়বে। শিশুকে পাজল ও ক্লে ধরনের খেলনা দিন। এগুলো দিয়ে তারা নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে শিখবে। বাসায় গাছ থাকলে শিশুকে পরিচর্যা শেখান। তাকে সঙ্গে নিয়েই গাছের যত্ন করুন। শিশুকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে শেখান। ছোট ছোট কাজে উৎসাহ প্রদান করুন। গান, নাচ, আবৃতি, কারাতে প্রশিক্ষণে উৎসাহ দিতে পারেন শিশুকে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিশুর দক্ষতা শুরুর বয়স

আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিশুর সঠিক বিকাশে দক্ষতার ভূমিকা অনেক। দক্ষতার মাধ্যমে শিশুর সৃজনশীলতা, নতুন কিছু তৈরি করা, আনন্দের সাথে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি হয়। শিশুর ফাইন মোটর স্কিল যেমন চোখ ও আঙুলের সমন্বয় এবং চোখের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিশুর কল্পনা ও একাগ্রতার বিকাশ ঘটে। চমৎকার কিছু তৈরির মাধ্যমে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। শিশুর সামাজিক দক্ষতাও উন্নত করে।
বর্তমানে শিশুরা বাইরে গিয়ে খেলার পরিবেশ পায় না। বিশেষ করে শহরের শিশুরা একেবারেই ঘরবন্দি থাকে। তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত খেলার জায়গা বা খোলা মাঠ। এতে মোবাইল বা গ্যাজেট আসক্তি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে শিশুদের মধ্যে। ডিভাইস আসক্তির ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মানসিক বিকাশ। এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে গ্যাজেট থেকে দূরে রাখতে দক্ষতায়ের বিকল্প নেই।
চার বা সাড়ে চার বছর বয়স হলেই শিশুকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। যেমনÑ রঙিন কাগজ দিয়ে বা সাদা কাগজ দিয়ে অর্থবোধক কিছু তৈরি করা। সেটি হতে পারে কাগজের ফুল, নৌকা, পাখা বা পশু-পাখি। কাগজ কেটে যে কোনো কিছু আকৃতি তৈরি করা যেতে পারে। মাটি দিয়ে বল বা পুতুল তৈরি করাও শিশুদের জন্য চমৎকার আনন্দের কাজ হতে পারে।
অন্যদিকে শিশুকে ড্রয়িং করতে দিন। এতে তার কল্পনাশক্তি বাড়বে। শিশুকে পাজল ও ক্লে ধরনের খেলনা দিন। এগুলো দিয়ে তারা নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে শিখবে। বাসায় গাছ থাকলে শিশুকে পরিচর্যা শেখান। তাকে সঙ্গে নিয়েই গাছের যত্ন করুন। শিশুকে ঘরের কাজে সাহায্য করতে শেখান। ছোট ছোট কাজে উৎসাহ প্রদান করুন। গান, নাচ, আবৃতি, কারাতে প্রশিক্ষণে উৎসাহ দিতে পারেন শিশুকে।