রাঙামাটি সংবাদদাতা : নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাকায় কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারপূর্বক যথাযথ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাঙামাটিতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে শহরের জিমনেসিয়াম থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে একই স্থানে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ হয়।
এসময় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ থাকে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটি সরকারি কলেজর শিক্ষার্থী উজাই মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফোরাম সদস্য সবুজ তঞ্চঙ্গ্যা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ক্যাসিংনু মারমা।
তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফোরাম সদস্য সবুজ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন ক্রিকেট স্ট্যাম্প, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ১৭ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। এর দায় অন্তর্র্বতীকালীন কোনোভাবে এড়াতে পারে না। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা বলেন, বিগত সরকারের সময়ের মতো এই সরকার পাহাড়ের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক যথাযথ বিচার না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গঠে তোলা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা বলেন, মূলত সরকারের দ্বিধাগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় পলিসির কারণে ‘আদিবাসীদের’ মিছিলে হামলা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে অবিলম্বে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি পুনর্বহাল, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস ও পরিচিতি তুলে ধরাসহ সাংবিধানিকভাবে ‘আদিবাসীদের’ স্বীকৃতি দিতে হবে।