ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ স্মরণে কৃষ্ণকলির গান

  • আপডেট সময় : ১২:০১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: সকল কালের স্বপ্নদর্শী সকল শহীদদের স্মরণ করে নতুন গান প্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ও তার দল। শ্রেণি-লিঙ্গ-জাতি-বর্ণ-ধর্ম বৈষম্যের অবসানের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার বার্তা দেওয়া হয়েছে গানটিতে। ‘ভালোবাসি ভালোবাসি বলে’ শিরোনামের গানটি সোমবার রাতে ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। এই গানের কথা লেখা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছেন কৃষ্ণকলি। লিড গিটারে আছেন আহনাফ খান অনিক, রিদম গিটারে অর্ক সুমন, ড্রামসে সুদীপ্ত বর্ধন শুভ। ভিডিও এডিট করেছেন পার্থ সারথি মোদক। ইউটিউবে গানটি প্রকাশের ট্যাগলাইনে লেখা হয়েছে “২০২৪ এর এই অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। অনেক বছরের দমবন্ধ ঘুমোট হাওয়া বদলের আশায় এত প্রাণ বিসর্জন। সম্মানের, ভালোবাসাময় এক দেশ, এক পৃথিবী দেখার আশা আমাদের সাধারণ জনমনে। এই গান সেই স্বপ্ন ধারণ করেন যারা, তাদের প্রতি, সকল কালের স্বপ্নদর্শী সকল শহীদের প্রতি।” গানটি প্রসঙ্গে গ্লিটজকে কৃষ্ণকলি বলেন, “এই গানটি ২০১৭ সালে লেখা। আমরা গানটি দিয়ে স্টেজ পারফরম্যান্সও করেছিলাম। রেকর্ডও করা ছিল কিন্তু প্রচার করব করব করে আর হয়ে উঠেনি।
“এখন এই ছাত্রজনতার আন্দোলন, তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই যে বিজয় হল সেই সময়টাকে ধরে রাখতেই গানটা প্রচার করলাম। এই গানটা দেশের সকল শহীদদের উদ্দেশ্যে। যারা মানুষকে সাধারণভাবে জীবন যাপন করার জন্য রুদ্ধশ্বাস অবস্থা থেকে বের করেছে। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়ে একটা মানুষের সমাজ, একটা প্রকৃতির সমাজ, ভালোবাসার সমাজ উপহার দিয়েছে।” আন্দোলনের সময় গানটা প্রচার না করে প্রায় এক মাস পর প্রচারের কারণ জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, “আন্দোলনের সময় আমি ছিলাম সেখানে, কিন্তু আমি এতোটাই ট্রমাটাইজ ছিলাম যে গান রিলিজ করার মতো মানসিকতা ছিল না। “’আমাদের পাঠশালা’ নামের একটি স্কুল আছে আমাদের৷ জুলফিকার শাকিল নামের এক ছেলে ছিল যে ছোট থেকে বড় হয়েছে আমাদের এখানেই। ইউডা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। অগাস্টের ৪ তারিখ গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়। ওই পুরো সময়টা এমনভাবে আমাকে আঘাত করেছিল গান নিয়ে চিন্তা আমার আসেনি। এখন কিছুটা স্বভাবিক হয়েই গানটি প্রচার করা।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শহীদ স্মরণে কৃষ্ণকলির গান

আপডেট সময় : ১২:০১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: সকল কালের স্বপ্নদর্শী সকল শহীদদের স্মরণ করে নতুন গান প্রকাশ করেছেন সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ও তার দল। শ্রেণি-লিঙ্গ-জাতি-বর্ণ-ধর্ম বৈষম্যের অবসানের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার বার্তা দেওয়া হয়েছে গানটিতে। ‘ভালোবাসি ভালোবাসি বলে’ শিরোনামের গানটি সোমবার রাতে ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। এই গানের কথা লেখা ও সুর করার পাশাপাশি গানটিতে কণ্ঠও দিয়েছেন কৃষ্ণকলি। লিড গিটারে আছেন আহনাফ খান অনিক, রিদম গিটারে অর্ক সুমন, ড্রামসে সুদীপ্ত বর্ধন শুভ। ভিডিও এডিট করেছেন পার্থ সারথি মোদক। ইউটিউবে গানটি প্রকাশের ট্যাগলাইনে লেখা হয়েছে “২০২৪ এর এই অভ্যুত্থান, ছাত্র-জনতার অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া। অনেক বছরের দমবন্ধ ঘুমোট হাওয়া বদলের আশায় এত প্রাণ বিসর্জন। সম্মানের, ভালোবাসাময় এক দেশ, এক পৃথিবী দেখার আশা আমাদের সাধারণ জনমনে। এই গান সেই স্বপ্ন ধারণ করেন যারা, তাদের প্রতি, সকল কালের স্বপ্নদর্শী সকল শহীদের প্রতি।” গানটি প্রসঙ্গে গ্লিটজকে কৃষ্ণকলি বলেন, “এই গানটি ২০১৭ সালে লেখা। আমরা গানটি দিয়ে স্টেজ পারফরম্যান্সও করেছিলাম। রেকর্ডও করা ছিল কিন্তু প্রচার করব করব করে আর হয়ে উঠেনি।
“এখন এই ছাত্রজনতার আন্দোলন, তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই যে বিজয় হল সেই সময়টাকে ধরে রাখতেই গানটা প্রচার করলাম। এই গানটা দেশের সকল শহীদদের উদ্দেশ্যে। যারা মানুষকে সাধারণভাবে জীবন যাপন করার জন্য রুদ্ধশ্বাস অবস্থা থেকে বের করেছে। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়ে একটা মানুষের সমাজ, একটা প্রকৃতির সমাজ, ভালোবাসার সমাজ উপহার দিয়েছে।” আন্দোলনের সময় গানটা প্রচার না করে প্রায় এক মাস পর প্রচারের কারণ জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, “আন্দোলনের সময় আমি ছিলাম সেখানে, কিন্তু আমি এতোটাই ট্রমাটাইজ ছিলাম যে গান রিলিজ করার মতো মানসিকতা ছিল না। “’আমাদের পাঠশালা’ নামের একটি স্কুল আছে আমাদের৷ জুলফিকার শাকিল নামের এক ছেলে ছিল যে ছোট থেকে বড় হয়েছে আমাদের এখানেই। ইউডা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। অগাস্টের ৪ তারিখ গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়। ওই পুরো সময়টা এমনভাবে আমাকে আঘাত করেছিল গান নিয়ে চিন্তা আমার আসেনি। এখন কিছুটা স্বভাবিক হয়েই গানটি প্রচার করা।”