নিজস্ব প্রতিবেদক : র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা (ভারত) বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উত্থাপন করবে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ লাখ ভারতীয় বসবাস করে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা খুবই শক্তিশালী। তারাও সরকারকে বলেছে। এটি হয়েছে শুধু ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বলে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পরিষ্কার করে বলেছেন, যে কোনও উন্নতি না হলে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি ঠিক আছে। বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা যে বিষয়টি বলছে সেটি হচ্ছে দায়বদ্ধতা। এই দায়বদ্ধতা ম্যাকানিজম র্যাবের অভ্যন্তরে রয়েছে। এদের অনেকেই শাস্তি পায় জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এই বার্তাটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঠিকমতো পৌঁছায় না।
বিশেষ খবর নিয়ে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বিশেষ বার্তা নিয়ে আসবেন বলে জানান ড. মোমেন।
গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বিশেষ বার্তাটি কী জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি একটি বিশেষ বার্তা দেবেন এবং ভারতীয় পত্র-পত্রিকা বলছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এবার হয়তো তারিখসহ আমন্ত্রণ দেওয়া হবে।’
সফরের সময় জয়শঙ্কর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। জয়শংকরের সঙ্গে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ অন্যান্য বিষয়, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য বিষয়ক বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে।’
তিন দেশের হাইওয়ে : ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মধ্যে সড়কপথে কানেক্টিভিটির প্রতিষ্ঠিত করার কাজ চলছে এবং এই উদ্যোগের সংযুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের আবার অনুরোধ করবো। ইতোমধ্যে ভারত এ বিষয়ে রাজি হয়েছে এবং থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন যে, তাদেরও কোনও আপত্তি নেই। এ বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবো।’
উল্লেখ্য, এই কানেক্টিভিটি উদ্যোগে সংযুক্ত হতে পারলে বাংলাদেশের পণ্য খুব সহজেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পৌঁছানো সম্ভব।’
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ