মহানগর প্রতিবেদন : রাজধানীর ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র করে চালকের পায়ে গুলি ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় করা মামলায় ছায়া তদন্তে নেমে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- রাশেদুজ্জামান খান রাজু, রকিব হোসেন মুন্না, শারিকুল ইসলাম খান, আজিম পাটোয়ারী, মাহবুব খান, শরীফ খান ও সোহরাব খান।
গত শনিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মহড়ার ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পি¯Íল, একটি বিদেশি রিভলভার, একটি বিদেশি শটগান, ভাঙা রিভলবার, ভাঙা ৯ এমএম পি¯Íল, ৭৫ রাউন্ড গুলি, দুটি শটগানের কার্তুজ, ২১০ রাউন্ড গুলির খোসা, পাঁচটি পুরাতন ম্যাগজিন, ৪০ গ্রাম গান পাউডারের বারুদ ও ৬০টি বিভিন্ন অস্ত্রের ÿুদ্র যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদ বলেন, “চলতি মাসের ১৮ তারিখ রাজধানীর ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিকশার নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র করে দ্ব›েদ্বর জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় গ্রেপ্তার রাজু ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। তার সহযোগী মুন্না রিকশাচালক রুবেলকে গুলি করলে তার ডান পায়ে লাগে। এরপরই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে অস্ত্র উদ্ধার করতে মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় রাজধানীসহ গাজীপুর, মাদারীপুর, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।”
আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় ভাটারা থানার জোয়ারসাহারার খাঁ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে রাজুর পারিবারিক কবরস্থানের পাশের বাথরুম থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানান হারুন অর রশীদ। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “আসামিরা এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ভাটারাসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণসহ আধিপত্য বি¯Íারের পরিকল্পনা করেছিল। ফলে রিকশার নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে এলাকায় মহড়া চালায়। অভিযুক্তরা বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদেরকে রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, “ভাটারার জোয়ারসাহারা এলাকায় প্রায় সময়ই জমি কেনাবেচা, ভবন নির্মাণ, টেন্ডারবাজি আধিপত্য বি¯Íারসহ এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। রুবেলের ঘটনার মধ্যদিয়ে তারা নিজেদের অ¯িÍত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সবুজবাগ থানা এলাকায়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেটাতেও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছি। পাঁচটি অস্ত্র ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অর্থাৎ গত এক সপ্তাহে শতাধিক রাউন্ড গুলিসহ ১১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।”
রিকশার নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, টার্গেট ছিল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়া
জনপ্রিয় সংবাদ


























