ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির জন্য ১২ জানুয়ারি সময়

  • আপডেট সময় : ০২:০০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি বিএনপির জন্য সময় রেখেছে বঙ্গভবন; যদিও বিএনপি এই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে জানিয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর সংলাপ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২৭টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গতকাল বুধবার নতুন যে কয়টি দলের সঙ্গে সংলাপসূচি চূড়ান্ত হওয়ার কথা বঙ্গভবনের প্রেস উইং জানায়, তাতে বিএনপির নাম রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সূচি নির্ধারিত হয়েছে ১২ জানুয়ারি বিকাল ৪টায়। গত দুই বারের মতো এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের উদ্যোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেছেন। বিএনপি আগের দুই বার গেলেও এবার রাষ্ট্রপতির এই উদ্যোগে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বলছে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবির বিষয়টি অমীমাংসিত রেখে ইসি গঠনের সংলাপ ‘অর্থহীন’। এবার বিএনপি ছাড়া আরও তিনটি দল রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে আইন প্রণয়ন না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার মধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই ইসির পরিচালনায় আগামী সাধারণ নির্বাচন হবে।
দ্বিতীয় ধাপের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির : এদিকে সংলাপের দিনেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জেলা পর্যায়ে চলমান কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপের শিডিউল ঘোষণা করেছে বিএনপি। বুধবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় দফতর বিভাগ থেকে এই শিডিউল গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই শিডিউল তৈরি করেন। দলের সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ে সমাবেশ শেষ হওয়ার পরই উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি নেবে বিএনপি। আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় ধাপের সমাবেশ শুরু করবে বিএনপি। এদিন রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকবেন। তার সঙ্গে থাকবেন মিজানুর রহমান মিনু। চাঁদপুর জেলার সমাবেশে স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম অংশ নেবেন। একই দিন রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেটে সমাবেশ হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, মহানগরী এলাকার সমাবেশগুলো মূল শহরের বাইরে আয়োজন করতে হবে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক টিমের সদস্য হিসেবে সমাবেশের সমন্বয় করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলার জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা সমাবেশকে সফল করতে জেলার নেতাদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন। প্রতিটি টিমে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্বের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। ঝালকাঠি, মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার ও পঞ্চগড় জেলার সমাবেশ ১৯ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জানুয়ারি সমাবেশ হবে- নীলফামারী, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, শেরপুর, শেরপুর ও বাগেরহাট জেলায়। ১৭ জানুয়ারি হবে রাঙ্গামাটি, নেত্রকোনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ি, নড়াইল, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুড়িগ্রামে। ২২ জানুয়ারি হবে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নাটোর, বরিশাল (সাংগঠনিক উত্তর জেলা), চট্টগ্রাম (সাংগঠনিক উত্তর জেলা), সৈয়দপুর ওে শরিয়তপুর জেলায়। ২৪ জানুয়ারি সমাবেশ হবে ময়মনসিংহ (সাংগঠনিক উত্তর জেলা), মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার, পঞ্চগড় জেলায়। এরআগে প্রথম ধাপে অন্তত ২৬ জেলায় সমাবেশ করেছে বিএনপি। কিছু এলাকায় ৪৪ ধারা জারি হওয়ায় সমাবেশ না হলেও দ্বিতীয় ধাপে এসব এলাকায় সমাবেশের শিডিউল দিয়েছে দলটি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপির জন্য ১২ জানুয়ারি সময়

আপডেট সময় : ০২:০০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি বিএনপির জন্য সময় রেখেছে বঙ্গভবন; যদিও বিএনপি এই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে জানিয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর সংলাপ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২৭টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
গতকাল বুধবার নতুন যে কয়টি দলের সঙ্গে সংলাপসূচি চূড়ান্ত হওয়ার কথা বঙ্গভবনের প্রেস উইং জানায়, তাতে বিএনপির নাম রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সূচি নির্ধারিত হয়েছে ১২ জানুয়ারি বিকাল ৪টায়। গত দুই বারের মতো এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের উদ্যোগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেছেন। বিএনপি আগের দুই বার গেলেও এবার রাষ্ট্রপতির এই উদ্যোগে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বলছে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবির বিষয়টি অমীমাংসিত রেখে ইসি গঠনের সংলাপ ‘অর্থহীন’। এবার বিএনপি ছাড়া আরও তিনটি দল রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে আইন প্রণয়ন না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার মধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই ইসির পরিচালনায় আগামী সাধারণ নির্বাচন হবে।
দ্বিতীয় ধাপের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির : এদিকে সংলাপের দিনেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জেলা পর্যায়ে চলমান কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপের শিডিউল ঘোষণা করেছে বিএনপি। বুধবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় দফতর বিভাগ থেকে এই শিডিউল গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই শিডিউল তৈরি করেন। দলের সূত্র জানায়, জেলা পর্যায়ে সমাবেশ শেষ হওয়ার পরই উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি নেবে বিএনপি। আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় ধাপের সমাবেশ শুরু করবে বিএনপি। এদিন রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত থাকবেন। তার সঙ্গে থাকবেন মিজানুর রহমান মিনু। চাঁদপুর জেলার সমাবেশে স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম অংশ নেবেন। একই দিন রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেটে সমাবেশ হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, মহানগরী এলাকার সমাবেশগুলো মূল শহরের বাইরে আয়োজন করতে হবে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক টিমের সদস্য হিসেবে সমাবেশের সমন্বয় করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলার জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা সমাবেশকে সফল করতে জেলার নেতাদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন। প্রতিটি টিমে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্বের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। ঝালকাঠি, মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার ও পঞ্চগড় জেলার সমাবেশ ১৯ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ জানুয়ারি সমাবেশ হবে- নীলফামারী, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, শেরপুর, শেরপুর ও বাগেরহাট জেলায়। ১৭ জানুয়ারি হবে রাঙ্গামাটি, নেত্রকোনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ি, নড়াইল, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুড়িগ্রামে। ২২ জানুয়ারি হবে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নাটোর, বরিশাল (সাংগঠনিক উত্তর জেলা), চট্টগ্রাম (সাংগঠনিক উত্তর জেলা), সৈয়দপুর ওে শরিয়তপুর জেলায়। ২৪ জানুয়ারি সমাবেশ হবে ময়মনসিংহ (সাংগঠনিক উত্তর জেলা), মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার, পঞ্চগড় জেলায়। এরআগে প্রথম ধাপে অন্তত ২৬ জেলায় সমাবেশ করেছে বিএনপি। কিছু এলাকায় ৪৪ ধারা জারি হওয়ায় সমাবেশ না হলেও দ্বিতীয় ধাপে এসব এলাকায় সমাবেশের শিডিউল দিয়েছে দলটি।