ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ফের ‘বিতর্কিত’ পোস্ট নোবেলের

  • আপডেট সময় : ০১:৪২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলাদেশি সংগীতের মহা বিতর্কের নাম মাইনুল আহসান নোবেল। গোপালগঞ্জের এই ছেলে গান গেয়ে তেমন প্রতিষ্ঠা বা পরিচিতি না পেলেও বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্য সবাই তাকে এক নামে চেনে। তার আপত্তিকর মন্তব্য থেকে রেহাই পাননি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো নোবেলজয়ী কবিও। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকবিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছেন নোবেল। বুধবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই উঠতি গায়ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যচর্চা বয়কটের দাবি জানিয়েছেন। এমনকি, বিশ্বকবিকে ব্রিটিশদের চাটুকার বলে কটাক্ষও করেছেন!
নোবেল লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর রাবীন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হোক। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল! বিদ্রোহী কবি; যখন আমাদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছিলেন। রোজ রোজ ব্রিটিশদের কাছে কারাবন্দি হতেন। কনডেম সেলে টর্চারের শিকার হচ্ছিলেন। তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে সো-কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিল।’ এই পোস্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন বহু নেটিজেন। তবে এই প্রথম নয়। এর আগে গত ৩০ জুলাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটা বিতর্কিত পোস্ট দেন নোবেল। সম্প্রতি হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকৃত করে নজরুল ও রবীন্দ্রসংগীত গাইতে নিষেধ করা হয়। তার কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে নোবেল তার ফেসবুকে লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই। তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান নিতান্তই কম বা নেই বললেই চলে।’ তারও আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নোবেল। ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী থাকাকালে কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির থেকে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে বেশি উপযুক্ত। নোবেলের এই বক্তব্য প্রচার হওয়ার পরই দুই বাংলায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। শুরু হয় সমালোচনা। ওপার বাংলার গায়িকা ইমন চক্রবর্তী তো নোবেলকে থাপড়াতে পর্যন্ত চেয়েছিলেন। সেই বিতর্কের ঘাঁ এখনো শুকায়নি। তারই মাঝে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন নোবেল। এমন স্পর্ধার জন্য তার শাস্তির দাবি উঠেছে সামাজিক মাধ্যমজুড়ে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ফের ‘বিতর্কিত’ পোস্ট নোবেলের

আপডেট সময় : ০১:৪২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

বিনোদন প্রতিবেদক : বাংলাদেশি সংগীতের মহা বিতর্কের নাম মাইনুল আহসান নোবেল। গোপালগঞ্জের এই ছেলে গান গেয়ে তেমন প্রতিষ্ঠা বা পরিচিতি না পেলেও বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্য সবাই তাকে এক নামে চেনে। তার আপত্তিকর মন্তব্য থেকে রেহাই পাননি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো নোবেলজয়ী কবিও। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকবিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবারও বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছেন নোবেল। বুধবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই উঠতি গায়ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যচর্চা বয়কটের দাবি জানিয়েছেন। এমনকি, বিশ্বকবিকে ব্রিটিশদের চাটুকার বলে কটাক্ষও করেছেন!
নোবেল লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর রাবীন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হোক। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল! বিদ্রোহী কবি; যখন আমাদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছিলেন। রোজ রোজ ব্রিটিশদের কাছে কারাবন্দি হতেন। কনডেম সেলে টর্চারের শিকার হচ্ছিলেন। তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে সো-কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিল।’ এই পোস্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন বহু নেটিজেন। তবে এই প্রথম নয়। এর আগে গত ৩০ জুলাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটা বিতর্কিত পোস্ট দেন নোবেল। সম্প্রতি হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকৃত করে নজরুল ও রবীন্দ্রসংগীত গাইতে নিষেধ করা হয়। তার কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনে নোবেল তার ফেসবুকে লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই। তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান নিতান্তই কম বা নেই বললেই চলে।’ তারও আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নোবেল। ‘সারেগামাপা’ অনুষ্ঠানের প্রতিযোগী থাকাকালে কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটির থেকে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে বেশি উপযুক্ত। নোবেলের এই বক্তব্য প্রচার হওয়ার পরই দুই বাংলায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। শুরু হয় সমালোচনা। ওপার বাংলার গায়িকা ইমন চক্রবর্তী তো নোবেলকে থাপড়াতে পর্যন্ত চেয়েছিলেন। সেই বিতর্কের ঘাঁ এখনো শুকায়নি। তারই মাঝে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন নোবেল। এমন স্পর্ধার জন্য তার শাস্তির দাবি উঠেছে সামাজিক মাধ্যমজুড়ে।