ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোটরসাইকেলে বসে গল্প, সুযোগ বুঝে চুরি

  • আপডেট সময় : ০২:৫২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুরির জন্য টার্গেট করা মোটরসাইকেলের আশপাশে ঘোরাঘুরি। এরপর মোটরসাইকেলের ওপর বসে গল্প-আড্ডা চালিয়ে যান। সুযোগ বুঝে নিজেদের কাছে থাকা নকল চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে সটকে পড়েন তারা। অভিনব এ পন্থায় মোটরসাইকেল চুরির এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব কথা জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতাররা হলেন- মোহাম্মদ আলী, আানোয়ার হোসেন রুবেল, মো. সামছুল হুদা, মো. কামাল হোসেন ওরফে আকাশ ও মো. মিজান। বুধবার ঢাকা ও নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকার একটি বাড়ি থেকে মো. সাদিকুল ইসলাম শুভর একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর চারজনকে নেয়াখালীর চাটখিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মোটরসাইকেল চুরির কৌশল সম্পর্কে ডিবিপ্রধান বলেন, এ চক্রের মোহাম্মদ আলী চুরি করার জন্য টার্গেট করা মোটরসাইকেলের আশপাশে গিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। অনেক সময় মোটরসাইকেলের ওপর বসে নিজেরা কথা বলেন। পরে সুযোগ বুঝে তাদের নিজেদের তৈরি করা চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল স্টার্ট করে নিয়ে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ আলী তার কয়েকজন সহযোগীসহ কয়েক বছর ধরে ঢাকার উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলেন। পরে মোটরসাইকেলগুলো নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী এলাকায় বিক্রি করে দিতেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মোটরসাইকেলে বসে গল্প, সুযোগ বুঝে চুরি

আপডেট সময় : ০২:৫২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুরির জন্য টার্গেট করা মোটরসাইকেলের আশপাশে ঘোরাঘুরি। এরপর মোটরসাইকেলের ওপর বসে গল্প-আড্ডা চালিয়ে যান। সুযোগ বুঝে নিজেদের কাছে থাকা নকল চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে সটকে পড়েন তারা। অভিনব এ পন্থায় মোটরসাইকেল চুরির এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব কথা জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতাররা হলেন- মোহাম্মদ আলী, আানোয়ার হোসেন রুবেল, মো. সামছুল হুদা, মো. কামাল হোসেন ওরফে আকাশ ও মো. মিজান। বুধবার ঢাকা ও নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকার একটি বাড়ি থেকে মো. সাদিকুল ইসলাম শুভর একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর চারজনকে নেয়াখালীর চাটখিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মোটরসাইকেল চুরির কৌশল সম্পর্কে ডিবিপ্রধান বলেন, এ চক্রের মোহাম্মদ আলী চুরি করার জন্য টার্গেট করা মোটরসাইকেলের আশপাশে গিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। অনেক সময় মোটরসাইকেলের ওপর বসে নিজেরা কথা বলেন। পরে সুযোগ বুঝে তাদের নিজেদের তৈরি করা চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল স্টার্ট করে নিয়ে পালিয়ে যান। মোহাম্মদ আলী তার কয়েকজন সহযোগীসহ কয়েক বছর ধরে ঢাকার উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলেন। পরে মোটরসাইকেলগুলো নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী এলাকায় বিক্রি করে দিতেন।