ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

  • আপডেট সময় : ০৮:০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

মডেল মেঘনা আলম -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বোরকা না পরে আসায় একজন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তার কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া এবং মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারী পক্ষ। শনিবার (১২ এপ্রিল) নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বোরকা না পরে আসা এবং সে একজন নারী, যার কারণে ইউএনও হিসেবে থাকতে পারবে না- এই মন্তব্য করে স্থানীয় একটি ইসলামপন্থি দলের নেতাকর্মীরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তার কার্যালয় থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তার ওপর এই বেআইনি, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও বর্বর আচরণের দুঃসাহস দেখিয়ে তারা কীভাবে পার পেয়ে যায়! একজন সরকারি কর্মকর্তার যারা এই অবস্থা করতে পারে তাদের কাছে দেশের সাধারণ নারীরা কতটা অসহায় ও অনিরাপদ তা খুব সহজেই অনুমেয়।

নারীপক্ষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সরকারেরে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষী ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছে।

অন্যদিকে মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে গত ৭ এপ্রিল ঢাকায় তার বাসা থেকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তাকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে গোপন হেফাজতে নিয়ে দুই দিন পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশ্ন হলো- ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন আইনসহ অনেক কিছু পরিবর্তন বা সংস্কার হয়েছে কিন্তু এতো বছরের পুরোনো একটি কালো আইনের পরিবর্তন তো করাই হলো না। বরং সেই আইনের আওতায় এখনও গ্রেফতার নির্যাতন চালানো হচ্ছে কেন? তাছাড়া, মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে যিনি বা যারা রাষ্ট্রীয় ইস্যু করলেন তার বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত নয়?

নারীপক্ষ অনতিবিলম্বে ১৯৭৪ সালের এই কালো আইন বাতিল, মেঘনা আলমের নিঃশর্ত মুক্তি এবং যে বা যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেঘলা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে রাষ্ট্রীয় ইস্যু করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট সময় : ০৮:০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বোরকা না পরে আসায় একজন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তার কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া এবং মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারী পক্ষ। শনিবার (১২ এপ্রিল) নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বোরকা না পরে আসা এবং সে একজন নারী, যার কারণে ইউএনও হিসেবে থাকতে পারবে না- এই মন্তব্য করে স্থানীয় একটি ইসলামপন্থি দলের নেতাকর্মীরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তার কার্যালয় থেকে জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তার ওপর এই বেআইনি, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও বর্বর আচরণের দুঃসাহস দেখিয়ে তারা কীভাবে পার পেয়ে যায়! একজন সরকারি কর্মকর্তার যারা এই অবস্থা করতে পারে তাদের কাছে দেশের সাধারণ নারীরা কতটা অসহায় ও অনিরাপদ তা খুব সহজেই অনুমেয়।

নারীপক্ষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সরকারেরে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষী ব্যক্তিদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছে।

অন্যদিকে মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে গত ৭ এপ্রিল ঢাকায় তার বাসা থেকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তাকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে গোপন হেফাজতে নিয়ে দুই দিন পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশ্ন হলো- ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন আইনসহ অনেক কিছু পরিবর্তন বা সংস্কার হয়েছে কিন্তু এতো বছরের পুরোনো একটি কালো আইনের পরিবর্তন তো করাই হলো না। বরং সেই আইনের আওতায় এখনও গ্রেফতার নির্যাতন চালানো হচ্ছে কেন? তাছাড়া, মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে যিনি বা যারা রাষ্ট্রীয় ইস্যু করলেন তার বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত নয়?

নারীপক্ষ অনতিবিলম্বে ১৯৭৪ সালের এই কালো আইন বাতিল, মেঘনা আলমের নিঃশর্ত মুক্তি এবং যে বা যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মেঘলা আলমের ব্যক্তিগত বিষয়কে রাষ্ট্রীয় ইস্যু করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায়।