ঢাকা ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মিষ্টি আম চেনার উপায় ও খাওয়ার নিয়ম

  • আপডেট সময় : ১০:২৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সব বিক্রেতাই তার আম মিষ্টি বলে আপনার কাছে বিক্রি করতে চাইবেন, কিন্তু সব আম কি সত্যিই মিষ্টি? এমনও তো হয় যে দোকানির কাছ থেকে মিষ্টি শুনে কিনে আনলেন। এরপর বাসায় এসে কেটে খেতে নিয়ে দেখলেন যে সেই আম ভীষণ টক। এখন কথা হলো, আগে থেকে কি বোঝা সম্ভব যে আম মিষ্টি কি না? আপনি যদি আম কেনার সময় কয়েকটি পরামর্শ মেনে কিনতে পারেন। যেমন-
সুগন্ধ: আম যদি মিষ্টি হয় তবে এক ধরনের সুগন্ধ বের হতে থাকবে। তাই আম কেনার সময় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না ভুগে বরং একটি আম নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকে দেখুন। আমের বোঁটার কাছটাতে গন্ধ নেবেন। যদি মৃদু সুগন্ধ নাকে এসে লাগে তবে বুঝবেন এই আম মিষ্টি হবে। এভাবে দেখে কিনলে মিষ্টি আম খেতে পারবেন। নরম হবে: আম যদি গাছপাকা হয়ে থাকে তবে তা নরম হবে। তাই আম কেনার সময় আমের গায়ে হালকা করে টিপে দেখতে পারেন। যদি দেখেন আঙুলের চাপে দেবে যাচ্ছে তাহলে সেই আম কিনতে পারেন। কারণ গাছপাকা আম হলে তা টক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এদিকে কাঁচা কিংবা অর্ধপাকা আম পাকানো হলে তাতে টকভাব থেকেই যায়। তাই বুঝেশুনে কিনুন।
গাঢ় হলুদ রঙ: আম কেনার আগে তার রঙের দিকে ভালো করে খেয়াল করুন। যদি আমের রঙ গাঢ় হলুদ হয় তবে বুঝে নেবেন এই আম মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একটু আঙুল বুলিয়ে খোসা পাতলা কি না তা দেখে নিতে পারেন। আকার এবং রঙ ঠিক থাকলে সেই আম সুস্বাদু হবেই। তবে সবুজ রঙের আম যে মিষ্টি হয় না, তা কিন্তু নয়। সেক্ষেত্রে গন্ধ শুঁকে কিনতে পারেন।
খোসায় দাগ আছে কি না: আম কেনার সময় এর খোসায় যদি কোনো দাগ-ছোপ দেখেন তবে সেই আম না কেনাই ভালো। কারণ সেই আমের ভেতরের কিছু অংশ খারাপ হতে পারে। সেইসঙ্গে খেতেও খারাপ লাগতে পারে। তাই আম কেনার সময় খেয়াল করুন, এতে দাগ আছে কি না। এ ধরনের আম কেনা থেকে বিরত থাকুন।
যেভাবে আম খেলে ব্লাড সুগার বাড়বে না: ফল হিসেবে আমের স্বাদ অতুলনীয়। তবে মধুমেহ রোগীরা বেশি পরিমাণে আম খেলে বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে কারণ এতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ অনেক বেশি। ব্লাড সুগারের রোগীর ক্ষেত্রে রক্তে অতি দ্রুত বেড়ে যায় শর্করা। তবে আমের গুণও অস্বীকার করা যায় না। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, বিটা ক্যরোটিন ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারী উপাদানে ঠাসা এই ফল। তাই নানা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কি গরমকালে আম খাবেন না ডায়াবেটিস রোগীরা? তাদের জন্যেও আছে আম খাওয়ার উপায়।
মধুমেহ রোগীরা আমের টুকরো খেতে পারেন। তবে রস করে না খাওয়াই ভালো। রস বার করলে আমের ফাইবারসুলভ সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমের সঙ্গে কিছু দানা বা বীজ বা বাদামজাতীয় জিনিস খেতে হবে মধুমেহ রোগীদের। তাহলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দ্রুত বাড়বে না। লাঞ্চ, ডিনারের আগে বা সঙ্গে বা ঠিক পরে আম খাবেন না ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ এক লাফে বেড়ে যাবে অনেকটাই। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের স্বল্প পরিমাণে আম খেতে হবে। একবারে দু’ টুকরোর বেশি আম কোনওভাবেই খাবেন না। সপ্তাহে এক বা দু’দিন আম খান। রোজ কখনোই আম খাবেন না।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিষ্টি আম চেনার উপায় ও খাওয়ার নিয়ম

আপডেট সময় : ১০:২৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সব বিক্রেতাই তার আম মিষ্টি বলে আপনার কাছে বিক্রি করতে চাইবেন, কিন্তু সব আম কি সত্যিই মিষ্টি? এমনও তো হয় যে দোকানির কাছ থেকে মিষ্টি শুনে কিনে আনলেন। এরপর বাসায় এসে কেটে খেতে নিয়ে দেখলেন যে সেই আম ভীষণ টক। এখন কথা হলো, আগে থেকে কি বোঝা সম্ভব যে আম মিষ্টি কি না? আপনি যদি আম কেনার সময় কয়েকটি পরামর্শ মেনে কিনতে পারেন। যেমন-
সুগন্ধ: আম যদি মিষ্টি হয় তবে এক ধরনের সুগন্ধ বের হতে থাকবে। তাই আম কেনার সময় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে না ভুগে বরং একটি আম নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকে দেখুন। আমের বোঁটার কাছটাতে গন্ধ নেবেন। যদি মৃদু সুগন্ধ নাকে এসে লাগে তবে বুঝবেন এই আম মিষ্টি হবে। এভাবে দেখে কিনলে মিষ্টি আম খেতে পারবেন। নরম হবে: আম যদি গাছপাকা হয়ে থাকে তবে তা নরম হবে। তাই আম কেনার সময় আমের গায়ে হালকা করে টিপে দেখতে পারেন। যদি দেখেন আঙুলের চাপে দেবে যাচ্ছে তাহলে সেই আম কিনতে পারেন। কারণ গাছপাকা আম হলে তা টক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এদিকে কাঁচা কিংবা অর্ধপাকা আম পাকানো হলে তাতে টকভাব থেকেই যায়। তাই বুঝেশুনে কিনুন।
গাঢ় হলুদ রঙ: আম কেনার আগে তার রঙের দিকে ভালো করে খেয়াল করুন। যদি আমের রঙ গাঢ় হলুদ হয় তবে বুঝে নেবেন এই আম মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একটু আঙুল বুলিয়ে খোসা পাতলা কি না তা দেখে নিতে পারেন। আকার এবং রঙ ঠিক থাকলে সেই আম সুস্বাদু হবেই। তবে সবুজ রঙের আম যে মিষ্টি হয় না, তা কিন্তু নয়। সেক্ষেত্রে গন্ধ শুঁকে কিনতে পারেন।
খোসায় দাগ আছে কি না: আম কেনার সময় এর খোসায় যদি কোনো দাগ-ছোপ দেখেন তবে সেই আম না কেনাই ভালো। কারণ সেই আমের ভেতরের কিছু অংশ খারাপ হতে পারে। সেইসঙ্গে খেতেও খারাপ লাগতে পারে। তাই আম কেনার সময় খেয়াল করুন, এতে দাগ আছে কি না। এ ধরনের আম কেনা থেকে বিরত থাকুন।
যেভাবে আম খেলে ব্লাড সুগার বাড়বে না: ফল হিসেবে আমের স্বাদ অতুলনীয়। তবে মধুমেহ রোগীরা বেশি পরিমাণে আম খেলে বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে কারণ এতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ অনেক বেশি। ব্লাড সুগারের রোগীর ক্ষেত্রে রক্তে অতি দ্রুত বেড়ে যায় শর্করা। তবে আমের গুণও অস্বীকার করা যায় না। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, বিটা ক্যরোটিন ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপকারী উপাদানে ঠাসা এই ফল। তাই নানা শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কি গরমকালে আম খাবেন না ডায়াবেটিস রোগীরা? তাদের জন্যেও আছে আম খাওয়ার উপায়।
মধুমেহ রোগীরা আমের টুকরো খেতে পারেন। তবে রস করে না খাওয়াই ভালো। রস বার করলে আমের ফাইবারসুলভ সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমের সঙ্গে কিছু দানা বা বীজ বা বাদামজাতীয় জিনিস খেতে হবে মধুমেহ রোগীদের। তাহলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দ্রুত বাড়বে না। লাঞ্চ, ডিনারের আগে বা সঙ্গে বা ঠিক পরে আম খাবেন না ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ এক লাফে বেড়ে যাবে অনেকটাই। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের স্বল্প পরিমাণে আম খেতে হবে। একবারে দু’ টুকরোর বেশি আম কোনওভাবেই খাবেন না। সপ্তাহে এক বা দু’দিন আম খান। রোজ কখনোই আম খাবেন না।