ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মা-ছেলেকে অপহরণ : এএসপিসহ সিআইডির তিনজনের জামিন নামঞ্জুর

  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই তিনজনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ সময় দিনাজপুর আদালত পুলিশের এসআই সবুজ আলী জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালতের বিচারক শিশির কুমার বসু তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দিনাজপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, সকালে আদালত শুরুর সময় ওই তিনজনের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিন্টু পালও। চলতি মাসে পলাশ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট রাত নয়টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই সালেমান শাহ পাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের বাড়িতে ৬/৭ জন ব্যক্তি প্রবেশ করেন। এ সময় তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ির আলমারি, শোকেস, ড্রয়ার তছনছ করেন। পরে তারা লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে তুলে নিয়ে যান। রাতে অপহরণকারীরা স্বজনদের কাছে ফোন করে মা-ছেলেকে উদ্ধারের জন্য ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করেন এবং সেখানে লিখিত অভিযোগ দেন। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা অপহরণকারীদের ১৫ লাখ টাকা দেবেন বলে জানান। সেই অনুযায়ী অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে বাশেরহাট এলাকায় পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করতে সক্ষম হন। আটকের পর পুলিশ জানতে পারে এদের মধ্যে সিআইডির কর্মকর্তাসহ তিন সদস্য রয়েছেন।
এই ঘটনায় অপহৃত জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া, শহরের নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিউল আলম পলাশকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর ৫ আসামি হলেন- চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের মৃত এন্তাজুল হকের ছেলে আরেফিন শাহ, শহরের ৬ নং উপশহর খেরপট্টি এলাকার সোহেল, সুইহারী চৌরঙ্গী বাজারের রিয়াদ, ২ নং উপশহর এলাকার সুমন এবং ৩ নং উপশহর এলাকার জাহিদ। এদিকে অপহরণের ঘটনায় মামলার পর বরখাস্ত করা হয়েছে পুলিশের এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হককে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মা-ছেলেকে অপহরণ : এএসপিসহ সিআইডির তিনজনের জামিন নামঞ্জুর

আপডেট সময় : ০১:৪৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই তিনজনের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। এ সময় দিনাজপুর আদালত পুলিশের এসআই সবুজ আলী জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালতের বিচারক শিশির কুমার বসু তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
দিনাজপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, সকালে আদালত শুরুর সময় ওই তিনজনের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিন্টু পালও। চলতি মাসে পলাশ নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট রাত নয়টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই সালেমান শাহ পাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের বাড়িতে ৬/৭ জন ব্যক্তি প্রবেশ করেন। এ সময় তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ির আলমারি, শোকেস, ড্রয়ার তছনছ করেন। পরে তারা লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে তুলে নিয়ে যান। রাতে অপহরণকারীরা স্বজনদের কাছে ফোন করে মা-ছেলেকে উদ্ধারের জন্য ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করেন এবং সেখানে লিখিত অভিযোগ দেন। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা অপহরণকারীদের ১৫ লাখ টাকা দেবেন বলে জানান। সেই অনুযায়ী অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে বাশেরহাট এলাকায় পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করতে সক্ষম হন। আটকের পর পুলিশ জানতে পারে এদের মধ্যে সিআইডির কর্মকর্তাসহ তিন সদস্য রয়েছেন।
এই ঘটনায় অপহৃত জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব মিয়া, শহরের নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিউল আলম পলাশকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অপর ৫ আসামি হলেন- চিরিরবন্দর উপজেলার আন্ধারমুহা গ্রামের মৃত এন্তাজুল হকের ছেলে আরেফিন শাহ, শহরের ৬ নং উপশহর খেরপট্টি এলাকার সোহেল, সুইহারী চৌরঙ্গী বাজারের রিয়াদ, ২ নং উপশহর এলাকার সুমন এবং ৩ নং উপশহর এলাকার জাহিদ। এদিকে অপহরণের ঘটনায় মামলার পর বরখাস্ত করা হয়েছে পুলিশের এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হককে।