ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় আ.লীগ, বিএনপি ও জাপার নেতারা

  • আপডেট সময় : ০২:৫১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পৌনে বারোটার দিকে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় প্রায় দুইটার দিকে। এদিন তিনটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ সংবাদ মাধ্যমকে এ বৈঠকে অংশগ্রহণের কথা জানান। বৈঠকসূত্র জানায়, বৈঠকে আওয়ামী লীগের দুই নেতা, বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকশেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জন্য যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। প্রতিটি দলই তাদের মতামত দিয়েছে। নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একদল আরেক দলের সম্পর্কে বলেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতির উদ্দেশ্য বোঝা গেছে, তারা একটা ফেয়ার ইলেকশন চায় এবং নির্বাচনটা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। এই ব্যাপারে আমাদের দলও একমত।’
মার্কিন ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে: খসরু
ভোট চুরির সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তাদের জন্যই মার্কিন ভিসা নীতি প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির পদক্ষেপ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তারই প্রতিফলন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। যারাই ভোট চুরির সঙ্গে ডিরেক্ট এবং ইনডিরেক্ট জড়িত, তাদের সরার জন্যই এটা প্রযোজ্য। বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতোমধ্যে ভোট চুরি চলছে। গাজীপুরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, লেভেল প্লেইং ফিল্ড না থাকায় সেখানকার সাবেক সিটি মেয়রকে নির্বাচন করতে দেয়নি বর্তমান সরকার। মার্কিন ভিসা নীতি আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। আমীর খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা আওয়ামী লীগ না ভাবলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে দুপুর ১২টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর পৌনে ২টায়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলটির তথ্য ও গবেষণা-বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত। বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। জাতীয় পার্টির পক্ষে দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন গত ৩ মে চিঠি দিয়ে নতুন ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানায় বাংলাদেশকে। ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি দিয়েছে এবং ওই চিঠিতে অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অপূর্ব চিঠি দিয়েছেৃপ্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনে কারচুপি বা সহযোগিতাকারীকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমরা যে নীতি প্রকাশ করলাম, সেটি প্রধানমন্ত্রীর যে আগ্রহ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার, সেটিকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়ার জন্য এটি ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং তারা যেটি করেছে ভালো বলে তিনি জানান। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হওয়ার পরও কেন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ভালো। দেখেন না দুষ্ট লোকেরা এখনো জ্বালাও-পোড়াও করে। গত পরশু পুলিশকে পিঠিয়েছে এবং বাস জ্বালিয়েছে। তারা কিছুটা সাবধান হবে। ভিসা কড়াকড়ি শুধু সরকারি দলের জন্য নয়, বিরোধী দলের জন্যও প্রযোজ্য হবে। ওই চিঠি ৩ মে পাঠানো হলেও এত দিন জানাননি কেন, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা জানাক। তাদের নীতি আমরা জানাবো কেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ আছে বলেই গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার বদল হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি প্রধানমন্ত্রী যা চাইছেন সেটিকে জোরালোভাবে সমর্থন করে বলে তিনি জানান। তিনি জানান যে মার্কিন সরকার তাদের যে ভিসা নীতি গ্রহণ করেছেন, সেটির সঙ্গে আমরা যেটি চাই সেটির সঙ্গে মিল আছে। আমরা চাই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে রাতের অন্ধকারে ভোট হয়ে যায় এবং সে কারণে আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। তিনি বলেন, তবে প্রায় আমি বলে থাকি, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এবং নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা থাকলে অনেক সময় অহিংস নির্বাচন হয় না। অনেক সময় অসুবিধা হয়। একটি হত্যাযজ্ঞ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সব দল ও মত, সরকারি দল, বিরোধী দল, এনজিও, সুশীল সমাজ সবার সহযোগিতা দরকার। আমেরিকা যে নীতিটি ঘোষণা করেছে, সেখানে ওই কথা বলা হয়েছে।’ বাড়তি চাপ অনুভব করছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একদম না। তারা তাদের কাজ করেছে; আমরা আমাদের কাজ করবো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন গত ৩ মে চিঠি দিয়ে নতুন ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানায় বাংলাদেশকে। ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি দিয়েছে এবং ওই চিঠিতে অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অপূর্ব চিঠি দিয়েছেৃপ্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনে কারচুপি বা সহযোগিতাকারীকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমরা যে নীতি প্রকাশ করলাম, সেটি প্রধানমন্ত্রীর যে আগ্রহ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার, সেটিকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়ার জন্য এটি ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং তারা যেটি করেছে ভালো বলে তিনি জানান। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হওয়ার পরও কেন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ভালো। দেখেন না দুষ্ট লোকেরা এখনো জ্বালাও-পোড়াও করে। গত পরশু পুলিশকে পিঠিয়েছে এবং বাস জ্বালিয়েছে। তারা কিছুটা সাবধান হবে। ভিসা কড়াকড়ি শুধু সরকারি দলের জন্য নয়, বিরোধী দলের জন্যও প্রযোজ্য হবে। ওই চিঠি ৩ মে পাঠানো হলেও এত দিন জানাননি কেন, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা জানাক। তাদের নীতি আমরা জানাবো কেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ আছে বলেই গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার বদল হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি প্রধানমন্ত্রী যা চাইছেন সেটিকে জোরালোভাবে সমর্থন করে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান যে মার্কিন সরকার তাদের যে ভিসা নীতি গ্রহণ করেছেন, সেটির সঙ্গে আমরা যেটি চাই সেটির সঙ্গে মিল আছে। আমরা চাই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে রাতের অন্ধকারে ভোট হয়ে যায় এবং সে কারণে আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। তিনি বলেন, তবে প্রায় আমি বলে থাকি, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এবং নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা থাকলে অনেক সময় অহিংস নির্বাচন হয় না। অনেক সময় অসুবিধা হয়। একটি হত্যাযজ্ঞ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সব দল ও মত, সরকারি দল, বিরোধী দল, এনজিও, সুশীল সমাজ সবার সহযোগিতা দরকার। আমেরিকা যে নীতিটি ঘোষণা করেছে, সেখানে ওই কথা বলা হয়েছে।’ বাড়তি চাপ অনুভব করছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একদম না। তারা তাদের কাজ করেছে; আমরা আমাদের কাজ করবো।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় আ.লীগ, বিএনপি ও জাপার নেতারা

আপডেট সময় : ০২:৫১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পৌনে বারোটার দিকে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় প্রায় দুইটার দিকে। এদিন তিনটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ সংবাদ মাধ্যমকে এ বৈঠকে অংশগ্রহণের কথা জানান। বৈঠকসূত্র জানায়, বৈঠকে আওয়ামী লীগের দুই নেতা, বিএনপি নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টি নেতাদের মধ্যে দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকশেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন সরকার বাংলাদেশের জন্য যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। প্রতিটি দলই তাদের মতামত দিয়েছে। নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একদল আরেক দলের সম্পর্কে বলেছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতির উদ্দেশ্য বোঝা গেছে, তারা একটা ফেয়ার ইলেকশন চায় এবং নির্বাচনটা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। এই ব্যাপারে আমাদের দলও একমত।’
মার্কিন ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে: খসরু
ভোট চুরির সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তাদের জন্যই মার্কিন ভিসা নীতি প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির পদক্ষেপ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তারই প্রতিফলন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। যারাই ভোট চুরির সঙ্গে ডিরেক্ট এবং ইনডিরেক্ট জড়িত, তাদের সরার জন্যই এটা প্রযোজ্য। বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতোমধ্যে ভোট চুরি চলছে। গাজীপুরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, লেভেল প্লেইং ফিল্ড না থাকায় সেখানকার সাবেক সিটি মেয়রকে নির্বাচন করতে দেয়নি বর্তমান সরকার। মার্কিন ভিসা নীতি আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। আমীর খসরু আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা আওয়ামী লীগ না ভাবলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। রাজধানীর গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে দুপুর ১২টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর পৌনে ২টায়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন দলটির তথ্য ও গবেষণা-বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত। বিএনপির পক্ষে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। জাতীয় পার্টির পক্ষে দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন গত ৩ মে চিঠি দিয়ে নতুন ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানায় বাংলাদেশকে। ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি দিয়েছে এবং ওই চিঠিতে অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অপূর্ব চিঠি দিয়েছেৃপ্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনে কারচুপি বা সহযোগিতাকারীকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমরা যে নীতি প্রকাশ করলাম, সেটি প্রধানমন্ত্রীর যে আগ্রহ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার, সেটিকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়ার জন্য এটি ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং তারা যেটি করেছে ভালো বলে তিনি জানান। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হওয়ার পরও কেন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ভালো। দেখেন না দুষ্ট লোকেরা এখনো জ্বালাও-পোড়াও করে। গত পরশু পুলিশকে পিঠিয়েছে এবং বাস জ্বালিয়েছে। তারা কিছুটা সাবধান হবে। ভিসা কড়াকড়ি শুধু সরকারি দলের জন্য নয়, বিরোধী দলের জন্যও প্রযোজ্য হবে। ওই চিঠি ৩ মে পাঠানো হলেও এত দিন জানাননি কেন, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা জানাক। তাদের নীতি আমরা জানাবো কেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ আছে বলেই গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার বদল হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি প্রধানমন্ত্রী যা চাইছেন সেটিকে জোরালোভাবে সমর্থন করে বলে তিনি জানান। তিনি জানান যে মার্কিন সরকার তাদের যে ভিসা নীতি গ্রহণ করেছেন, সেটির সঙ্গে আমরা যেটি চাই সেটির সঙ্গে মিল আছে। আমরা চাই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে রাতের অন্ধকারে ভোট হয়ে যায় এবং সে কারণে আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। তিনি বলেন, তবে প্রায় আমি বলে থাকি, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এবং নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা থাকলে অনেক সময় অহিংস নির্বাচন হয় না। অনেক সময় অসুবিধা হয়। একটি হত্যাযজ্ঞ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সব দল ও মত, সরকারি দল, বিরোধী দল, এনজিও, সুশীল সমাজ সবার সহযোগিতা দরকার। আমেরিকা যে নীতিটি ঘোষণা করেছে, সেখানে ওই কথা বলা হয়েছে।’ বাড়তি চাপ অনুভব করছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একদম না। তারা তাদের কাজ করেছে; আমরা আমাদের কাজ করবো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন গত ৩ মে চিঠি দিয়ে নতুন ভিসা নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানায় বাংলাদেশকে। ওই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি দিয়েছে এবং ওই চিঠিতে অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অপূর্ব চিঠি দিয়েছেৃপ্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনে কারচুপি বা সহযোগিতাকারীকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আমরা যে নীতি প্রকাশ করলাম, সেটি প্রধানমন্ত্রীর যে আগ্রহ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করার, সেটিকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নেওয়ার জন্য এটি ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং তারা যেটি করেছে ভালো বলে তিনি জানান। নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হওয়ার পরও কেন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ভালো। দেখেন না দুষ্ট লোকেরা এখনো জ্বালাও-পোড়াও করে। গত পরশু পুলিশকে পিঠিয়েছে এবং বাস জ্বালিয়েছে। তারা কিছুটা সাবধান হবে। ভিসা কড়াকড়ি শুধু সরকারি দলের জন্য নয়, বিরোধী দলের জন্যও প্রযোজ্য হবে। ওই চিঠি ৩ মে পাঠানো হলেও এত দিন জানাননি কেন, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা জানাক। তাদের নীতি আমরা জানাবো কেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক। গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ আছে বলেই গণতন্ত্র আছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার বদল হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি প্রধানমন্ত্রী যা চাইছেন সেটিকে জোরালোভাবে সমর্থন করে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান যে মার্কিন সরকার তাদের যে ভিসা নীতি গ্রহণ করেছেন, সেটির সঙ্গে আমরা যেটি চাই সেটির সঙ্গে মিল আছে। আমরা চাই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন এবং এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। কেউ কেউ অভিযোগ করে যে রাতের অন্ধকারে ভোট হয়ে যায় এবং সে কারণে আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্স করেছি। তিনি বলেন, তবে প্রায় আমি বলে থাকি, সরকারের আন্তরিকতা থাকলে এবং নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা থাকলে অনেক সময় অহিংস নির্বাচন হয় না। অনেক সময় অসুবিধা হয়। একটি হত্যাযজ্ঞ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সব দল ও মত, সরকারি দল, বিরোধী দল, এনজিও, সুশীল সমাজ সবার সহযোগিতা দরকার। আমেরিকা যে নীতিটি ঘোষণা করেছে, সেখানে ওই কথা বলা হয়েছে।’ বাড়তি চাপ অনুভব করছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একদম না। তারা তাদের কাজ করেছে; আমরা আমাদের কাজ করবো।