ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে এ মত বিনিময় সভা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফজলুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এ.টি.এম ফজলুল হক, মোজাম্মেল হক, এনামুল হক চৌধুরী, মানারাত ইনস্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম. উমার আলী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ, প্রকৌশলী আবুল বাশার। অনুষ্ঠানের সভাপতি মুহাম্মদ ফজলুর রহমান সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন এবং মানারাতকে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যাগুলো শনাক্ত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে বলেন, “আমরা মানারাত ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেন মানুষ দেখলেই বুঝতে পারে তারা আমাদের ছাত্র।“
সমস্ত বিভেদ-বিভক্তি ভুলে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে শিক্ষকদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে অধ্যাপক এম. উমার আলী বলেন, “মহান আল্লাহ এ প্রতিষ্ঠানকে আবার আমাদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং যে মিশন ভিশন নিয়ে এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।” অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, “শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে একযোগে করতে হবে।” মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট একটি রেজিস্ট্রিকৃত ট্রাস্ট জানিয়ে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, “একটি রেজিস্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানকে বাতিল করার ক্ষমতা কোনো কর্তৃপক্ষের নাই। যারা এখানে এসেছিলেন তারা অবৈধভাবে এসেছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ দখলমুক্ত হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী ট্রাস্ট এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা বুঝে নিয়েছে।” এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় উন্নতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এখানকার জমি আমাদেরই হাতে কেনা, এর দালান-কোঠা সবই আমাদের হাতেই তৈরি। এ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা এখন সে অনুযায়ী কাজ করব ইনশাআল্লাহ।” মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মাহবুব-উল-আলম, মানারাত ট্রাস্টের সেক্রেটারি সাবেক যুগ্ম-সচিব মো. আলম বকশী সভায় উপস্থিত ছিলেন।