ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান আয়ের খাত: আব্দুর রহমান

  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনৈতিক মুদ্রা অর্জনের খাত। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ নৌ পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানির দিকে মনোযোগী হতে হবে। সকল নদী, নালা, খাল, বিল, মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। পুরাতন ও পরিত্যক্ত পচা, ডোবা, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে, যাতে মাছের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি বলেন, আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। এখন আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি আয় বাড়ানো।
‘ভরব মাছে মোদের দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে জানিয়ে মো. আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের মাছ চাষের উপযোগী যত স্থান আছে, তা খুঁজে বের করে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালে ৬৫ লাখ টন মাছ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা আমরা অর্জন করতে পারব।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জাল, চায়না জালের ব্যবহার বন্ধের জন্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, এ বছর মৎস্য খাতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাতটি ক্যাটাগরিতে ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে স্বর্ণপদক ছয়টি, রৌপ্য পদক আটটি ও আটটি ব্রোঞ্জপদক রয়েছে। এ পুরস্কার দেওয়ার ফলে মাছ চাষে উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষীরা অনুপ্রাণিত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে মন্ত্রী মৎস্য খাতে সরকারের বিভিন্ন অর্জন এবং সচেতনতা ও উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে সজ্জিত বর্ণাঢ্য নৌ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু ও বাংলাদেশ নৌপুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান আয়ের খাত: আব্দুর রহমান

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনৈতিক মুদ্রা অর্জনের খাত। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।
গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ নৌ পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে হাতিরঝিলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানির দিকে মনোযোগী হতে হবে। সকল নদী, নালা, খাল, বিল, মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। পুরাতন ও পরিত্যক্ত পচা, ডোবা, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে, যাতে মাছের উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি বলেন, আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। এখন আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি আয় বাড়ানো।
‘ভরব মাছে মোদের দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে জানিয়ে মো. আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের মাছ চাষের উপযোগী যত স্থান আছে, তা খুঁজে বের করে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালে ৬৫ লাখ টন মাছ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা আমরা অর্জন করতে পারব।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জাল, চায়না জালের ব্যবহার বন্ধের জন্য তিনি সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, এ বছর মৎস্য খাতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাতটি ক্যাটাগরিতে ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে স্বর্ণপদক ছয়টি, রৌপ্য পদক আটটি ও আটটি ব্রোঞ্জপদক রয়েছে। এ পুরস্কার দেওয়ার ফলে মাছ চাষে উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষীরা অনুপ্রাণিত হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে মন্ত্রী মৎস্য খাতে সরকারের বিভিন্ন অর্জন এবং সচেতনতা ও উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে সজ্জিত বর্ণাঢ্য নৌ র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু ও বাংলাদেশ নৌপুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।