প্রত্যাশা ডেস্ক : ছয় ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ এক সফর শেষে তিন নভোচারী নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছে চীনা এক মহাকাশযান, যার মধ্যে রয়েছেন দেশটির প্রথম নারী মহাকাশ প্রকৌশলীও। নভোচারীরা চীনের নিজের তৈরি একটি মহাকাশ স্টেশনকে ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করবে, যেখানে তারা বিভিন্ন পরীক্ষা ও স্পেসওয়াক পরিচালনা করবেন। বেইজিংয়ের লক্ষ্য, এ মিশনের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিমত্তা সঞ্চয় করে পরবর্তীতে ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সঞ্চালন করা। শেনঝু ১৯-এর এই উৎক্ষেপণকে ‘বড় সাফল্য’ বলে ঘোষণা করেছে বেইজিং। এ বছর মহাকাশ অন্বেষণের লক্ষ্যে চীনের পরিকল্পিত একশটি উৎক্ষেপণের একটি এটি, যেখানে নতুন রেকর্ড গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে দেশটি। মিশনটির কমান্ডারের নাম কাই জুজে, যার সঙ্গে আছেন সং লিংডং এবং ওয়াং হাওজে নামের আরও দুই নভোচারী। এ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ঘটনা স্রেফ এক কিলোমিটার দূর থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছে বিবিসি, যেখানে তারা চীনের গানসু প্রদেশে অবস্থিত ‘জুইকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার’-এ প্রবেশ করার বিরল সুযোগ পেয়েছে। রকেটটি আকাশের দিকে উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা বিকট গর্জনে গোটা গোবি মরুভূমিকে আলোকিত করে তুলেছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এ উৎক্ষেপণ দেখতে হাজারের বেশি লোকজনকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ‘টাইকোনট (নভোচারীর চীনা শব্দ)’দের নামে শ্লোগান দিয়ে অভিবাদন জানাতে দেখা গেছে। তিয়াংগং স্পেস স্টেশনে ‘শেনঝু ১৯’ মিশনের নভোচারী দলটি আরও তিনজন নভোচারীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, যারা শেনঝু ১৮ মিশনে মহাকাশ স্টেশনটিতে এসেছিলেন। আর তারা ফিরতি যাত্রায় পৃথিবীতে ফিরে আসবেন ৪ নভেম্বর। দুই বছর আগেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেছিলেন, “বিশাল মহাজাগতিক অন্বেষণ, মহাকাশ খাতের বিকাশ ও চীনকে এ খাতের পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন।” কিন্তু ওয়াশিংটনের কেউ কেউ চীনের লক্ষ্য ও দ্রুত অগ্রগতিকে সত্যিকারের হুমকি হিসেবে দেখছে। এ বছরের শুরুতে নাসা প্রধান বিল নেলসন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ‘চাঁদে মানুষ ফেরানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে’, যেখানে তার ভয়, বেইজিং চাঁদের বিভিন্ন এলাকা দখল করতে চায়। তিনি আইনপ্রণেতাদের বলেন, তার ধারণা, চীনের বিভিন্ন অসামরিক স্পেস প্রোগ্রাম আদতে একেকটি সামরিক প্রকল্প।
মহাকাশে পৌঁছেছেন চীনের সর্বকনিষ্ঠ নারী নভোচারী
জনপ্রিয় সংবাদ