ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ব্রিটিশ আমল থেকে বসবাস করে আসা হরিজনদের উচ্ছেদ প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  • আপডেট সময় : ০২:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার বংশালের আগাসাদেক রোডের পাশের মিরনজিল্লা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছে হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা। তারা স্কুলের পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। উচ্ছেদের প্রতিবাদে স্লোগান দিয়েছে।
মিরনজিল্লার একটি অংশে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ জন্য সেখানে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদে গত সোমবার গিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তাঁরা হরিজন সম্প্রদায়ের তীব্র আপত্তি ও বাধার মুখে পড়েন। পরে তাঁরা একটি দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়ে দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিরনজিল্লা কলোনিতে যান। সঙ্গে দেখা যায় স্থাপনা অপসারণের বিভিন্ন সরঞ্জাম। তবে শিক্ষার্থীসহ হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের কারণে বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারেনি দক্ষিণ সিটি।
হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা বলছেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই তাঁরা এখানে বসবাস করে আসছেন। এখন তাঁদের পুনর্বাসন না করেই দক্ষিণ সিটি উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। তাঁরা এই অভিযান বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন।
মিরনজিল্লা কলোনিতে দক্ষিণ সিটির অনেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বসবাস করেন। এমন ৬০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ইতিমধ্যে নতুন ভবনে থাকার ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ সিটি। মিরনজিল্লা কলোনির যে অংশটি ভেঙে দক্ষিণ সিটি আধুনিক কাঁচাবাজার করতে চায়, সেখানে অন্তত ১০০ পরিবার বসবাস করছে।
দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরনজিল্লা কলোনিতে ৩ দশমিক ২৭ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ জমিতে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হবে। এই ২৭ শতাংশের মধ্যে অর্ধেকের মতো জায়গায় আগে থেকেই কাঁচাবাজার ছিল। বাকি অর্ধেক জায়গায় হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করছেন। সেই অংশটি অপসারণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে পাশের একটি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রিটিশ আমল থেকে বসবাস করে আসা হরিজনদের উচ্ছেদ প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০২:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরান ঢাকার বংশালের আগাসাদেক রোডের পাশের মিরনজিল্লা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছে হরিজন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা। তারা স্কুলের পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। উচ্ছেদের প্রতিবাদে স্লোগান দিয়েছে।
মিরনজিল্লার একটি অংশে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ জন্য সেখানে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদে গত সোমবার গিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তাঁরা হরিজন সম্প্রদায়ের তীব্র আপত্তি ও বাধার মুখে পড়েন। পরে তাঁরা একটি দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়ে দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিরনজিল্লা কলোনিতে যান। সঙ্গে দেখা যায় স্থাপনা অপসারণের বিভিন্ন সরঞ্জাম। তবে শিক্ষার্থীসহ হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের কারণে বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারেনি দক্ষিণ সিটি।
হরিজন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা বলছেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই তাঁরা এখানে বসবাস করে আসছেন। এখন তাঁদের পুনর্বাসন না করেই দক্ষিণ সিটি উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। তাঁরা এই অভিযান বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন।
মিরনজিল্লা কলোনিতে দক্ষিণ সিটির অনেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বসবাস করেন। এমন ৬০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ইতিমধ্যে নতুন ভবনে থাকার ব্যবস্থা করেছে দক্ষিণ সিটি। মিরনজিল্লা কলোনির যে অংশটি ভেঙে দক্ষিণ সিটি আধুনিক কাঁচাবাজার করতে চায়, সেখানে অন্তত ১০০ পরিবার বসবাস করছে।
দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরনজিল্লা কলোনিতে ৩ দশমিক ২৭ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ জমিতে আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হবে। এই ২৭ শতাংশের মধ্যে অর্ধেকের মতো জায়গায় আগে থেকেই কাঁচাবাজার ছিল। বাকি অর্ধেক জায়গায় হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করছেন। সেই অংশটি অপসারণ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে পাশের একটি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম।