নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৬ আসামির রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এ মামলায় গ্রেপ্তার ৬ আসামির রিমান্ড শুনানির জন্য ধার্য ছিল। এদিন কারাগার থেকে আসামি জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর কবিরকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর চার আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন। এর আগে গত ১১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড চাওয়া আসামিরা হলেন- পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায় ও ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম।
গত ৯ জুলাই এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনসহ সাত আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এছাড়া অপর ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। এছাড়া ৬ জন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন, চক্রের সক্রিয় সদস্য পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী (৫২), পিএসসির ডেসপ্যাচ রাইটার মো. খলিলুর রহমান (৩৮), অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম (৪১), ব্যবসায়ী সহোদর মো. সাখাওয়াত হোসেন (৩৪), সাইম হোসেন (২০) ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকার (২৫)। এছাড়া, আরেক আসামি ইসিবি চত্বরের ডেভেলপার ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল (৩৫) প্রথমে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হলেও পরে আবার অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপ পরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় গ্রেপ্তার ১৭ জন ছাড়া বিপিএসসির সাবেক সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, শরীফুল ইসলাম ভুইয়া, দীপক বনিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, একে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, মো. গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা: মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথকে পলাতক দেখানো হয়েছে।