ঢাকা ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিমানবন্দর এলাকায় তিন কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর উত্তর-দক্ষিণে তিন কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার পর এ অভিজ্ঞতা রাজধানীর অন্য এলাকাতেও কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান কার্যালয়ের সামনে তিনি বিমানবন্দর সংলগ্ন ৩ কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একটি শোভযাত্রা বের হয়। পরে বেবিচকের সদর দপ্তরে বসে আলোচনা সভা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বিমানবন্দরের উত্তর-দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করেছিল গত রোববার। ওই দিন বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি বলেছিল, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ এর বিধি-৪ অনুযায়ী শাহজালাল বিমানবন্দর ও তার আশপাশের এলাকাকে (স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে হোটেল লো মেরিডিয়ান পর্যন্ত) ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হল, যা ১ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হবে।
মঙ্গলবারের সভায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পৃথিবীর আর কোনো দেশে এইরকম গাড়ির হর্ন কানকে বিদীর্ণ করে না। এটা দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করে। আর বিমানবন্দরের ভিতরের এলাকাটা অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে এখানে আমরা মনে করেছি এই বিধি-নিষেধটা আরোপ করা সম্ভব হবে। “এখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢাকা শহরের অন্যান্য সড়কে, হাসপাতালের আশেপাশে, সচিবালয় এলাকায় এই কর্মসূচি চালাব।”
এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এখানে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার কারণ হচ্ছে তাদের আসলে বেশি কষ্ট হয়। এবং তাদের ভলান্টিয়ারিং অ্যাপ্রোচ বেশি, এটাকে আমরা ভ্যালু করি।” এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “রাস্তায় যখন আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা যাবে, যখন তারা আহ্বান করবে, সাথে সাথে কিন্তু আইন প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও আছে। আমাদের বিমানবন্দরের ভিতরে, সিভিল এভিয়েশনের ভেতরে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। “একদিকে আমাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, আরেকদিকে আমাদের ট্রাফিকের ম্যাজিস্ট্রেট আছে। ফলে, আহ্বানের সাথে আইন প্রয়োগের কাজটাও শুরু করতে চাই।” এ ধরনের একটি কাজ শুরু করতে পারাই একটি ‘সফলতা’ বলে মন্তব্য করেন রিজওযানা। তিনি বলেন, “এতদিন কেবল এই বিধানটা, এই নিষেধাজ্ঞাটা আমরা আইনের বইয়ে পেয়েছি। এ নিয়ে এতদিন মানুষকে অভিযোগ করতে শুনেছি, আজকে তার বিরুদ্ধে প্রতিকারের কাজটা শুরু হচ্ছে।” বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আবদুল হামিদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

বিমানবন্দর এলাকায় তিন কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর উত্তর-দক্ষিণে তিন কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার পর এ অভিজ্ঞতা রাজধানীর অন্য এলাকাতেও কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান কার্যালয়ের সামনে তিনি বিমানবন্দর সংলগ্ন ৩ কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একটি শোভযাত্রা বের হয়। পরে বেবিচকের সদর দপ্তরে বসে আলোচনা সভা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বিমানবন্দরের উত্তর-দক্ষিণে ৩ কিলোমিটার ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করেছিল গত রোববার। ওই দিন বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি বলেছিল, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০০৬ এর বিধি-৪ অনুযায়ী শাহজালাল বিমানবন্দর ও তার আশপাশের এলাকাকে (স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে হোটেল লো মেরিডিয়ান পর্যন্ত) ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করা হল, যা ১ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হবে।
মঙ্গলবারের সভায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পৃথিবীর আর কোনো দেশে এইরকম গাড়ির হর্ন কানকে বিদীর্ণ করে না। এটা দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করে। আর বিমানবন্দরের ভিতরের এলাকাটা অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে এখানে আমরা মনে করেছি এই বিধি-নিষেধটা আরোপ করা সম্ভব হবে। “এখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢাকা শহরের অন্যান্য সড়কে, হাসপাতালের আশেপাশে, সচিবালয় এলাকায় এই কর্মসূচি চালাব।”
এই কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এখানে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার কারণ হচ্ছে তাদের আসলে বেশি কষ্ট হয়। এবং তাদের ভলান্টিয়ারিং অ্যাপ্রোচ বেশি, এটাকে আমরা ভ্যালু করি।” এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করবেন জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, “রাস্তায় যখন আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা যাবে, যখন তারা আহ্বান করবে, সাথে সাথে কিন্তু আইন প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও আছে। আমাদের বিমানবন্দরের ভিতরে, সিভিল এভিয়েশনের ভেতরে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। “একদিকে আমাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট আছে, আরেকদিকে আমাদের ট্রাফিকের ম্যাজিস্ট্রেট আছে। ফলে, আহ্বানের সাথে আইন প্রয়োগের কাজটাও শুরু করতে চাই।” এ ধরনের একটি কাজ শুরু করতে পারাই একটি ‘সফলতা’ বলে মন্তব্য করেন রিজওযানা। তিনি বলেন, “এতদিন কেবল এই বিধানটা, এই নিষেধাজ্ঞাটা আমরা আইনের বইয়ে পেয়েছি। এ নিয়ে এতদিন মানুষকে অভিযোগ করতে শুনেছি, আজকে তার বিরুদ্ধে প্রতিকারের কাজটা শুরু হচ্ছে।” বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আবদুল হামিদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।