নতুন বছরের শুরুতেই সব স্বামী ও স্ত্রীকে দাম্পত্য সম্পর্কে টিকিয়ে রাখতে বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তা হলোÑ
ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করা: গবেষকরা বলছেন যেসব দম্পতি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তাদের সম্পর্ক ইতিবাচক ও আনন্দদায়ক হয়।
গর্বিত অনুভূতি অর্জন করা: জীবনে সফল হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার করতে পারেন। একজন আরেকজনের কাছ থেকে শিখতে পারেন। একযোগে শেখার মানসিকতা ব্যক্তিত্ব, আগ্রহ এবং জীবনবোধ গড়ে তুলতে সহায়তা দেবে। দুইজনে মিলে জীবন ও সংসার সম্পর্কে মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি সেট করে নিতে পারবেন।
একে অন্যের মানসিক চাহিদা মেটানো: দম্পতিদের একে অন্যের মানসিক চাহিদা পূরণে তৎপর হওয়া জরুরি। সম্পর্কে সন্তুষ্টি তৈরি করে এই অভ্যাস। মানসিক চাহিদাগুলির মধ্যে রয়েছে দৈনন্দিন আর্থ-সামাজিক দ্ব›েদ্বর মতো চ্যালেঞ্জিং বিষয়ও। একজন আরেকজনকে যৌক্তিক প্রশংসা করা সম্পর্কের জন্য ভীষণ জরুরি।
বিশ্বাসগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া: ধর্ম, সমাজ, পরিবার, পেশা সম্পর্কীত মূল্যবোধ ও বোঝাপড়া নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে মত বিনিময় করতে পারেন। এতে পারস্পারিক বোঝাপড়া একজন আরেকজনকে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করবে।
স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া: প্রতিটি মানুষ স্বতন্ত্র। একজন আরেকজনকে স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রিয় বিষয়ের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করতে হবে। দুইটি পরিবার থেকে আসা দুইজন মানুষ যেন নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নির্ভয়ে যোগাযোগ রাখতে পারেন, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—এই সুযোগটুকু দুইজন দুইজনকে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
একে অন্যের আচরণ, ভালো, মন্দ সবকিছু সহানুভূতিশীলতার মাধ্যমে বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরটি অর্থপূর্ণ আনন্দ ও ভালোবাসায় পূর্ণ করে তুলুন।