ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

বান্দরবানে জলকেলিতে মাতোয়ারা তরুণ-তরুণীরা

  • আপডেট সময় : ০৯:০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

বান্দরবান সংবাদদাতা: বান্দরবানে জলকেলি উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। পুরোনো বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ও গ্লানি মুছে দিতে একে অপরের ওপর পানি বর্ষণে অংশ নেন তারা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সাড়ে ৪টায় কুহালং পাড়ার সাঙ্গু নদীর তীরে এ উৎসব হয়।

এবার উৎসবের প্রতিপাদ্য হলো- ‘আঁধারের পাহাড় আলোকিত হয়ে উঠুক শিক্ষার আলোর গুনে, উৎসব হয়ে উঠুক সবার কল্যাণে’।

পুরো শহরজুড়ে চলে এ উৎসব। শিশু থেকে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে নতুন বছরকে বরণ করে নেন। জলকেলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও হয়। তৈলাক্ত বাঁশের আরোহন, নৌকা বাইচসহ নানা ইভেন্টে অংশ নেন অনেকে।

কুহালং হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা মাম্যাচিং মারমা ও ক্রইনু মারমা বলেন, সাংগ্রাইং হচ্ছে মারমাদের বড় সামাজিক উৎসব। এই উৎসবে নৌকা বাইচ, মৈত্রী পানি বর্ষণসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় ছোট-বড় সবাই অংশ নেন।
হ্লাচিংয়ই মারমা ও মংচ থুই মারমা বলেন, এই হেডম্যান পাড়ায় প্রতিবছর সাংগ্রাইং উদযাপন হলেও কোনোদিন মৈত্রী পানি বর্ষণ খেলা হয়নি। এবারই প্রথম হচ্ছে। প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকি কখন সাংগ্রাইং আসবে। কারণ বছরে একবারই সাংগ্রাইং উৎসব হয় যেখানে নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই আনন্দ করে।

সাংগ্রাইং উদযাপন কমিটির সভাপতি নু মং প্রু মারমা বলেন, ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এবার সাংগ্রাইং উৎসবে মৈত্রী পানি বর্ষণ (জলকেলি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উৎসবের আয়োজন করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ম্যামানু মারমা, সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাক্তার পু চ নু প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বান্দরবানে জলকেলিতে মাতোয়ারা তরুণ-তরুণীরা

আপডেট সময় : ০৯:০১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

বান্দরবান সংবাদদাতা: বান্দরবানে জলকেলি উৎসবে মেতেছেন মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। পুরোনো বছরের সব দুঃখ-কষ্ট ও গ্লানি মুছে দিতে একে অপরের ওপর পানি বর্ষণে অংশ নেন তারা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সাড়ে ৪টায় কুহালং পাড়ার সাঙ্গু নদীর তীরে এ উৎসব হয়।

এবার উৎসবের প্রতিপাদ্য হলো- ‘আঁধারের পাহাড় আলোকিত হয়ে উঠুক শিক্ষার আলোর গুনে, উৎসব হয়ে উঠুক সবার কল্যাণে’।

পুরো শহরজুড়ে চলে এ উৎসব। শিশু থেকে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে নতুন বছরকে বরণ করে নেন। জলকেলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও হয়। তৈলাক্ত বাঁশের আরোহন, নৌকা বাইচসহ নানা ইভেন্টে অংশ নেন অনেকে।

কুহালং হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা মাম্যাচিং মারমা ও ক্রইনু মারমা বলেন, সাংগ্রাইং হচ্ছে মারমাদের বড় সামাজিক উৎসব। এই উৎসবে নৌকা বাইচ, মৈত্রী পানি বর্ষণসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় ছোট-বড় সবাই অংশ নেন।
হ্লাচিংয়ই মারমা ও মংচ থুই মারমা বলেন, এই হেডম্যান পাড়ায় প্রতিবছর সাংগ্রাইং উদযাপন হলেও কোনোদিন মৈত্রী পানি বর্ষণ খেলা হয়নি। এবারই প্রথম হচ্ছে। প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকি কখন সাংগ্রাইং আসবে। কারণ বছরে একবারই সাংগ্রাইং উৎসব হয় যেখানে নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সবাই আনন্দ করে।

সাংগ্রাইং উদযাপন কমিটির সভাপতি নু মং প্রু মারমা বলেন, ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এবার সাংগ্রাইং উৎসবে মৈত্রী পানি বর্ষণ (জলকেলি) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উৎসবের আয়োজন করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএস মং, বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ম্যামানু মারমা, সিলেট বিভাগের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাক্তার পু চ নু প্রমুখ।