ক্রীড়া ডেস্ক: সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই সুযোগ ছিল তামিম ইকবালের। সেদিন প্রথম বলে আউট হওয়ায় বাড়ে অপেক্ষা। তবে পরের ম্যাচে আর ভুল করলেন না অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
বাউন্ডারি মেরে ৮ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তামিম। প্রায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে ২৭১ ইনিংস খেলে ৮ হাজার রান পূর্ণ করলেন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের হিসেবে তামিমের চেয়ে দ্রুত ৮ হাজার রান করেছেন বিশ্বের সাত জন ব্যাটসম্যান। সবচেয়ে কম ২১৩ ইনিংস খেলে রেকর্ডটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার মাইলফলক থেকে ৯ রান দূরে থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন তামিম।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটিতে সাবধানী শুরু করেন তিনি। প্রথম ১২ বলে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪ রান। পঞ্চম ওভারে শেখ মেহেদি হাসানের বল ক্রিজ ছেড়ে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে ৭ হাজার ৯৯৯ রানে পৌঁছে যান তামিম।
এক বল পর সোজা ব্যাটে চার মেরে কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে পা রাখেন অভিজ্ঞ ওপেনার। এরপর ইফতিখার আহমেদের দুই বল লং অন দিয়ে ছক্কায় ওড়ান তামিম। দুই বলের মাঝে চিরচেনা ইনসাইড আউট শটে এক্সট্রা কভার দিয়ে মারেন বাউন্ডারি।
এরপর ইনিংসটি অবশ্য বড় করতে পারেননি তিনি। একাদশ ওভারে কামরুল ইসলামের বলে মিড অফে অনেকটা ক্যাচিং অনুশীলন করিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে করেন ৪০ রান। ৮ হাজার রানের কীর্তি গড়ার পথে ৫২টি ফিফটির সঙ্গে ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।
২০১৯ সালের বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা ১৪১ রানের ইনিংস তার ক্যারিয়ার সেরা। এই সংস্করণে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যানের চল্লিশটি ফিফটি নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪টি ফিফটি মুশফিকুর রহিমের। এছাড়া তিনটি সেঞ্চুরিও নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের। নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক খেলেছেন ২টি করে শতরানের ইনিংস। রানের হিসেবে এই সংস্করণে তামিমের পরে সাকিব আল হাসান। ৪০৮ ইনিংসে তার সংগ্রহ ৭ হাজার ৪৩৮ রান।
এছাড়া পাঁচ হাজারের বেশি রান রয়েছে মাহমুদউল্লাহ (৬ হাজার ৯০) ও মুশফিকুর রহিমের (৫ হাজার ৮৮২)।


























