ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধু হয়েও মুখোশধারী কোনো শত্রু

  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘বন্ধু, তোমার পথের সাথীকে চিনে নিয়ো/মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিয়ো’Ñ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের এ গানেই বোঝা যায় জীবনে বন্ধুর গুরুত্ব। বন্ধু তো সেই, যে বিপদে পাশে থাকে। কিন্তু স্বার্থপরতার এই যুগে প্রকৃত বন্ধুও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যার সঙ্গে রোজ উঠছেন-বসছেন, একসঙ্গে কাজ করছেন, মনের কথা বলছেন, চোখ বন্ধ করে ভরসা করছেনÑ সে আদৌ আপনার বন্ধু; নাকি সুযোগের অপেক্ষায় লুকিয়ে থাকা কোনো শত্রু?
আসল বন্ধুকে চিনতে হলো কিছু বিষয় জানতে হবে। তা হলোÑ
সুসময়ের সঙ্গী: যাকে বন্ধু ভাবছেন, তিনি কি কেবল সুসময়েই পাশে থাকেন? আর আপনি জটিল কোনো পরিস্থিতিতে পড়লেই হাওয়া হয়ে যান? এমন মানুষ আসলে আপনার সঙ্গে থাকেন কেবল নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। বন্ধুত্ব কিংবা আপনার ভালো এরা চান না। মনে রাখবেন, খাঁটি বন্ধুত্ব হলো মজবুত দেওয়ালের মতো। জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে বন্ধুরা পাশে এসে দাঁড়ায়। সাহস দেয়, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
আনন্দ নাকি হিংসা: আপনার সাফল্যে আপনার বন্ধু খুশি হন, নাকি সাফল্যের খবর শুনলে তা ছোট করে দেখেন? বাঁকা মন্তব্য করেন? সাফল্যে তার প্রতিক্রিয়া খেয়াল করুন। আপনার সফলতা যদি বন্ধুর হিংসার কারণ হয় তাহলে সতর্ক হোন।
ঘুরেফিরে নিজের কথা: বন্ধু কখনো নিজের কথা বলবে, কখনো আপনার কথা শুনবে— এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি দেখেন আপনার বন্ধু সব কথাবার্তাকেই ঘুরে ফিরে নিজের দিকে টানছেন তাহলে সাবধান হোন। যাকে বন্ধু ভাবছেন তিনি প্রচণ্ড আত্মকেন্দ্রিক। আর এমন মানুষরা কখনো অন্যের কথা ভাবেন না। অপরপক্ষের অনুভূতির কোনো মূল্য নেই এদের কাছে। যা করেন তা কেবল নিজের সুবিধা বুঝে।
যোগাযোগে অনীহা: প্রকৃত বন্ধুত্বে দু’পক্ষেরই যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা থাকবে। একতরফা এক জন যোগাযোগ রেখে চলছেন, অন্যজন যোগাযোগ করার তেমন প্রয়োজনও মনে করছেন নাÑ এমনটি হলে সেটি বন্ধুত্ব নয়। পরিস্থিতির সাপেক্ষে কোনো এক পক্ষ বার কয়েক নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করতেই পারেন। কিন্তু এমনটাই যদি সবসময়ের নিয়ম হয় তবে এমন বন্ধুকে বিদায় জানানোই মঙ্গল। কারণ প্রকৃত বন্ধু নিজে থেকেই যোগাযোগ করেন।
প্রশংসা করতে দ্বিধা: বন্ধু কি প্রশংসা করতে গিয়ে কটাক্ষ করছে? সুযোগ পেলেই আপনার সমালোচনায় ব্যস্ত? এমনটা হলে একটু সচেতন হোন। বন্ধুরা যেমন দরকারে সমালোচনা করবেন, তেমনই পরস্পরকে অনুপ্রাণিতও করবেন। মনোবল বাড়াবেন। যদি তা যদি না হয়, তবে দূরত্ব তৈরি করুন। যে ব্যক্তি সবসময় আপনাকে হেয় করে সে বন্ধু হতে পারে না।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বন্ধু হয়েও মুখোশধারী কোনো শত্রু

আপডেট সময় : ০৫:০৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘বন্ধু, তোমার পথের সাথীকে চিনে নিয়ো/মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিয়ো’Ñ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের এ গানেই বোঝা যায় জীবনে বন্ধুর গুরুত্ব। বন্ধু তো সেই, যে বিপদে পাশে থাকে। কিন্তু স্বার্থপরতার এই যুগে প্রকৃত বন্ধুও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যার সঙ্গে রোজ উঠছেন-বসছেন, একসঙ্গে কাজ করছেন, মনের কথা বলছেন, চোখ বন্ধ করে ভরসা করছেনÑ সে আদৌ আপনার বন্ধু; নাকি সুযোগের অপেক্ষায় লুকিয়ে থাকা কোনো শত্রু?
আসল বন্ধুকে চিনতে হলো কিছু বিষয় জানতে হবে। তা হলোÑ
সুসময়ের সঙ্গী: যাকে বন্ধু ভাবছেন, তিনি কি কেবল সুসময়েই পাশে থাকেন? আর আপনি জটিল কোনো পরিস্থিতিতে পড়লেই হাওয়া হয়ে যান? এমন মানুষ আসলে আপনার সঙ্গে থাকেন কেবল নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। বন্ধুত্ব কিংবা আপনার ভালো এরা চান না। মনে রাখবেন, খাঁটি বন্ধুত্ব হলো মজবুত দেওয়ালের মতো। জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে বন্ধুরা পাশে এসে দাঁড়ায়। সাহস দেয়, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
আনন্দ নাকি হিংসা: আপনার সাফল্যে আপনার বন্ধু খুশি হন, নাকি সাফল্যের খবর শুনলে তা ছোট করে দেখেন? বাঁকা মন্তব্য করেন? সাফল্যে তার প্রতিক্রিয়া খেয়াল করুন। আপনার সফলতা যদি বন্ধুর হিংসার কারণ হয় তাহলে সতর্ক হোন।
ঘুরেফিরে নিজের কথা: বন্ধু কখনো নিজের কথা বলবে, কখনো আপনার কথা শুনবে— এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি দেখেন আপনার বন্ধু সব কথাবার্তাকেই ঘুরে ফিরে নিজের দিকে টানছেন তাহলে সাবধান হোন। যাকে বন্ধু ভাবছেন তিনি প্রচণ্ড আত্মকেন্দ্রিক। আর এমন মানুষরা কখনো অন্যের কথা ভাবেন না। অপরপক্ষের অনুভূতির কোনো মূল্য নেই এদের কাছে। যা করেন তা কেবল নিজের সুবিধা বুঝে।
যোগাযোগে অনীহা: প্রকৃত বন্ধুত্বে দু’পক্ষেরই যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা থাকবে। একতরফা এক জন যোগাযোগ রেখে চলছেন, অন্যজন যোগাযোগ করার তেমন প্রয়োজনও মনে করছেন নাÑ এমনটি হলে সেটি বন্ধুত্ব নয়। পরিস্থিতির সাপেক্ষে কোনো এক পক্ষ বার কয়েক নিজের উদ্যোগে যোগাযোগ করতেই পারেন। কিন্তু এমনটাই যদি সবসময়ের নিয়ম হয় তবে এমন বন্ধুকে বিদায় জানানোই মঙ্গল। কারণ প্রকৃত বন্ধু নিজে থেকেই যোগাযোগ করেন।
প্রশংসা করতে দ্বিধা: বন্ধু কি প্রশংসা করতে গিয়ে কটাক্ষ করছে? সুযোগ পেলেই আপনার সমালোচনায় ব্যস্ত? এমনটা হলে একটু সচেতন হোন। বন্ধুরা যেমন দরকারে সমালোচনা করবেন, তেমনই পরস্পরকে অনুপ্রাণিতও করবেন। মনোবল বাড়াবেন। যদি তা যদি না হয়, তবে দূরত্ব তৈরি করুন। যে ব্যক্তি সবসময় আপনাকে হেয় করে সে বন্ধু হতে পারে না।