ইমরান মাহফুজ
‘প্রজন্ম পড়ে না’, ‘ইতিহাস জানে না’, ‘তাদের ভবিষ্যৎ নেই’- বাক্যগুলো এ প্রজন্মকে নিয়ে অগ্রজদের। বাক্যগুলো অনেকাংশে মিথ্যা প্রমাণ করেছে ‘জুলাই প্রজন্ম’। দেয়ালে দেয়ালে এঁকে দিয়েছেন বঞ্চনার ইতিহাস। অগ্রজদের একটা অংশের প্রতারণা তারা ভুলেনি। সামনে এনেছে- দেশভাগ থেকে মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় ইতিহাস নানাভাবে বিকৃত করার বিষয়। সবার চোখের সামনেই তরুণদের ক্রমবিস্তৃত একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভয়ংকর সহিংসতার শিকার হতে হতে ঘটে গেছে গণ-অভ্যুত্থান।
তারা স্মরণ করেছে শত বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে অর্জন একাত্তরের স্বাধীনতাকে। লক্ষ্য যে ছিল সবার সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার পাবে। একাত্তরে রাষ্ট্রভাবনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেমন ছিল গণতন্ত্র, আবার নব্বইয়ে স্বৈরাচার শাসকের পতনের মূল চেতনাও গণতন্ত্র মূল্যবোধ। আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই গণতন্ত্র-সামাজিক মর্যাদা নির্বাসিত হয়েছে বলে ২ হাজার প্রাণের ত্যাগে চব্বিশে ঘটেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান।
বাঙালির জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন একাত্তরে স্বাধীনতা। তার পটভূমি কেবল একাত্তরে না, দীর্ঘদিনের- অগণিত মানুষের রক্তে। এ অঞ্চল তথা বাংলাদেশ ঘিরে ৩বার গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস রচিত হয়েছে (১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ধরলে চারবার গণ-অভ্যুত্থান)। প্রতিবার মানুষের অধিকার প্রশ্নে, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর বঞ্চিত হবার প্রশ্নে সংগ্রাম ছিল অব্যাহত। বৃহত্তর চিন্তায় গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষায়-রক্ত দিই, জেল খাটি, মৃত্যুর মুখোমুখি হই সাধারণরা। আবার মরীচিকার মতো হারিয়ে ফেলি গণতন্ত্র। ঈদের চাঁদের মতো উদিত হয়ে মিলিয়ে যায় আকাশে!
ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক আধিপত্য ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের শত বছরের লড়াই। প্রতিটি লড়াইয়ের আকাক্সক্ষা- মানুষের মতো বাঁচা। তারপর যেই ক্ষমতায় আসেন তিনি ভুলে যান শহীদ আসাদ, শামসুজ্জোহা থেকে নূর হোসেন, ডাক্তার মিলন, রাউফুন বসুনীয়াদের ত্যাগ। বীরশ্রেষ্ঠদের একাত্তর থেকে গণ-মানুষের আকাক্সক্ষা ব্যর্থ হয় বলে আসে ছাত্রজনতার চব্বিশ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ নামের গণ-অভ্যুত্থানের নায়কদের হৃদয়েও ছিল গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা এবং সামাজিক মর্যাদা। এ নায়কদের ভুলে যাওয়া মানেই ‘দেশপ্রেমের’ চেতনা থেকে দূরে সরে যাওয়া, একাত্তরকে অস্বীকার করা।
এ লেখা নিয়ে ভাবতেই মাথায় আসে রবীন্দ্রনাথের কথা। যিনি আমাদের মানুষ হিসেবে না দেখে শুধু বাঙালি হিসেবে দেখেছেন। যে বাঙালিকে কবি নিতে পারেননি আস্থায়। ফলে আক্ষেপ করে, হয়তো সে যন্ত্রণা থেকে বলেছেন- ‘সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি’। কারণ কবির দেখা বাঙালি ‘মানুষের’ চরিত্রের মাঝে নেই। তারা কেবল নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। জনগণের বিশ্বাস ভঙ্গকারী। ইতিহাস ভুলে যাওয়া, মানুষের ত্যাগ ভুলে যাওয়া যাদের স্বভাব। আর এ ক্ষেত্রে রাজনীতিবিধরা ভুলে গেলে, গণতন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলে- নব্বইয়ের পর চব্বিশের অভ্যুত্থান আসে একাত্তরের স্বপ্ন নিয়ে।
মনে পড়ছে কবি সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ গভীর উপলব্ধির এ কবিতার কথা। এটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কবিতার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, “গাহি সাম্যের গান-যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান। সৈয়দ হকের কবিতায় এসেছে দেশের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য। শুরুতে হাজার বছরের ইতিহাস স্পর্শ করেছেন, তারপর নদীবেষ্টিত জন্মভূমি, মাতৃভাষার কথা বলেছেন। প্রথম স্তবকের শেষে প্রশ্ন করেছেন “তেরোশত নদী শুধায় আমাকে, ‘কোথা থেকে তুমি এলে?”।
কবি জবাব দিয়েছেন নিজেই। প্রজন্মপরম্পরা, শাসকপরম্পরা, ধর্মপরম্পরা, বিপ্লবপরম্পরার কথা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামেরও উত্তরাধিকার সূত্র উল্লেখ করেছেন। ইতিহাস-ঐতিহ্যের বর্ণনায় শেষ পৌঁছেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে। কবি বাঙালির স্বপ্ন এবং লড়াকু চরিত্রের দিকটি উন্মোচন করেছেন। ব্যক্ত করেছেন আশাবাদ এইভাবে, ‘একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই/সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।’ পরের অংশে বলেছেন ‘এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?’
আজকের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান’ লাইনটি। আসলেই আমরা ইতিহাস ভুলে যাই, ভুলে গেছি। আবার কোথাও কোথাও ইতিহাস মুছে ফেলে বর্তমান নিয়ে মশগুল থেকেছি। তাতে আমাদের অনেক মাশুল দিতে হয়েছে হবে। রাজনীতিবিদরা কুতর্কে কাটিয়েছে বছরের পর বছর। স্মরণ করেনি ইতিহাসের সন্তানদের। তাদের কীর্তি পৌঁছে দেয়নি প্রজন্মের কাছে, যা জাতির জন্য লজ্জার বিষয়।
আমরাও যদি ইতিহাস ভুলে যাই, তাহলে আগামী অন্ধকার। ইতিহাস ভুলে যাওয়াকেই ফ্যাসিজম বলে। ত্যাগের ইতিহাস ভুলে গেছে বলে শেখ হাসিনা পরিচিতি পেয়েছে ফ্যাসিস্ট হিসেবে। অথচ স্বৈরাচার এরশাদকে বিদায় দিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল; আশা দেখিয়েছে সোনার বাংলা গড়ার। এরপরও আমরা দেখেছি, আমাদের শাসকশ্রেণি ধীরে ধীরে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে; ইচ্ছামতো পরিবর্তন করেছে সংবিধান; সরে এসেছে সঠিক ইতিহাস থেকেও; অনুসরণ করেছে বাহাত্তর-পরবর্তী শেখ মুজিব ও এরশাদকে।
ব্রিটিশ যুগের সংগ্রাম না বললেও লাহোর প্রস্তাব ও দেশভাগের পর আমাদের লড়াই ছিল নিরন্তুর। শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, আবুল মনসুর আহমদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমেদের সংগ্রাম আমাদের নির্মাণ করে দিয়েছেন আত্মপরিচয়। তাদের প্রেরণা ও সাহসের পথে বাংলার কৃষক লাঙল ফেলে, শ্রমিক কারখানার কাজ ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। জেলে, তাঁতি, কামার, কুমার সবাই সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রতিটি সংগ্রামে। সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয় জনযুদ্ধে। আমরা তাদের ভুলতে পারি না। রাজনৈতিকরা ভুলে গেছে কত সহজে।
কবি আবুল হাসান স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশ করেন ‘রাজা যায় রাজা আসে’ উৎসর্গপত্রে লেখা ছিল- ‘আমার মা/আমার মাতৃভূমির মতোই অসহায়।’ কাব্যগ্রন্থের নামকরণ, উৎসর্গ ও প্রকাশকাল এবং এসব বিবেচনা নিলে বলা যায়- এই কবি ইতিহাস সচেতনতা। ফলে আর্থরাজনৈতিক জীবনাভিজ্ঞতায় উচ্চারণ করেন- ‘এই রাজা আসে ওই রাজা যায়/জামা কাপড়ের রং বদলায়…/দিন বদলায় না!’
কত সহজে কঠিন বিষয় তুলে আনলেন। আমাদের সকল বিষাদ-বিপন্নতা আর নিমগ্নতার ছবি এঁকেছেন। কাগমারী সম্মেলন থেকেই মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানিয়েছিলেন। একটি সাধারণ ধর্মীয় সম্বোধন স্বাধীনতার সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ সম্মেলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন করতে এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এরপর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আহ্বান- ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, যার যা কিছু আছে, তা নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।’ ওই আহ্বানে অধিকাংশ মানুষ যুদ্ধের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধের জন্য যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয় তাতে অনেক সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। বলা যায় সাধারণ মানুষ সবকিছুই করেছে। সেই নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ কিন্তু পুরো সময়টাতেই যুদ্ধের জন্য কাজ করে গেছে। এরপর আমাদের বিজয় এসেছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, নির্লজ্জের মতো মুক্তিযুদ্ধে সাধারণের অবদান ও আকাক্সক্ষাকে এড়িয়ে গিয়েছি। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছি প্রত্যেক নাগরিককে। ফলে সামাজিক মুক্তি আসেনি আজও। এ প্রসঙ্গে কবি হেলাল হাফিজ লেখেন- ‘স্বাধীনতা সব খেলো, মানুষের দুঃখ খেলো না। আসলেই আমাদের ভাগ্য খুব বেশি বদল হয়নি। স্বাধীনতার ৫৫ বছরে রাজনৈতিকভাবেই সাধারণ মানুষকে প্রান্তিক করে ফেলাটা ক্ষমতাবানদের বড় কর্মে পরিণত হয়েছে; নষ্ট করে দিয়েছে মানুষের সামাজিক মর্যাদাও।
মানুষকে তোয়াক্কা না করে আইয়ুব খানও বলতেন, ‘প্রথমে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র’। আইয়ুব খান রাস্তাঘাট, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ অনেক উন্নয়ন করেছিলেন। কিন্তু উন্নয়ন তাঁকে রক্ষা করতে পারেনি। আইয়ুব খানের পতনকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের দুই অংশের মানুষ প্রথমবারের মতো একসঙ্গে আন্দোলনে নামে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি জাতিগত নিপীড়ন, বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লেগেই ছিল। এক সময় জনগণ সোচ্চার হয়।
‘বিপ্লবীর মৃত্যু হয়, বিপ্লবের মৃত্যু হয় না’- চে গুয়েভারার একটি চির স্মরণীয় বাণী। ফলে সেই একাত্তরে চেতনায় নব্বইয়ে নূর হোসেনও বলেছেন, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।’ সে গণ-আন্দোলনে সামরিক জান্তাকে পরাস্ত হয়েছে বটে কিন্তু দেশের রাজনীতিতে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব বদলায়নি।
প্রাত্থমিকভাবে সে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার প্রয়োগ, নিরাপত্তা- এ পাঁচটি বিষয়ের বিজয় নিশ্চিত হয়েছিল। আবার ফিরে দেখি এর একটিও আর অবশিষ্ট নেই। দেখা যায়, নব্বইয়ের আন্দোলনে যারা প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অনেকেই নীতি ও বিশ্বাস পরিবর্তন করেছেন।
ইতিহাস বলে, এমনি করে একাত্তরের পরও যদি দলীয় সরকার না হয়ে একটি জাতীয় সরকার হতো, তাহলে হয়তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূর্ণ করতে পারত। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে প্রতিনিয়ত জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পদদলিত হয়েছে।
বারবার একাত্তরে ব্যর্থ হচ্ছে। স্বৈরতান্ত্রিক যে বিধিবিধান, আইনকানুন সেগুলো দিয়ে মানুষকে ঘরে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য চূড়ান্ত হয়েছে বলে তারুণ্য জেগে উঠেছে। এবং বলছে- ‘বুকের ভিতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’। সেই দ্রোহে মানব মুক্তির আশায় বুলেট নিয়েছে বুকে। তারপর অর্জন করি বিজয়, কিন্তু বিজয়কে ধরে রাখতে কতটা ধরে রাখতে পারব? আমাদের ইতিহাস ত ভয়াবহ। আমাদের মাঝে ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেয়ার প্রবণতা প্রবল। মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ তা থেকে দূরে সরে যাই বারবার। অস্থিরতা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে সাহায্য করে না।
শেষ করব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটা কথা দিয়ে- চাইলেই কি আমরা একাত্তরকে ভুলে যেতে পারব? একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বর্তমানের মধ্যে প্রবহমান। আমাদের দুটো কাজ করতে হবে। অতীতে যে ভালো কাজগুলো ছিল, সেগুলো বিকশিত করতে হবে। অতীতে যে গণতান্ত্রিক উপাদান, ঐক্য, যে সংগ্রামী চেতনা ছিল, তার বিকাশ চাই। আর যে খারাপ দিকগুলো ছিল, সংকীর্ণতা ছিল, পশ্চাৎপদতা ছিল, সেগুলোকে পরিহার করে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করতেই হবে।
সর্বোপরি ফ্যাসিস্ট সরকার যা যা খারাপ করেছে, আমরা তা করব না। মানুষের বেদনার কারণ হবো না। জুলাই জাগরণে আমাদের মনে প্রাণে জেগে উঠতে হবে- দেশের জন্য সমাজের জন্য। কবির কন্ঠে বলি- আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে? তোমার ছেলে উঠলে গো মা রাত পোহাবে তবে!’
লেখক: কবি ও গবেষক
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ