ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মাউশি কর্মকর্তা গ্রেফতার

  • আপডেট সময় : ০২:০২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মাউশির এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতার চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, রোববার গভীর রাতে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে চন্দ্র শেখর হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৪ আসামিকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনের নাম জানা যায়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে ও মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করে চন্দ্র শেখর হালদারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবি জানায়, চলতি বছরের ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরি প্রার্থী সুমন জোয়াদ্দার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।
পরে সুমন জোয়াদ্দারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। সুমন ও সাইফুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ মে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে সেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন। মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মাউশি কর্মকর্তা গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০২:০২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মাউশির এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতার চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ৩১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, রোববার গভীর রাতে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে চন্দ্র শেখর হালদারকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ৪ আসামিকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনের নাম জানা যায়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে ও মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ করে চন্দ্র শেখর হালদারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবি জানায়, চলতি বছরের ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালে ইডেন কলেজ কেন্দ্র থেকে থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তরসহ চাকরি প্রার্থী সুমন জোয়াদ্দার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার প্রবেশপত্রের উল্টো পিঠে ৭০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর লেখা ছিল।
পরে সুমন জোয়াদ্দারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। সুমন ও সাইফুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ মে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে সেই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি মাউশি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টন ফাঁস করেছিলেন। তিনি ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে ছিলেন। মাউশি কার্যালয় থেকে প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তিনি প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাইফুলের কাছে পাঠিয়েছিলেন।