ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

‘প্রযুক্তির দুয়ারে তালা দেওয়া হলে যে কেউ খুলে ফেলতে পারে’

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) ব্যবহার সম্পর্কে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তির দুয়ারে কোনো তালা দেওয়া হলে সেই তালা যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ খুলে ফেলতে পারে।
গত সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিষয়টি খুব স্বাভাবিক যে যখন কোথাও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, তখন মানুষের প্রবণতাই থাকবে সেই প্রতিবন্ধকতা কীভাবে ডিঙ্গানো যায়। এটা খুব স্বাভাবিক যে প্রযুক্তির দুয়ারে কোনো তালা দেওয়া হলে সেই তালা যেকোনো মুহূর্তে যেকেউ খুলে ফেলতে পারে। ভিপিএন তো এমন না যে একজন-দুইজন মানুষ ব্যবহার করে। সারা দুনিয়াতে কোটি কোটি মানুষ এটা ব্যবহার করে। অতএব সেটার প্রভাব বাংলাদেশে আগেও ছিল এখনো আছে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাক্সেস সীমিত করা হয়েছে, যাতে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে না পারে এবং উসকে দেওয়ার মতো তথ্যের প্রচার রোধ করা যায়। তবে, এর ফলে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে। কারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও নিরাপদে যোগাযোগের বিকল্প উপায় খুঁজছেন।
ভিপিএনমেন্টরের গবেষক দল জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ভিপিএনের চাহিদা বিস্ময়করভাবে পাঁচ হাজার ১৬ শতাংশ বেড়েছে। ২২ জুলাই থেকে এর ব্যবহার শুরু হয়ে তিন দিন পর ২৫ জুলাই তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। ১২০ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার ২৩ জুলাই রাত ৯টার দিকে ‘অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাছাইকৃত এলাকায়’ ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়। এরপর ২৫ জুলাই থেকে ভিপিএনের ব্যবহার কমতে থাকে। তবে এখনো তা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আড়াই হাজার শতাংশ বেশি আছে।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

‘প্রযুক্তির দুয়ারে তালা দেওয়া হলে যে কেউ খুলে ফেলতে পারে’

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) ব্যবহার সম্পর্কে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রযুক্তির দুয়ারে কোনো তালা দেওয়া হলে সেই তালা যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ খুলে ফেলতে পারে।
গত সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিষয়টি খুব স্বাভাবিক যে যখন কোথাও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়, তখন মানুষের প্রবণতাই থাকবে সেই প্রতিবন্ধকতা কীভাবে ডিঙ্গানো যায়। এটা খুব স্বাভাবিক যে প্রযুক্তির দুয়ারে কোনো তালা দেওয়া হলে সেই তালা যেকোনো মুহূর্তে যেকেউ খুলে ফেলতে পারে। ভিপিএন তো এমন না যে একজন-দুইজন মানুষ ব্যবহার করে। সারা দুনিয়াতে কোটি কোটি মানুষ এটা ব্যবহার করে। অতএব সেটার প্রভাব বাংলাদেশে আগেও ছিল এখনো আছে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও নিউজ ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাক্সেস সীমিত করা হয়েছে, যাতে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে না পারে এবং উসকে দেওয়ার মতো তথ্যের প্রচার রোধ করা যায়। তবে, এর ফলে ভিপিএনের ব্যবহার বেড়েছে। কারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও নিরাপদে যোগাযোগের বিকল্প উপায় খুঁজছেন।
ভিপিএনমেন্টরের গবেষক দল জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ভিপিএনের চাহিদা বিস্ময়করভাবে পাঁচ হাজার ১৬ শতাংশ বেড়েছে। ২২ জুলাই থেকে এর ব্যবহার শুরু হয়ে তিন দিন পর ২৫ জুলাই তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। ১২০ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার ২৩ জুলাই রাত ৯টার দিকে ‘অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাছাইকৃত এলাকায়’ ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়। এরপর ২৫ জুলাই থেকে ভিপিএনের ব্যবহার কমতে থাকে। তবে এখনো তা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আড়াই হাজার শতাংশ বেশি আছে।