ঢাকা ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি স্লিপ অব টাং: রিজভী

  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদ জনসভায় প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার যে হুমকি দিয়েছেন, সেটা ‘স্লিপ অব টাং’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে রিজভী আহমেদ এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়কের একটি ‘স্লিপ অব টাং’ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে নিয়ে মিছিল করেছেন বাঁশখালী আসনের বিনা ভোটের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সে ছবি সবাই পত্রিকায় দেখেছেন। তা নিয়ে কোনো কথা তারা বলেননি। সেই এমপি প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হতে চললেও পুলিশ এখনো সেই এমপি মুস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করেনি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পর্যন্ত হয়নি। এটি একটি ভয়ংকর আলামত। নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন নেতাদের হাতে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি।
রিজভী আরও বলেন, রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে না পেয়ে তার ছোট ভাই মুক্তা, বড় মেয়ের জামাই জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিয়া, তার ব্যক্তিগত সহকারী জালালের স্ত্রী, শাশুড়ি ও ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোট ৩০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য নুরুউদ্দিন আবিরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। সে এখন রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মানববন্ধন করে প্রস্তাব দিয়েছেন, নির্বাচন না করে বর্তমান সংসদ ও আওয়ামী সরকারের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, তার ওই প্রস্তাবের পক্ষে সরকার দলের নেতারা সমর্থন দিয়েছেন। এতে বুঝা যাচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি শেখ হাসিনা এবং তার দলের অনীহা। তারা জানেন, নির্বাচন হলে তারা পাশ করবেন না। তাই, তাদের লোকজনের মুখ দিয়ে এসব কথা বলাচ্ছেন।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি স্লিপ অব টাং: রিজভী

আপডেট সময় : ১২:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদ জনসভায় প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার যে হুমকি দিয়েছেন, সেটা ‘স্লিপ অব টাং’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে রিজভী আহমেদ এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়কের একটি ‘স্লিপ অব টাং’ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে নিয়ে মিছিল করেছেন বাঁশখালী আসনের বিনা ভোটের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সে ছবি সবাই পত্রিকায় দেখেছেন। তা নিয়ে কোনো কথা তারা বলেননি। সেই এমপি প্রকাশ্যে পিস্তল হাতে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হতে চললেও পুলিশ এখনো সেই এমপি মুস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করেনি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পর্যন্ত হয়নি। এটি একটি ভয়ংকর আলামত। নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন নেতাদের হাতে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি।
রিজভী আরও বলেন, রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে না পেয়ে তার ছোট ভাই মুক্তা, বড় মেয়ের জামাই জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জিয়া, তার ব্যক্তিগত সহকারী জালালের স্ত্রী, শাশুড়ি ও ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোট ৩০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য নুরুউদ্দিন আবিরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। সে এখন রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মানববন্ধন করে প্রস্তাব দিয়েছেন, নির্বাচন না করে বর্তমান সংসদ ও আওয়ামী সরকারের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য। হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, তার ওই প্রস্তাবের পক্ষে সরকার দলের নেতারা সমর্থন দিয়েছেন। এতে বুঝা যাচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি শেখ হাসিনা এবং তার দলের অনীহা। তারা জানেন, নির্বাচন হলে তারা পাশ করবেন না। তাই, তাদের লোকজনের মুখ দিয়ে এসব কথা বলাচ্ছেন।