ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকৃত বন্ধু সবকিছুতে নিজের কথা ভাবে না

  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘সত্যিকারের বন্ধু’ নাকি ‘বন্ধুরূপে শত্রু’Ñ এ দুইয়ের পার্থক্য করাটা বেশ কঠিন। সামনের মানুষটির মনে কী চলছে, তা বোঝা না গেলেও আচরণ তার মনের ভাবকে অনেকটাই জানান দেয়। তবে বেশির ভাগ সময় আমরা দেখে-শুনেও সেসব আচরণ এড়িয়ে যাই এবং পরে আফসোস করি। আপনার ভালো কোনো কিছু বা কাজে যে সমর্থন করে না, সে আপনার প্রকৃত বন্ধু না। এর অর্থ, সে চায় না আপনার জীবনমান উন্নত হোক। তাই জানতে হবে এমন কয়েকটি আচরণÑ যা দেখে কাছের বন্ধুকে অন্তত একটু সচেতন করা যায়। তা হলোÑ
স্বার্থপর: খেয়াল করে দেখুন, আপনার তথাকথিত বন্ধুটি সবকিছুতে শুধু নিজের কথাই ভাবছে কি না। সে যদি আপনার কোনো কথাকেই গুরুত্ব না দেয়, তাহলে বুঝে নেবেন, সে আপনার বন্ধু না।
ঘন ঘন নাটকীয়তা: যার সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করা কঠিন, সে আপনার প্রকৃত বন্ধু না। লক্ষ্য করে দেখুন, সারাক্ষণ সময় দিতে হবে, তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবেÑ এসব নিয়ে সব সময় আপনাকে দোষারোপ করছে কিনা। প্রিয় বন্ধুটির সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করা যদি ভারী কোনো বোঝা বহনের মতো অনুভূত হয়, তাহলে বুঝতে হবে, সে আপনার বন্ধু না।
প্যাঁচানো প্রশংসা: মজার ছলে সে আপনাকে অপমান করবে। আপনাকে আপনার নিজের সম্পর্কেই খারাপ ধারণা দেবে। আপনার কোনো জয় বা আনন্দের মুহূর্তে এমনভাবে প্যাঁচিয়ে প্রশংসা করবে যে আপনি বুঝে উঠতে পারবেন না সেটি প্রশংসা ছিল, নাকি সমালোচনা।
পরনিন্দুক: পরনিন্দা-পরচর্চাকারীরা কখনোই ঠিকঠাক কারো বন্ধু হতে পারে না। সে আপনার সামনে যার নামে নিন্দা করছে, তার কাছে গিয়ে সে আপনার নামেও নিন্দা করবে।
অলস: বন্ধুত্বের খাতিরে সে কিছুই করে না। অথচ সে চায় আপনি একাই বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখবেন। আপনার ব্যাপারে উদাসীন মানুষটি আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়। সে কখনোই নিজের ইচ্ছায় যোগাযোগ করে না। বন্ধুত্ব রক্ষার জন্য সব সময় যদি আপনাকেই তার কাছে যেতে হয়, তাহলে সহজ হিসাব বলছেÑ আপনি তাকে বন্ধু ভাবলেও সে আপনাকে বন্ধু ভাবে না।
হিংসা: আপনার বিজয়ে সে খুশি হয় না; উল্টো ক্ষুব্ধ হয়, প্রতিযোগিতামূলক আচরণ করে। নিজের প্রাপ্তিগুলোকে আপনার সামনে তুলে ধরে আপনাকে ছোট করতে চেষ্টা করে। এমন আচরণ করলে বুঝে নেবেন, আপনার বন্ধুটি আপনাকে হিংসা করছে। সে কখনোই আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়।
সব সময় দুঃখের কথা বলা: সুখ-দুঃখ মিলিয়েই জীবন। তবে কেউ যদি আপনার সঙ্গে শুধু দুঃখের কথা বলতে থাকে, সুখের কথা এড়িয়ে যায়; তাহলে সে আপনার বন্ধু নয়।
আপনাকে বিচার করে: আপনি যেমন, আপনার প্রকৃত বন্ধু আপনাকে ঠিক তেমনভাবেই গ্রহণ করবে। আপনার খারাপ দিকগুলো সুন্দরভাবে সবার অগোচরে ধরিয়ে দেবে, সেগুলো শুধরে নিতে সাহায্য করবে। তা না করে সে যদি আপনাকে বিচার করে, সবার সামনে অপমান করে; তাহলে নিজেই ভাবুন তো সে আপনার বন্ধু কি না! সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পছন্দ না হলেও বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে অসম্মান নয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বদলায় সম্পর্কের রঙ, মনের চাহিদা। একটা বয়স পর্যন্ত পরিবারই থাকে সবচেয়ে আপন। এরপর আসে বন্ধুরা। জীবনে বিশেষ কেউ আসার আগপর্যন্ত বন্ধুই যেন সবচেয়ে কাছের মানুষ। জীবনসঙ্গীর আবির্ভাবে যে বন্ধুত্ব সব ক্ষেত্রে হারিয়ে যায়, তা নয়। সঙ্গীসহ বন্ধুদের আড্ডাও তো চলে। তবে কাছের বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে যদি আপনার ভালো না লাগে, তাহলে বেশ মুশকিলেই পড়বেন। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন।
অনেক কারণেই বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে আপনি অপছন্দ করে বসতে পারেন। খুব সাধারণ একটি কারণ হতে পারে বঞ্চনার অনুভব। অর্থাৎ যদি আপনার মনে হয়, বন্ধুর জীবনে একজন জীবনসঙ্গী আসার কারণে আপনার বন্ধু আর আগের মতো করে আপনাকে সময় দিচ্ছেন না। তার জীবনসঙ্গীটি একজন নিপাট ভালো মানুষ হলেও এই একটি কারণে আপনার তাকে অপছন্দ হতে পারে।
আবার ধরুন, বন্ধুর জীবনসঙ্গী আপনার সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করলেন; যা আপনার ভালো লাগল না। বিষয়টা তেমন গুরুতর না হলেও আপনার মন থেকে সম্মানবোধ হারিয়ে যেতে পারে। গুরুতর হলে তো কথাই নেই। কিংবা এমনও হতে পারে, আপনার বন্ধু প্রেমে অন্ধ হয়ে তার সঙ্গীর এমন কোনো দোষ দেখতেই পাচ্ছেন না; যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও পরবর্তী সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি ঠিকই তা অনুভব করতে পারছেন।
ঠান্ডা মাথায় কারণটা খুঁজে বের করার পর কারণ অনুযায়ী বেছে নিন আপনার করণীয়। সাদামাটা কারণ হলে নিজেকে বোঝান। তবে গুরুতর কোনো কারণ খুঁজে পেলে ওই ব্যক্তিকে বুঝতে আরও একটু সময় নিন। ক্ষতিকর চরিত্র বলে মনে হলে তা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে আলাদাভাবে আলাপ করুন। এমনটা হতেই পারে যে, আপনার বন্ধু আপনার কথায় গুরুত্ব দিলেন না। উল্টো আপনার ওপর রাগ করলেন।
বন্ধু নিজের সঙ্গীর বিষয়ে আপনার বলা নেতিবাচক বিষয়টি গ্রহণ করতে না-ই চাইতে পারে। তার আচরণটিকেও সম্মান করুন। জোরাজুরি করে তাকে এটা মানাতে বাধ্য করবেন না যে, তার জীবনসঙ্গী খারাপ মানুষ। বুঝিয়ে বলুন আপনার মনের কথা। আপনার কথায় যেন এটাই প্রকাশ পায় যে, আপনি যা বলছেন; তা কেবল আপনার বন্ধুর ভালোর জন্যই। বন্ধু যতক্ষণ ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে আছেন, অবশ্যই তার সঙ্গে সৌজন্য বজায় রাখুন। তিনি যা-ই করুন না কেন, সম্মানসূচক আচরণ করুন। তবে গুরুতর কোনো কারণে তাকে একেবারেই সহ্য করতে না পারলে এমন কোনো সময় বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন, যখন বন্ধুর সঙ্গে তার জীবনসঙ্গী থাকে না। কালেভদ্রে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।
বন্ধুর জীবনসঙ্গী উপস্থিত থাকুন বা না থাকুন, সরাসরি তার সমালোচনা করবেন না। দোষারোপ করে কিছু বলবেন না। অসম্মানসূচক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। বরং তার যে বৈশিষ্ট্য আপনি পছন্দ করতে পারছেন না, তা নিয়ে সহজভাবে কথা বলুন বন্ধুর সঙ্গে। আর তা ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে না বলাই ভালো।
বন্ধুর জীবনসঙ্গীর কারণে আপনি অসম্মানিত বোধ করেছেন, এমনভাবে বন্ধুর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করবেন না। অপছন্দ হলেও ওই ব্যক্তিকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে চাচ্ছেন, এমনটা যেন প্রকাশ না পায়। যেমন ধরুন, বন্ধু বারবার তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করছেন আর আপনি প্রতিবারই কোনো না কোনো অজুহাতে তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনটা করা যাবে না।
বন্ধুকে এমন কোনো শর্ত দিয়ে বসবেন ন; যাতে তিনি উভয় সংকটে পড়েন। জীবনসঙ্গী অথবা বন্ধুত্বÑ এই দুয়ের মধ্যে যে কোনো একটিকে বেছে নিতে হবে, এমন পরিস্থিতিতে কাউকে না ফেলাই ভালো। সূত্র: ভেরিওয়েলমাইন্ড, ভক্স।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

প্রকৃত বন্ধু সবকিছুতে নিজের কথা ভাবে না

আপডেট সময় : ০৪:৩২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘সত্যিকারের বন্ধু’ নাকি ‘বন্ধুরূপে শত্রু’Ñ এ দুইয়ের পার্থক্য করাটা বেশ কঠিন। সামনের মানুষটির মনে কী চলছে, তা বোঝা না গেলেও আচরণ তার মনের ভাবকে অনেকটাই জানান দেয়। তবে বেশির ভাগ সময় আমরা দেখে-শুনেও সেসব আচরণ এড়িয়ে যাই এবং পরে আফসোস করি। আপনার ভালো কোনো কিছু বা কাজে যে সমর্থন করে না, সে আপনার প্রকৃত বন্ধু না। এর অর্থ, সে চায় না আপনার জীবনমান উন্নত হোক। তাই জানতে হবে এমন কয়েকটি আচরণÑ যা দেখে কাছের বন্ধুকে অন্তত একটু সচেতন করা যায়। তা হলোÑ
স্বার্থপর: খেয়াল করে দেখুন, আপনার তথাকথিত বন্ধুটি সবকিছুতে শুধু নিজের কথাই ভাবছে কি না। সে যদি আপনার কোনো কথাকেই গুরুত্ব না দেয়, তাহলে বুঝে নেবেন, সে আপনার বন্ধু না।
ঘন ঘন নাটকীয়তা: যার সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করা কঠিন, সে আপনার প্রকৃত বন্ধু না। লক্ষ্য করে দেখুন, সারাক্ষণ সময় দিতে হবে, তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবেÑ এসব নিয়ে সব সময় আপনাকে দোষারোপ করছে কিনা। প্রিয় বন্ধুটির সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করা যদি ভারী কোনো বোঝা বহনের মতো অনুভূত হয়, তাহলে বুঝতে হবে, সে আপনার বন্ধু না।
প্যাঁচানো প্রশংসা: মজার ছলে সে আপনাকে অপমান করবে। আপনাকে আপনার নিজের সম্পর্কেই খারাপ ধারণা দেবে। আপনার কোনো জয় বা আনন্দের মুহূর্তে এমনভাবে প্যাঁচিয়ে প্রশংসা করবে যে আপনি বুঝে উঠতে পারবেন না সেটি প্রশংসা ছিল, নাকি সমালোচনা।
পরনিন্দুক: পরনিন্দা-পরচর্চাকারীরা কখনোই ঠিকঠাক কারো বন্ধু হতে পারে না। সে আপনার সামনে যার নামে নিন্দা করছে, তার কাছে গিয়ে সে আপনার নামেও নিন্দা করবে।
অলস: বন্ধুত্বের খাতিরে সে কিছুই করে না। অথচ সে চায় আপনি একাই বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখবেন। আপনার ব্যাপারে উদাসীন মানুষটি আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়। সে কখনোই নিজের ইচ্ছায় যোগাযোগ করে না। বন্ধুত্ব রক্ষার জন্য সব সময় যদি আপনাকেই তার কাছে যেতে হয়, তাহলে সহজ হিসাব বলছেÑ আপনি তাকে বন্ধু ভাবলেও সে আপনাকে বন্ধু ভাবে না।
হিংসা: আপনার বিজয়ে সে খুশি হয় না; উল্টো ক্ষুব্ধ হয়, প্রতিযোগিতামূলক আচরণ করে। নিজের প্রাপ্তিগুলোকে আপনার সামনে তুলে ধরে আপনাকে ছোট করতে চেষ্টা করে। এমন আচরণ করলে বুঝে নেবেন, আপনার বন্ধুটি আপনাকে হিংসা করছে। সে কখনোই আপনার প্রকৃত বন্ধু নয়।
সব সময় দুঃখের কথা বলা: সুখ-দুঃখ মিলিয়েই জীবন। তবে কেউ যদি আপনার সঙ্গে শুধু দুঃখের কথা বলতে থাকে, সুখের কথা এড়িয়ে যায়; তাহলে সে আপনার বন্ধু নয়।
আপনাকে বিচার করে: আপনি যেমন, আপনার প্রকৃত বন্ধু আপনাকে ঠিক তেমনভাবেই গ্রহণ করবে। আপনার খারাপ দিকগুলো সুন্দরভাবে সবার অগোচরে ধরিয়ে দেবে, সেগুলো শুধরে নিতে সাহায্য করবে। তা না করে সে যদি আপনাকে বিচার করে, সবার সামনে অপমান করে; তাহলে নিজেই ভাবুন তো সে আপনার বন্ধু কি না! সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পছন্দ না হলেও বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে অসম্মান নয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে বদলায় সম্পর্কের রঙ, মনের চাহিদা। একটা বয়স পর্যন্ত পরিবারই থাকে সবচেয়ে আপন। এরপর আসে বন্ধুরা। জীবনে বিশেষ কেউ আসার আগপর্যন্ত বন্ধুই যেন সবচেয়ে কাছের মানুষ। জীবনসঙ্গীর আবির্ভাবে যে বন্ধুত্ব সব ক্ষেত্রে হারিয়ে যায়, তা নয়। সঙ্গীসহ বন্ধুদের আড্ডাও তো চলে। তবে কাছের বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে যদি আপনার ভালো না লাগে, তাহলে বেশ মুশকিলেই পড়বেন। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন।
অনেক কারণেই বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে আপনি অপছন্দ করে বসতে পারেন। খুব সাধারণ একটি কারণ হতে পারে বঞ্চনার অনুভব। অর্থাৎ যদি আপনার মনে হয়, বন্ধুর জীবনে একজন জীবনসঙ্গী আসার কারণে আপনার বন্ধু আর আগের মতো করে আপনাকে সময় দিচ্ছেন না। তার জীবনসঙ্গীটি একজন নিপাট ভালো মানুষ হলেও এই একটি কারণে আপনার তাকে অপছন্দ হতে পারে।
আবার ধরুন, বন্ধুর জীবনসঙ্গী আপনার সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করলেন; যা আপনার ভালো লাগল না। বিষয়টা তেমন গুরুতর না হলেও আপনার মন থেকে সম্মানবোধ হারিয়ে যেতে পারে। গুরুতর হলে তো কথাই নেই। কিংবা এমনও হতে পারে, আপনার বন্ধু প্রেমে অন্ধ হয়ে তার সঙ্গীর এমন কোনো দোষ দেখতেই পাচ্ছেন না; যা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও পরবর্তী সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি ঠিকই তা অনুভব করতে পারছেন।
ঠান্ডা মাথায় কারণটা খুঁজে বের করার পর কারণ অনুযায়ী বেছে নিন আপনার করণীয়। সাদামাটা কারণ হলে নিজেকে বোঝান। তবে গুরুতর কোনো কারণ খুঁজে পেলে ওই ব্যক্তিকে বুঝতে আরও একটু সময় নিন। ক্ষতিকর চরিত্র বলে মনে হলে তা নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে আলাদাভাবে আলাপ করুন। এমনটা হতেই পারে যে, আপনার বন্ধু আপনার কথায় গুরুত্ব দিলেন না। উল্টো আপনার ওপর রাগ করলেন।
বন্ধু নিজের সঙ্গীর বিষয়ে আপনার বলা নেতিবাচক বিষয়টি গ্রহণ করতে না-ই চাইতে পারে। তার আচরণটিকেও সম্মান করুন। জোরাজুরি করে তাকে এটা মানাতে বাধ্য করবেন না যে, তার জীবনসঙ্গী খারাপ মানুষ। বুঝিয়ে বলুন আপনার মনের কথা। আপনার কথায় যেন এটাই প্রকাশ পায় যে, আপনি যা বলছেন; তা কেবল আপনার বন্ধুর ভালোর জন্যই। বন্ধু যতক্ষণ ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে আছেন, অবশ্যই তার সঙ্গে সৌজন্য বজায় রাখুন। তিনি যা-ই করুন না কেন, সম্মানসূচক আচরণ করুন। তবে গুরুতর কোনো কারণে তাকে একেবারেই সহ্য করতে না পারলে এমন কোনো সময় বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিতে পারেন, যখন বন্ধুর সঙ্গে তার জীবনসঙ্গী থাকে না। কালেভদ্রে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হলেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না।
বন্ধুর জীবনসঙ্গী উপস্থিত থাকুন বা না থাকুন, সরাসরি তার সমালোচনা করবেন না। দোষারোপ করে কিছু বলবেন না। অসম্মানসূচক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। বরং তার যে বৈশিষ্ট্য আপনি পছন্দ করতে পারছেন না, তা নিয়ে সহজভাবে কথা বলুন বন্ধুর সঙ্গে। আর তা ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে না বলাই ভালো।
বন্ধুর জীবনসঙ্গীর কারণে আপনি অসম্মানিত বোধ করেছেন, এমনভাবে বন্ধুর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করবেন না। অপছন্দ হলেও ওই ব্যক্তিকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে চাচ্ছেন, এমনটা যেন প্রকাশ না পায়। যেমন ধরুন, বন্ধু বারবার তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ করছেন আর আপনি প্রতিবারই কোনো না কোনো অজুহাতে তা এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনটা করা যাবে না।
বন্ধুকে এমন কোনো শর্ত দিয়ে বসবেন ন; যাতে তিনি উভয় সংকটে পড়েন। জীবনসঙ্গী অথবা বন্ধুত্বÑ এই দুয়ের মধ্যে যে কোনো একটিকে বেছে নিতে হবে, এমন পরিস্থিতিতে কাউকে না ফেলাই ভালো। সূত্র: ভেরিওয়েলমাইন্ড, ভক্স।