ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলায় মানিকগঞ্জে আহত অর্ধশতাধিক

  • আপডেট সময় : ০১:১২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উচুটিয়া এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের ধাওয়া-হামলায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকও। আহতরা মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও মুন্নু মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন ফার্মেসিতে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। জানা যায়,বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সোয়া ১০ টার দিকে খণ্ডে খণ্ডে জমায়েত হতে থাকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এর ঠিক বিপরীত পাশেই অবস্থান নেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। ভাষা শহীদ রফিক চত্বরের পাদদেশে মাঝামাঝিতে ছিল পুলিশের অবস্থান। কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে খালপাড় ব্রিজ অতিক্রম করার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর রাম দা, চাপাতি, লোহার পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেই সংবাদ কাভারেজ করার সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি আসিফ খান মনিরকে মারধর করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল রাজ্জাক রাজা। শুধু তা-ই নয়, মোবাইল-মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরাও হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এসময় নীরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ। যদিও মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তা না মানায় ছোড়া হয় টিয়ারগ্যাস। আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, সকালের দিকে আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, এতে করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী গুরুত্ব আহত হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আবার অনেকে প্রাণের ভয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আমাদের ওপর বর্বর হামলার পরপরই মহাসড়কে অবস্থান নেই আমরা, পরে সেখানে টিয়ারগ্যাস ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোঃ বাহারউদ্দিন বলেন, আমার হাসপাতালে দুপুর পর্যন্ত ১৩ জনের মতো শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সেবা নিয়েছে, এদের মধ্যে এক জন ভর্তিও হয়েছে এবং বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুজন সরকার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে শিক্ষার্থীদেরকে মহাসড়ক এলাকা ছাড়তে অনুরোধ করা হয়, তারা সরে না আসায় টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ

পুলিশ-ছাত্রলীগের হামলায় মানিকগঞ্জে আহত অর্ধশতাধিক

আপডেট সময় : ০১:১২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

মানিকগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উচুটিয়া এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের ধাওয়া-হামলায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকও। আহতরা মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও মুন্নু মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন ফার্মেসিতে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। জানা যায়,বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল সোয়া ১০ টার দিকে খণ্ডে খণ্ডে জমায়েত হতে থাকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এর ঠিক বিপরীত পাশেই অবস্থান নেয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। ভাষা শহীদ রফিক চত্বরের পাদদেশে মাঝামাঝিতে ছিল পুলিশের অবস্থান। কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে খালপাড় ব্রিজ অতিক্রম করার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর রাম দা, চাপাতি, লোহার পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেই সংবাদ কাভারেজ করার সময় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি আসিফ খান মনিরকে মারধর করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল রাজ্জাক রাজা। শুধু তা-ই নয়, মোবাইল-মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরাও হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এসময় নীরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ। যদিও মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তা না মানায় ছোড়া হয় টিয়ারগ্যাস। আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, সকালের দিকে আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, এতে করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী গুরুত্ব আহত হয়েছে। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আবার অনেকে প্রাণের ভয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। আমাদের ওপর বর্বর হামলার পরপরই মহাসড়কে অবস্থান নেই আমরা, পরে সেখানে টিয়ারগ্যাস ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোঃ বাহারউদ্দিন বলেন, আমার হাসপাতালে দুপুর পর্যন্ত ১৩ জনের মতো শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সেবা নিয়েছে, এদের মধ্যে এক জন ভর্তিও হয়েছে এবং বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুজন সরকার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে শিক্ষার্থীদেরকে মহাসড়ক এলাকা ছাড়তে অনুরোধ করা হয়, তারা সরে না আসায় টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।