ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের ছোট লক্ষ্যেও অতি কষ্টে জয় অস্ট্রেলিয়ার

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক :লক্ষ্য ২০৪ রানের। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কাছে এই লক্ষ্য মামুলি ব্যাপারই হওয়ার কথা। তাও আবার নিজেদের মাঠে খেলা। লক্ষ্য তাড়ায় ২০ ওভারের আগেই ৩ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ০ রানেই ৩ উইকেট তুলে ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। অর্থাৎ ১৩৯ রানে ৬ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার।
টানা দুই বলে মার্নাস লাবুশেন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে গ্যালারিতে প্রাণ ফেরান হারিস রউফ। তখন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ২৫০০০ দর্শকের শোরগোল শুনে মনে হয়েছে সেখানে ৭৫০০০ হাজার দর্শকের উপস্থিতি।
দারুণ উত্তেজনাকর ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে অস্ট্রেলিয়াই। অ্যারন হার্ডি, শন অ্যাবট ও প্যাট কামিন্সের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে অসিরা। যদিও বল হাতে ছিল ৯৯টি। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার ম্যাথিউ শট (৪ বলে ১) ও জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগ্রাকে (১৪ বলে ১৬) হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর তৃতীয় উইকেটে জস ইংশিসের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি করে অসিদের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে স্টিভ স্মিথ। ৪৬ বলে ৪৪ রান করে হারিস রউফের বলে সাইম আইয়ুবের হাতে ক্যাচ হন স্মিথ। এরপর ৪২ বলে ৪৯ রান করে ইংলিস আউট হলে এলোমেলো হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় কোনো রান যোগ না করতেই আউট হন লাবুশেন ও ম্যাক্সওয়েল। হারিসের বলে আউট হওয়ার আগে লাবুশেন করেন ১৩ বলে ১৬ রান। পরের বলেই ম্যাক্সওয়েলকে তুলে নেন হারিস। এরপর অ্যারন হার্ডি ১০, শন অ্যাবট ১৩ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন। ১৮৫ রানে ৮ উইকেটের হারানোর পর মিচেল স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জেতান প্যাট কামিন্স। কামিন্স অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে। আর স্টার্ক খেলছিলেন ২ রানে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৫ বলে ১ রান করা ওপেনার সাইম আইয়ুবের উইকেট উপড়ে ফেলেন অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। দলীয় ২৪ রানে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে (২৬ বলে ১২) উইকেটরক্ষক জস ইংলিসের হাতের ক্যাচ বানান বাঁহাতি পেসার। খোলস ছেড়ে খেলার চেষ্টা করেন বাবর আজম। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি ডানহাতি পাক ব্যাটার। ৪৪ বলে ৩৭ রান করে স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ড হন তিনি। মেলবোর্নের কঠিন ট্র্যাকে লড়াই করেন রিজওয়ান। ফিফটির কাছাকাছি (৭১ বলে ৪৪) গিয়ে মার্নাস লাবুশেনের বলে পাকিস্তান অধিনায়ক ধরা পড়েন উইকেটরক্ষকের হাতে। পাকিস্তানের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের ২০০ ছোঁয়ার কৃতিত্ব দিতে হবে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে। স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৪ রান করেন শাহিন। শেষ দিকে দারুণ শটে ১ চার ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৪০ রান করেন নাসিম। প্যাট কামিন্সের বলে নাসিম শাহ স্টার্কের হাতে ক্যাচ হলে ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ১০ ওভার বল করে ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২টি করে উইকেট শিকার করেন প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা। পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ। ২ উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন

পাকিস্তানের ছোট লক্ষ্যেও অতি কষ্টে জয় অস্ট্রেলিয়ার

আপডেট সময় : ০৮:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক :লক্ষ্য ২০৪ রানের। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কাছে এই লক্ষ্য মামুলি ব্যাপারই হওয়ার কথা। তাও আবার নিজেদের মাঠে খেলা। লক্ষ্য তাড়ায় ২০ ওভারের আগেই ৩ উইকেটে ১৩৯ রান তুলে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ০ রানেই ৩ উইকেট তুলে ম্যাচ জমিয়ে তোলে পাকিস্তান। অর্থাৎ ১৩৯ রানে ৬ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার।
টানা দুই বলে মার্নাস লাবুশেন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে আউট করে গ্যালারিতে প্রাণ ফেরান হারিস রউফ। তখন মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ২৫০০০ দর্শকের শোরগোল শুনে মনে হয়েছে সেখানে ৭৫০০০ হাজার দর্শকের উপস্থিতি।
দারুণ উত্তেজনাকর ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে অস্ট্রেলিয়াই। অ্যারন হার্ডি, শন অ্যাবট ও প্যাট কামিন্সের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে অসিরা। যদিও বল হাতে ছিল ৯৯টি। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২৮ রানে দুই ওপেনার ম্যাথিউ শট (৪ বলে ১) ও জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগ্রাকে (১৪ বলে ১৬) হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর তৃতীয় উইকেটে জস ইংশিসের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি করে অসিদের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে স্টিভ স্মিথ। ৪৬ বলে ৪৪ রান করে হারিস রউফের বলে সাইম আইয়ুবের হাতে ক্যাচ হন স্মিথ। এরপর ৪২ বলে ৪৯ রান করে ইংলিস আউট হলে এলোমেলো হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় কোনো রান যোগ না করতেই আউট হন লাবুশেন ও ম্যাক্সওয়েল। হারিসের বলে আউট হওয়ার আগে লাবুশেন করেন ১৩ বলে ১৬ রান। পরের বলেই ম্যাক্সওয়েলকে তুলে নেন হারিস। এরপর অ্যারন হার্ডি ১০, শন অ্যাবট ১৩ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দেন। ১৮৫ রানে ৮ উইকেটের হারানোর পর মিচেল স্টার্ককে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জেতান প্যাট কামিন্স। কামিন্স অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে। আর স্টার্ক খেলছিলেন ২ রানে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৫ বলে ১ রান করা ওপেনার সাইম আইয়ুবের উইকেট উপড়ে ফেলেন অসি পেসার মিচেল স্টার্ক। দলীয় ২৪ রানে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে (২৬ বলে ১২) উইকেটরক্ষক জস ইংলিসের হাতের ক্যাচ বানান বাঁহাতি পেসার। খোলস ছেড়ে খেলার চেষ্টা করেন বাবর আজম। তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি ডানহাতি পাক ব্যাটার। ৪৪ বলে ৩৭ রান করে স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ড হন তিনি। মেলবোর্নের কঠিন ট্র্যাকে লড়াই করেন রিজওয়ান। ফিফটির কাছাকাছি (৭১ বলে ৪৪) গিয়ে মার্নাস লাবুশেনের বলে পাকিস্তান অধিনায়ক ধরা পড়েন উইকেটরক্ষকের হাতে। পাকিস্তানের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন রিজওয়ান। পাকিস্তানের ২০০ ছোঁয়ার কৃতিত্ব দিতে হবে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহকে। স্টার্কের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৯ বলে ২৪ রান করেন শাহিন। শেষ দিকে দারুণ শটে ১ চার ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৪০ রান করেন নাসিম। প্যাট কামিন্সের বলে নাসিম শাহ স্টার্কের হাতে ক্যাচ হলে ৪৬.৪ ওভারে ২০৩ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস। ১০ ওভার বল করে ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২টি করে উইকেট শিকার করেন প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা। পাকিস্তানের হয়ে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ। ২ উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।