ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ অচল, উত্তাল ক্যাম্পাস

  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র দ্বিতীয় দিনে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আন্দোলনকারীদের শ্লোগানে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। এ সময় তাদের মুখে ‘এক দুই তিন চার, প্রিন্সিপাল স্বৈরাচার’, ‘এক দুই তিন চার, প্রশাসন স্বৈরাচার’, ‘পাশ ফেলের ভয় দেখিয়ে, কয়দিন রাখবি চুপ করিয়ে’, ‘নোমেকের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার’ প্রভৃতি স্লোগান শোনা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, অধ্যক্ষের কক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। কমপ্লিট শাটডাউনে অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ। অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গত রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচিসহ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা। কালক্ষেপণ হলেও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে কার্যত অচল অবস্থা বিরাজ করছে মেডিকেল কলেজটিতে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আনাস বিন ইকবাল বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা পদত্যাগ না করে আমাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমরা চাই সম্মানের সঙ্গে তারা পদত্যাগ করে চলে যাক। এই ক্যাম্পাসে তাদের ঠাঁই হবে না। কেফায়েত উল্যাহ নামে আরেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, কতটা নির্লজ্জ হলে তারা এখনো পদত্যাগ না করে বসে থাকেন। বিপরীতে আমাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করছেন। আমাদের এখানে রাজনৈতিক পরিচয় নেই। সবাই আমরা সাধারণ ছাত্র। লুৎফর রহমান আরাফাত নামে আরেক আন্দোলনকারী বলেন,আমাদের একটাই দাবি, খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তাই আমাদের দাবি মেনে নিলে সব সহজ হবে। নইলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। তাদের পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ফেরত যাব না। এদিকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে আমার কী দোষ তা আমি জানি না। একমাত্র তারাই বলতে পারবেন। তবে আমার কাছে আমার ছাত্ররা সবসময় সমান অধিকার পেয়ে এসেছেন। আমি সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ অচল, উত্তাল ক্যাম্পাস

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র দ্বিতীয় দিনে ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আন্দোলনকারীদের শ্লোগানে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। এ সময় তাদের মুখে ‘এক দুই তিন চার, প্রিন্সিপাল স্বৈরাচার’, ‘এক দুই তিন চার, প্রশাসন স্বৈরাচার’, ‘পাশ ফেলের ভয় দেখিয়ে, কয়দিন রাখবি চুপ করিয়ে’, ‘নোমেকের সংস্কার, এই মুহূর্তে দরকার’ প্রভৃতি স্লোগান শোনা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, অধ্যক্ষের কক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। কমপ্লিট শাটডাউনে অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ। অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গত রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচিসহ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তারা। কালক্ষেপণ হলেও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে কার্যত অচল অবস্থা বিরাজ করছে মেডিকেল কলেজটিতে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আনাস বিন ইকবাল বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা পদত্যাগ না করে আমাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আমরা চাই সম্মানের সঙ্গে তারা পদত্যাগ করে চলে যাক। এই ক্যাম্পাসে তাদের ঠাঁই হবে না। কেফায়েত উল্যাহ নামে আরেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, কতটা নির্লজ্জ হলে তারা এখনো পদত্যাগ না করে বসে থাকেন। বিপরীতে আমাদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করছেন। আমাদের এখানে রাজনৈতিক পরিচয় নেই। সবাই আমরা সাধারণ ছাত্র। লুৎফর রহমান আরাফাত নামে আরেক আন্দোলনকারী বলেন,আমাদের একটাই দাবি, খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তাই আমাদের দাবি মেনে নিলে সব সহজ হবে। নইলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। তাদের পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ফেরত যাব না। এদিকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে আমার কী দোষ তা আমি জানি না। একমাত্র তারাই বলতে পারবেন। তবে আমার কাছে আমার ছাত্ররা সবসময় সমান অধিকার পেয়ে এসেছেন। আমি সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম।