ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নোয়াখালীতে নতুন গ্যাসকূপে তিনটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে নতুন গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ-৪ নামের এ কূপের তিনটি স্তরে মিলিছে গ্যাসের সন্ধান। এই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করতে পারবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। জানা গেছে, সোনাইমুড়ীর ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে খননের কাজ শুরু হয়। সোমবার দিনে খনন কাজ শেষ হওয়ার পর ডিএসটি টেস্ট শেষে রাত ৮টা থেকে চলছে সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। উৎপাদন টেস্ট শেষে এখানে গ্যাসের পরিমাণ জানা যাবে। বাপেক্স জানায়, কূপটি ৩ হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৯২১ থেকে ১ হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, ২ হাজার ৫৪৮মিটার থেকে ২ হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় এবং ৩ হাজার ৮১ মিটার থেকে ৩ হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘শুরুতে এ কূপটি থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে আরও ভালো কিছু আশা করা যাবে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত আছে প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী।’ এর আগে ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হলে সেখান থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে এখানেই বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ-৬ কূপ খনন করা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গুমের তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি কমিশনের

নোয়াখালীতে নতুন গ্যাসকূপে তিনটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান

আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াছেকপুর গ্রামে নতুন গ্যাসকূপ খনন করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ-৪ নামের এ কূপের তিনটি স্তরে মিলিছে গ্যাসের সন্ধান। এই কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করতে পারবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। জানা গেছে, সোনাইমুড়ীর ওয়াছেকপুর গ্রামে বেগমগঞ্জ-৪ (পশ্চিম) কূপটিতে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল থেকে খননের কাজ শুরু হয়। সোমবার দিনে খনন কাজ শেষ হওয়ার পর ডিএসটি টেস্ট শেষে রাত ৮টা থেকে চলছে সর্বনিম্ন স্তরের উৎপাদন টেস্ট। প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। উৎপাদন টেস্ট শেষে এখানে গ্যাসের পরিমাণ জানা যাবে। বাপেক্স জানায়, কূপটি ৩ হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৯২১ থেকে ১ হাজার ৯৭৩ মিটার পর্যন্ত প্রথম স্তর, ২ হাজার ৫৪৮মিটার থেকে ২ হাজার ৫৮৫ মিটার পর্যন্ত দ্বিতীয় এবং ৩ হাজার ৮১ মিটার থেকে ৩ হাজার ১০১ মিটার পর্যন্ত তৃতীয় স্তরে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘শুরুতে এ কূপটি থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে আরও ভালো কিছু আশা করা যাবে। এ কূপ খননের সঙ্গে জড়িত আছে প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী।’ এর আগে ১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ ও ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হলে সেখান থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতে এখানেই বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ-৬ কূপ খনন করা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।