ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

নারী ঘোরাচ্ছেন উন্নয়নের চাকা

  • আপডেট সময় : ০১:১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছে, অর্থনীতিতে অতিদ্রুত বিশেষ করে চাকরি, ব্যবসায় নারীর সংখ্যা বাড়ছে। মোট শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল ১৯৯৫-৯৬ সালে ১৫.৮ শতাংশ, ২০০২-০৩ সালে ২৬.১ শতাংশ, ২০০৫-০৬ সালে ২৯.২ শতাংশ এবং ২০১১-১২ সালে ৩৯.১ শতাংশ। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস পোশাকশিল্প, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, চা শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি নারী জড়িত। এসব শিল্পের প্রধান কাজগুলো করেন নারী।
সরকারি হিসাব হচ্ছে, গৃহস্থালি কর্মকাণ্ড ছাড়া বর্তমানে দেশে এক কোটি ৬২ লাখ নারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। গবেষকেরা বলছেন, কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি স্বীকৃত হলেও বিপুল সংখ্যক নারী বিনা পারিশ্রমিকে ঘরে শ্রম দেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে একজন নারী প্রতিদিন গড়ে ১২ দশমিক ১টি কাজ করেন, যা জাতীয় আয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজের সংখ্যা মাত্র ২ দশমিক ৭।
একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব একজন নারী গড়ে প্রতিদিন একই বয়সের পুরুষের তুলনায় প্রায় তিনগুণ সময় কাজ করেন। গৃহস্থালিতে নারীর যে কাজ সেটি জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না। আদতে নারীর এই শ্রমের প্রাক্কলিত বার্ষিক মূল্য (২০১৩-১৪ অথর্বছর) জিডিপির ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। গৃহস্থালি কাজে সারা দেশের নারীরা বছরে ১৬ হাজার ৬৪১ কোটি ঘণ্টা সময় ব্যয় করছেন, যার আর্থিক মূল্যমান দুই লাখ ৪৯ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। জিডিপিতে এই আর্থিক মূল্য যোগ হলে নারীর হিস্যা বর্তমানের ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের শ্রমজীবী নারীদর সবচেয়ে বড় অংশের বসবাস গ্রামাঞ্চলে। তারা কৃষিশ্রমিক। লেবার ফোর্স সার্ভে ২০১০ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের ৬৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ কৃষিশ্রমিক, ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের চাকরি করছেন, শিল্পশ্রমিকের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। নারী এগিয়েছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। নারী আগে শুধু ঘরের ভেতর পরিশ্রম করতেন। এখন তারা বাইরে বেরিয়ে এসে কাজের জন্য মজুরিও পাচ্ছেন। এতে করে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে নানা সূচক যোগ হচ্ছে।
দেশের অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে পোশাকশিল্প ও তার আনুষঙ্গিক শিল্পগুলোর ওপর। পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত চার মিলিয়ন বা ৪০ লাখ কর্মীর মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এক গবেষণায় দেখিয়েছে, পোশাকশিল্পের নারী কর্মীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ শেষে লিপস্টিক, পাউডার, সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ি, স্যান্ডেল, মোবাইল ফোন এমনকি বিউটি পারলারের পেছনে সাধ্যমতো খরচ করছেন। ফলে বাজার অর্থনীতিতে নতুন নতুন চাহিদার সৃষ্টি হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই উপার্জন নারীদের ক্ষমতায়িত করছে। আর নারীরা ক্ষমতায়িত হয়ে প্রভাব রাখছেন বিভিন্ন সামাজিক খাতের উন্নয়নে। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কারণও এই উপার্জন করার সক্ষমতা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য হলো গত ১০ বছরে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। আর পুরুষের অংশগ্রহণ কমেছে শতাংশ। বাড়ির পুরুষেরা কৃষিজমি ছেড়ে অন্য কাজে যুক্ত হচ্ছেন। কৃষিজমির দায়িত্ব নিচ্ছেন নারী। তারা সফলতার সঙ্গে কাজটি করছেন বলেই কোথাও কোনো ঘাটতি নেই। কৃষি খাত বলতে বিবিএস বাড়ির উঠোনে সবজি বাগান করানো বোঝায়নি। কৃষিশ্রমিক হিসেবে নারী ফসল উৎপাদন থেকে প্রক্রিয়াজাত করা ও বাজারে পাঠানো পর্যন্ত সব কাজকেই বুঝিয়েছে। এছাড়া পশুপালন, হাঁস-মুরগি পালন, মাছ চাষকেও এ কাজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক হিসাবে দেখা যায়, তখন বছরে দুই হাজার নারী কর্মী বিদেশে গেছেন। এখন এই সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ হাজার। বর্তমানে দুই লাখের বেশি নারী কর্মী দেশের বাইরে কাজ করছেন। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, মোট অভিবাসী শ্রমিকের ১৩ শতাংশেরও বেশি এখন নারী। কিন্তু এই নারীরা প্রবাসী-আয় হিসেবে কত টাকা পাঠাচ্ছেন, রাষ্ট্র সে হিসাবটি রাখার উদ্যোগ নেয়নি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, দেশের মোট ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ৩৫ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। নারীরা ব্যবসার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যাচ্ছেন।
ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ২০১০ সালের জুনে এ দেশে ক্ষুদ্র্রঋণের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী গ্রাহক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যে ক্ষুদ্রঋণের কারণে, এর পেছনেও মুখ্য ভূমিকা নারীর।
রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। তৃণমূল থেকে হিমালয়ের চূড়া অর্জনÑ সব জায়গাতেই নারীরা আছেন। তবে নারীর অর্জন বা অবদানের স্বীকৃতি তুলনামূলক কম। অথচ একজন নারী যদি অষ্টম শ্রেণী পাস করেন, সেই নারীর সন্তান অপুষ্টিতে ভোগে না, নিরক্ষর থাকে না। কিন্তু একজন পুরুষ অষ্টম শ্রেণী পড়েও এই অগ্রগতিগুলোতে কোনো ভূমিকা রাখেন না। তাই নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই হবে।
দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন প্রবাসী শ্রমিক ও গার্মেন্টসকর্মীরা। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রায় এখন নারী-পুরুষ সমানভাবে অবদান রাখছেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গুমের তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি কমিশনের

নারী ঘোরাচ্ছেন উন্নয়নের চাকা

আপডেট সময় : ০১:১০:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছে, অর্থনীতিতে অতিদ্রুত বিশেষ করে চাকরি, ব্যবসায় নারীর সংখ্যা বাড়ছে। মোট শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ ছিল ১৯৯৫-৯৬ সালে ১৫.৮ শতাংশ, ২০০২-০৩ সালে ২৬.১ শতাংশ, ২০০৫-০৬ সালে ২৯.২ শতাংশ এবং ২০১১-১২ সালে ৩৯.১ শতাংশ। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস পোশাকশিল্প, হিমায়িত চিংড়ি, চামড়া, হস্তশিল্পজাত দ্রব্য, চা শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি নারী জড়িত। এসব শিল্পের প্রধান কাজগুলো করেন নারী।
সরকারি হিসাব হচ্ছে, গৃহস্থালি কর্মকাণ্ড ছাড়া বর্তমানে দেশে এক কোটি ৬২ লাখ নারী কর্মক্ষেত্রে রয়েছেন। গবেষকেরা বলছেন, কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি স্বীকৃত হলেও বিপুল সংখ্যক নারী বিনা পারিশ্রমিকে ঘরে শ্রম দেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে একজন নারী প্রতিদিন গড়ে ১২ দশমিক ১টি কাজ করেন, যা জাতীয় আয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। অন্যদিকে পুরুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের কাজের সংখ্যা মাত্র ২ দশমিক ৭।
একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব একজন নারী গড়ে প্রতিদিন একই বয়সের পুরুষের তুলনায় প্রায় তিনগুণ সময় কাজ করেন। গৃহস্থালিতে নারীর যে কাজ সেটি জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না। আদতে নারীর এই শ্রমের প্রাক্কলিত বার্ষিক মূল্য (২০১৩-১৪ অথর্বছর) জিডিপির ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ। গৃহস্থালি কাজে সারা দেশের নারীরা বছরে ১৬ হাজার ৬৪১ কোটি ঘণ্টা সময় ব্যয় করছেন, যার আর্থিক মূল্যমান দুই লাখ ৪৯ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। জিডিপিতে এই আর্থিক মূল্য যোগ হলে নারীর হিস্যা বর্তমানের ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের শ্রমজীবী নারীদর সবচেয়ে বড় অংশের বসবাস গ্রামাঞ্চলে। তারা কৃষিশ্রমিক। লেবার ফোর্স সার্ভে ২০১০ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের ৬৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ কৃষিশ্রমিক, ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের চাকরি করছেন, শিল্পশ্রমিকের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। নারী এগিয়েছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। নারী আগে শুধু ঘরের ভেতর পরিশ্রম করতেন। এখন তারা বাইরে বেরিয়ে এসে কাজের জন্য মজুরিও পাচ্ছেন। এতে করে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে নানা সূচক যোগ হচ্ছে।
দেশের অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে পোশাকশিল্প ও তার আনুষঙ্গিক শিল্পগুলোর ওপর। পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত চার মিলিয়ন বা ৪০ লাখ কর্মীর মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এক গবেষণায় দেখিয়েছে, পোশাকশিল্পের নারী কর্মীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ শেষে লিপস্টিক, পাউডার, সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ি, স্যান্ডেল, মোবাইল ফোন এমনকি বিউটি পারলারের পেছনে সাধ্যমতো খরচ করছেন। ফলে বাজার অর্থনীতিতে নতুন নতুন চাহিদার সৃষ্টি হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই উপার্জন নারীদের ক্ষমতায়িত করছে। আর নারীরা ক্ষমতায়িত হয়ে প্রভাব রাখছেন বিভিন্ন সামাজিক খাতের উন্নয়নে। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কারণও এই উপার্জন করার সক্ষমতা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য হলো গত ১০ বছরে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। আর পুরুষের অংশগ্রহণ কমেছে শতাংশ। বাড়ির পুরুষেরা কৃষিজমি ছেড়ে অন্য কাজে যুক্ত হচ্ছেন। কৃষিজমির দায়িত্ব নিচ্ছেন নারী। তারা সফলতার সঙ্গে কাজটি করছেন বলেই কোথাও কোনো ঘাটতি নেই। কৃষি খাত বলতে বিবিএস বাড়ির উঠোনে সবজি বাগান করানো বোঝায়নি। কৃষিশ্রমিক হিসেবে নারী ফসল উৎপাদন থেকে প্রক্রিয়াজাত করা ও বাজারে পাঠানো পর্যন্ত সব কাজকেই বুঝিয়েছে। এছাড়া পশুপালন, হাঁস-মুরগি পালন, মাছ চাষকেও এ কাজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক হিসাবে দেখা যায়, তখন বছরে দুই হাজার নারী কর্মী বিদেশে গেছেন। এখন এই সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ হাজার। বর্তমানে দুই লাখের বেশি নারী কর্মী দেশের বাইরে কাজ করছেন। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, মোট অভিবাসী শ্রমিকের ১৩ শতাংশেরও বেশি এখন নারী। কিন্তু এই নারীরা প্রবাসী-আয় হিসেবে কত টাকা পাঠাচ্ছেন, রাষ্ট্র সে হিসাবটি রাখার উদ্যোগ নেয়নি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, দেশের মোট ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ৩৫ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। নারীরা ব্যবসার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যাচ্ছেন।
ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ২০১০ সালের জুনে এ দেশে ক্ষুদ্র্রঋণের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী গ্রাহক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যে ক্ষুদ্রঋণের কারণে, এর পেছনেও মুখ্য ভূমিকা নারীর।
রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। তৃণমূল থেকে হিমালয়ের চূড়া অর্জনÑ সব জায়গাতেই নারীরা আছেন। তবে নারীর অর্জন বা অবদানের স্বীকৃতি তুলনামূলক কম। অথচ একজন নারী যদি অষ্টম শ্রেণী পাস করেন, সেই নারীর সন্তান অপুষ্টিতে ভোগে না, নিরক্ষর থাকে না। কিন্তু একজন পুরুষ অষ্টম শ্রেণী পড়েও এই অগ্রগতিগুলোতে কোনো ভূমিকা রাখেন না। তাই নারীর অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই হবে।
দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন প্রবাসী শ্রমিক ও গার্মেন্টসকর্মীরা। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রায় এখন নারী-পুরুষ সমানভাবে অবদান রাখছেন।